২০১০ সালে ‘খোঁজ: দ্য সার্চ’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় আফিয়া নুসরাত বর্ষার। এতে অনন্ত জলিলের বিপরীতে অভিনয় করেন তিনি। ২০১১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ভালোবেসে ঘর বাঁধেন এই তারকা জুটি। এরপর জুটি হয়ে অভিনয় করেছেন বেশ কয়েকটি ছবিতে। এবার সিনেমা ছাড়ার ঘোষণা দিলেন চিত্রনায়িকা বর্ষা।
স্বামী অনন্ত জলিলের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান বর্ষা। তিনি বলেন, ‘হাতে কয়েকটি সিনেমা আছে, এগুলো শেষ করতে করতেই বেশ সময় চলে যাবে। এরপর আমি আর নতুন কোনো সিনেমা করব না।’
বর্ষার কথায়, ‘আমি খুব বাস্তববাদী মানুষ। ফলে আমি বাস্তবতা মাথায় রেখে চিন্তা করি। আমার মনে হয় নায়িকাদের একটা বয়স পর্যন্ত স্ক্রিনে ভালো লাগে। ততদিনই কাজ করা উচিত। আমার ক্ষেত্রেও তাই।’
এসময় বর্ষার মুখের কথা কেড়ে নিয়ে অনন্ত জলিল বলেন, ‘এখন যারা আমাদের দেশে নায়িকা হিসেবে কাজ করছেন তাদের অনেকের চেয়ে বর্ষার বয়স কম। তাও সে এ কথা বলছে।’
অনন্ত জলিল ও বর্ষার সংসারে আরিজ ইবনে জলিল ও আবরার ইবনে জলিল নামে দুই পুত্রসন্তান রয়েছে। তাদের কথাও বলেন এই নায়িকা।
বর্ষার ভাষ্য, ‘আমার বড় ছেলের বয়স ১০, ছোট ছেলের ৭। কয়েক বছর পরই বড় ছেলের ১৪-১৫ বছর হয়ে যাবে। তখন সে যদি দেখে মা সিনেমার নায়িকা, তখন কি ভাববে? এসব চিন্তা করেই সিনেমা ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
শুধু নিজের ব্যাপারে না, অনন্ত জলিলও অভিনয় চালিয়ে যাবেন কি না সে বিষয়েও কথা বলেন বর্ষা। তিনি বলেন, ‘অনন্ত চাইলে কাজ করে যেতে পারে। কারণ আমি জানি তাকে নারীদের ভিড়ে ছেড়ে দিয়ে আসলেও সে ঠিকই তার কাজটা শেষ করে ঘরেই ফিরবে। অন্য নারীদের দিকে তাকাবেও না।’
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সাব্বির-জাকিরের ফিফটির পর শামীম-শুক্কুর ঝড়ে প্রাইমের দারুণ জয়
চার ফিফটিতে ভর করে স্কোরবোর্ডে পাহাড়সম রানের পুঁজি গড়েছিল প্রাইমব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। সাব্বির হোসেন, জাকির হাসান, ইরফান শুক্কুরের ফিফটির পর শেষে শামীম হোসেন পাটোয়ারির ঝড়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে ক্লাবটি। তা আর টপকাতে পারেনি ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৫ উইকেটে ৩০৮ রান করে প্রাইম ব্যাংক। তাড়া করতে নেমে ধানমন্ডি ২৫৩ রানে থামে। ৫৫ রানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে প্রাইম ব্যাংক। ষষ্ঠ ম্যাচে প্রাইম ব্যাংকের এটি তৃতীয় জয়। সমান ম্যাচে ধানমন্ডির এটি তৃতীয় হার।
তাড়া করতে নেমে ৩২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে ধানমন্ডি। হাল ধরেন ফজলে রাব্বি-ইয়াসির আলী চৌধুরী। দুজনে ধাক্কা সামলে খেলতে থাকেন। ফিফটি থেকে চার রান দূরে থেকে ইয়াসির আলী আউট হলে ভাঙে ১০৭ রানের জুটি। ৬৯ বলে ধীরগতির ফিফটি তুলে নেন ফজলে।
আরো পড়ুন:
রানে ফিরে শান্তর সেঞ্চুরি, জিতে টেবিল টপার আবাহনী
১০৭ রান দিয়ে বাংলাদেশের মাটিতে সবচেয়ে ব্যয়বহুল বোলিংয়ের রেকর্ড তাসকিনের
৫৬ বলে ৪৬ রান করেন ইয়াসির। তার আউটের পর ধস নামে ধানমন্ডির ব্যাটিংয়ে। এক প্রান্তে ফজলে আকড়ে ধরে থাকেন। ইয়াসির রাব্বির আউটের পর নুরুল হাসান (৮), মঈন খান (৭) জিয়াউর রহমান (১৭) রানে ফিরলে বিপদে পড়ে ধানমন্ডি। জিয়াউর ফিরলে আনামুল হক আনামকে নিয়ে এগোতে থাকেন ফজলে। আনাম ৫ রানে বিদায় নেন। এরপর আউট হন ফজলে রাব্বিও। তার ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৭৯ রান। ১০৪ বলে এই রান করেন তিনি। শেষ দিকে ৩৭ রান করে জয়ের ব্যবধান কমান সানজামুল ইসলাম। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে হাসান-আরাফত সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে ঝড়ো শুরু করে প্রাইম ব্যাংক। ১৮ বলে ৩৭ রানে নাঈম শেখ আউট হলে ভাঙে ৬০ রানের জুটি। নাঈম ফিফটি না পেলেও আরেক ওপেনার সাব্বির সাজঘরে ফেরেন বরাবর ৫০ রান করেই। ৭০ বলে ৫০ রান করেন তিনি।
তিনে নামা জাকির হাসানও দেখা পেয়েছেন ফিফটির। ৬২ বলে ফিফটির পর ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ৬৪ রান করে ফেরেন তিনি। এরপর শাহাদাত দিপু ক্রিজে এসে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। ১৪ রানে ফেরেন। দিপুর পর আব্দুল্লাহ আল মামুন ৭ রানে ফিরলে হাল ধরেন শুক্কুর-শামীম।
দুজনে ৮৭ বলে ৯৬ রানের জুটি গড়েন। ফিফটি তুলে নেন দুজনেই। মাত্র ৩১ বলে ফিফটি হাঁকানো শামীম অপরাজিত থাকেন ৬২ রানে। আর ৫০ বলে ফিফটি করা শুক্কুর ৫৬ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। ধানমন্ডির হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন মঈন খান।
ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল