খুলনায় ইউপি সদস্য ফারুক ও চরমপন্থি নেতা শাহীন হত্যা, কেউ ধরা পড়েনি
Published: 20th, March 2025 GMT
খুলনার ফুলতলা সদর ইউপি সদস্য ফারুক মোল্লাকে কুপিয়ে ও চরমপন্থি নেতা শেখ শাহীনুল হক ওরফে বড় শাহীনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। হত্যার সঙ্গে কারা জড়িত তা-ও শনাক্ত হয়নি। এছাড়া কী কারণে হত্যা করা হয়েছে, তা-ও এখনও রহস্যাবৃত রয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, গত বুধবার দুপুরে ফুলতলা উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ফারুক মোল্লাকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় স্থানীয় কিছু লোক। ফারুক বেজেরডাঙ্গা রেললাইনের পাশে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে রাত ১১টার দিকে গোপালগঞ্জে তার মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিকেলে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
পুলিশ জানায়, নিহত ফারুক মোল্লা চরমপন্থি দলের সদস্য ও পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ছিলেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। ফারুক ফুলতলা উপজেলার পয়গ্রামের হাসেম মোল্লার ছেলে।
ফুলতলা থানার ওসি (তদন্ত) মো.
এদিকে গত ১৫ মার্চ রাত ১১টার দিকে নগরীর বাগমারা ব্রিজের কাছে সন্ত্রাসীদের গুলিতে চরমপন্থি নেতা শাহীন নিহত হন। এ ঘটনার পরদিন তার মা বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে খুলনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। নিহত শাহীন নগরীর দৌলতপুর থানার কার্তিককুল এলাকার শেখ আব্দুর রশিদের ছেলে। চরমপন্থি নেতা শাহীনের বিরুদ্ধে দৌলতপুরের আলোচিত শহীদ ওরফে হুজি শহীদ হত্যা মামলাসহ ১০টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, হুজি শহীদ খুন হলেও তার একাধিক ভাইপো ও সহযোগীরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত রয়েছে। তারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে বলে তাদের ধারণা।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা সদর থানার এসআই মনিরুল ইসলাম বলেন, হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চরমপন থ ফ লতল সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের প্রশ্নবিদ্ধ পদক্ষেপ জনগণকে হতাশ করছে
ধর্ষণ-নির্যাতন ও পরিকল্পিত মব সন্ত্রাস বন্ধ, জানমালের নিরাপত্তা, ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস এবং নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে সমাবেশ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট চট্টগ্রাম জেলা শাখা। নেতারা বলেন, সরকারের একের পর এক ভুল ও প্রশ্নবিদ্ধ পদক্ষেপ জনগণকে হতাশ করছে। গতকাল বুধবার বিকেলে নগরের সিনেমা প্যালস চত্বরে এ সমাবেশ হয়।
বাম গণতান্ত্রিক জোট ও বাসদ চট্টগ্রাম জেলা শাখার সমন্বয়ক আল কাদেরী জয়ের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন সিপিবি চট্টগ্রাম জেলা শাখার সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মসিউদ্দৌলা, সিপিবি চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি আশোক সাহা এবং বাসদ (মার্ক্সবাদী) চট্টগ্রাম জেলা শাখার সমন্বয়ক শফিউদ্দিন কবির আবিদ।
উপস্থিত ছিলেন সিপিবির চট্টগ্রাম জেলা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর, বাসদ নেতা হেলাল উদ্দিন কবিরসহ নেতারা। সমাবেশ পরিচালনা করেন বাসদ চট্টগ্রাম জেলা শাখার সদস্য আকরাম হোসেন।
বক্তারা বলেন, অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার হাতবদল হলেও ব্যবস্থার বদল হয়নি, বরং শাপলা চত্বর আর শাহবাগের মতো অহেতুক বিতর্ক সামনে এনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তি ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা চালাচ্ছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাইরে গিয়ে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন জনগণ করেছে, সেই জনগণের ওপর অতিরিক্ত ট্যাক্সের বোঝা চাপানো হয়েছে; কিন্তু সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য এখনও বন্ধ হয়নি। এখনও জনগণের নাগালের বাইরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম।
তারা আরও বলেন, সম্প্রতি ধর্ষণ, খুন ও নিপীড়নের ঘটনায় জনগণ আতঙ্কিত ও ক্ষুব্ধ। মাগুরায় শিশু আছিয়া ধর্ষিত হওয়ার ঘটনা প্রমাণ করে, এই সরকার এখনও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারেনি। ব্যর্থতার দায়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে।