কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে মোহাম্মদ শফি আলম (৪৫) নামে লবণ চাষি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের ছিকনিপাড়ার পশ্চিম এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত শফি আলম ওই এলাকার বাসিন্দা।

স্থানীয়রা জানায়, মহেশখালীর কালারমারছড়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সক্রিয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে কোস্ট গার্ড সদস্যরা ওই এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানের সময় সন্ত্রাসীরা পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় তারা সন্দেহজনকভাবে লবণ চাষি শফি আলমকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলি তার বুকে বিদ্ধ হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

আরো পড়ুন:

পাবনায় বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে শিশুসহ নিহত ৫

মসজিদের ভেতরে কোপানের ঘটনায় আরেকজনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ৪ 

নিহতের ভাই মুহাম্মদ রাসেল বলেন, ‘‘আমি আর আমার ভাই শফি লবণ মাঠে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি কোস্ট গার্ড সদস্যরা সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করছে। তখন আমরা নিরাপদে থাকার চেষ্টা করি। কিন্তু একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী আমার ভাইকে গুলি করে হত্যা করে। আমি হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘শফি আলম কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তিনি দিনরাত পরিশ্রম করে সংসার চালাতেন। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।’’

মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ কায়সার হামিদ জানান, কালারমারছড়ায় সন্ত্রাসীদের কোস্ট গার্ডের ধাওয়ার সময় এক লবণ চাষি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ঢাকা/তারেকুর/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হত লবণ চ ষ এল ক য়

এছাড়াও পড়ুন:

শরীয়তপুরের জাজিরায় আবারও সংঘর্ষ, মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণ

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় শতাধিক ককটেল (হাতবোমা) বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

গতকাল রোববার দুপুরে জয়নগর ইউনিয়নের ছাব্বিশপারা এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। এতে এক তরুণের হাতের কব্জিতে গুরুতর ক্ষত হয় এবং আরও একজন আহত হন।

জাজিরা থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জয়নগর ইউনিয়নের ছাব্বিশপারা এলাকায় তেজগাঁও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিঠুন ঢালী ও জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হালিম তালুকদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এই দুই নেতা আত্মগোপনে গেলে স্থানীয় পর্যায়ে তাদের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জসিম তালুকদার ও নুর আলম সরদার।

রোববার দুপুরে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও ককটেল নিয়ে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়। এ সময় নুর আলম সরদারের অনুসারীরা প্রতিপক্ষের ওপর ককটেল বোমা নিক্ষেপ করে। এরপর উভয় পক্ষ ঘণ্টা-ব্যাপী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ ও মারামারি। পরে পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

সংঘর্ষের কিছু দৃশ্য স্থানীয় এক ব্যক্তির সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ হয়, যা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ৪ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে দেখা যায়, এক পক্ষের সমর্থকরা বালতিতে করে ককটেল নিয়ে প্রতিপক্ষের দিকে নিক্ষেপ করছেন। তাদের হাতে ছিল টেঁটা, রামদা, ছেনদা, বল্লম, ডাল-সুরকি ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র।

সম্প্রতি জাজিরার বিলাশপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় খইয়ের মতো ককটেল বিস্ফোরণ দেশজুড়ে আলোচিত হয়। গত ৫ এপ্রিল সেখানে দুই শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, যা এখনও আলোচনায় রয়েছে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলো ছাব্বিশপারা এলাকায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল আখন্দ বলেন, গতকাল দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বেশ কিছু হাতবোমা বিস্ফোরিত হয় বলে জানতে পেরেছি। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ