যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শিক্ষা বিভাগ বন্ধ করার লক্ষ্যে দীর্ঘ প্রত্যাশিত একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করতে যাচ্ছেন। হোয়াইট হাউসের এক সারসংক্ষেপ থেকে এমনটি জেনেছে রয়টার্স। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এই আদেশে স্বাক্ষর করার মাধ্যমে প্রধান একটি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালন করবেন বলে বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত দুই প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

ট্রাম্প ও তার ধনকুবের উপদেষ্টা ইলন মাস্ক মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) মতো বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও কর্মসূচি বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু শিক্ষা বিভাগের মতো মন্ত্রিপরিষদ পর্যায়ের একটি সংস্থাকে বিলুপ্ত করা ট্রাম্পের প্রথম প্রচেষ্টা হতে যাচ্ছে। তবে এটি স্বাক্ষরিত হওয়ার আগেই অঙ্গরাজ্য পর্যায়ের ডেমোক্র্যাট অ্যাটর্নি জেনারেলদের একটি দল এই আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। 

এই বিভাগটি বিলুপ্ত করা ও গত সপ্তাহে ঘোষিত প্রায় অর্ধেক কর্মী ছাঁটাই করা থেকে ট্রাম্পকে বাধা দিতে তারা একটি মামলা করেছেন।

বিবিসি জানিয়েছে, কংগ্রেসের আইন পাস করা ছাড়া ট্রাম্প এই সংস্থাটিকে বন্ধ করতে পারবেন না। আর এটি করা কঠিন হয়ে উঠতে পারে। কারণ, মার্কিন সিনেটে ট্রাম্পের রিপাবলিকান দলের ৫৩-৪৭ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও মন্ত্রিপরিষদ পর্যায়ের একটি সংস্থাকে বিলুপ্ত করতে ৬০ ভোটের প্রয়োজন হবে। 
শিক্ষা বিভাগ যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রায় ১ লাখ সরকারি ও ৩৪ হাজার বেসরকারি স্কুলের তত্ত্বাবধান করে আসছে। তবে সরকারি স্কুলগুলোর ৮৫ শতাংশের বেশি তহবিলের জোগান দেয় অঙ্গরাজ্য ও স্থানীয় সরকারগুলো।

এদিকে আদালতের আদেশ অগ্রাহ্য করে ভেনেজুয়েলার অভিবাসীদের বহিষ্কার করে থাকলে ট্রাম্প প্রশাসনকে তার জন্য পরিণতি ভোগ করতে হতে পারে। বুধবার এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন বিচারক ওয়াশিংটনভিত্তিক মার্কিন জেলা বিচারক জেমস বোয়াসবার্গ। 

সিএনএন জানায়, বিচারকের বক্তব্যে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আদালতের দ্বন্দ্বকে আরও উস্কে দিয়েছে। ত্যক্ত বিরক্ত ট্রাম্প মঙ্গলবার এক বক্তব্যে বোয়াসবার্গের অভিশংসন আহ্বান করে বসেন। এই আহ্বানের জবাবে মার্কিন প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস বিরল এক প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্পের বক্তব্যের নিন্দা জানান।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

সকালেই পড়ুন আলোচিত ৫ খবর

ছবি: ডিএনসিসি থেকে সংগৃহীত

সম্পর্কিত নিবন্ধ