গণ-অভ্যুত্থানের পর শ্রীপুরে ২৪ শিক্ষকের নামে হত্যা মামলা, প্রত্যাহার চেয়ে মানববন্ধন
Published: 20th, March 2025 GMT
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর গাজীপুরের শ্রীপুরে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৪ জন প্রধান শিক্ষকসহ ২৪ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। এসব মামলাকে মিথ্যা দাবি করে সেগুলো থেকে তাঁদের নাম প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছেন শিক্ষকেরা।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা তিনটায় উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পল্লিবিদ্যুৎ মোড়ে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। শ্রীপুর উপজেলা শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ সমিতির ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষক অংশ নেন।
মানববন্ধন শেষে প্রতিবাদ সভায় হাজী ছোট কলিম উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবদুল হান্নান ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসানসহ কয়েকজন শিক্ষক বক্তব্য দেন। তাঁরা এসব মামলাকে মিথ্যা দাবি করে বলেন, রাজনৈতিক ও পারিবারিক বিরোধের জেরে অহেতুক শিক্ষকদের মামলায় জড়ানো হয়েছে। আসামি হওয়ায় তাঁরা পাঠদানে অংশ নিতে পারছেন না। এতে বিদ্যালয়গুলোয় পাঠদান চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষকদের নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়ার দাবি করেন তাঁরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মাওনা চৌরাস্তার পাশে পল্লিবিদ্যুৎ মোড়ে গোলাগুলিতে কয়েকজন আন্দোলনকারী নিহত হন। এ ঘটনায় বিভিন্ন সময় মামলা হয়েছে। অন্যদের পাশাপাশি মামলায় আসামি করা হয়েছে শিক্ষকদের। শ্রীপুরে মামলার আসামিদের মধ্যে আছেন শ্রীপুর সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুল হাসান, রাজেন্দ্রপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী আসকর, মোসলেহ উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজাহার তালুকদার, তেলিহাটি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী মনসুর, মাওনা বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান সিরাজ, আলহাজ ধনাই বেপারী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, গাজীপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমিনুল ইসলাম, গজারিয়া দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট রফিকুল ইসলাম, সিংগারদিঘী উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক সরফুল আলম, স্যারস এডুকেশন সেন্টারের প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলামসহ ২৪ জন শিক্ষক-কর্মচারী।
জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘পল্লিবিদ্যুৎ মোড়ে গোলাগুলির সময় আমি সেখানে ছিলাম না। অথচ আমার নাম আসামির তালিকায়। মিথ্যা মামলার আসামি হয়ে এখন আমি ঘরছাড়া।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আনন্দ শোভাযাত্রার মোটিফে আগুনের প্রতিবাদে চারুকলার সামনে মানববন্ধন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রা উদ্যাপনের জন্য বানানো দুটি মোটিফে আগুন দেওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে অনুষদের সামনে মানববন্ধন হয়েছে। এতে অনুষদের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন।
আজ শনিবার রাতে এ মানববন্ধন হয়। এ সময় বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা ১৪৩২–এর আহ্বায়ক অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম শেখ ও সদস্যসচিব অধ্যাপক কাওসার হাসান টগর উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুনচারুকলায় আগুনে পুড়ে গেল ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফ১২ ঘণ্টা আগেঅধ্যাপক কাওসার হাসান বলেন, ‘পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের আজ্ঞাবহ গোষ্ঠীর সরাসরি হস্তক্ষেপে গভীর রাতে নির্মিতব্য প্রতীকী ফ্যাসিবাদী মুখাবয়বে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পাশে থাকা শান্তির প্রতীক কবুতরের মোটিফটিও পুড়ে যায়। আমরা চারুশিল্পীরা এতে দমে যাইনি; বরং দ্বিগুণ উৎসাহে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা আয়োজনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।’
পয়লা বৈশাখ সকাল আটটায় আনন্দ শোভাযাত্রায় উৎসাহ–উদ্দীপনার সঙ্গে সবাইকে অংশ নিতে আহ্বান জানানো হয় মানববন্ধন থেকে।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে নববর্ষের শোভাযাত্রা উদ্যাপনের জন্য বানানো দুটি মোটিফ আগুনে পুড়ে গেছে। এর মধ্যে একটি ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি ও আরেকটি শান্তির পায়রা। আজ শনিবার সকালে এমনটি দেখা গেছে।
আরও পড়ুনকালো টি–শার্ট পরা একজন মোটিফ দুটিতে আগুন দেন, পালিয়ে যান ২ মিনিটে৫ ঘণ্টা আগে