ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন পরিচালনা কমিটির পঞ্চম কর্পোরেশন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) রাজধানীর নগর ভবনবুড়িগঙ্গা হলে অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর সংস্থার প্রতিনিধির সমন্বয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন পরিচালনা কমিটির ২৫   জন সদস্য উপর্যুক্ত সভায় অংশগ্রহণ করেন।

আরো পড়ুন:

ঈদের আগেই প্রস্তুত হচ্ছে মিরপুরের ৬০ ফিট রাস্তা: ডিএনসিসি প্রশাসক

নতুন ১৮ ওয়ার্ডে অবকাঠামো উন্নয়নে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে: ডিএনসিসি প্রশাসক

সভার শুরুতে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত চতুর্থ কর্পোরেশনের সভার কার্যবিবরণী দৃঢ়ীকরণ এবং বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হয়। পরবর্তীতে সভার আলোচ্য সূচি অনুযায়ী আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে বসবাসরত সম্মানিত নগরবাসীকে সহজে ও বিধি অনুযায়ী সেবা প্রদানের মানসে ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নিয়ন্ত্রণাধীন কবরস্থান পরিচালনা নীতিমালা-২০২০’ সংশোধনপূর্বক ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নিয়ন্ত্রণাধীন কবরস্থান পরিচালনা নীতিমালা-২০২৫’ এর নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন মসজিদসমূহের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের সম্মানি বাবদ জনপ্রতি যথাক্রমে তিন হাজার টাকা ও এক হাজার পাঁচশত টাকা করে প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সব দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য প্রতি ঈদে ২০০০ টাকার পরিবর্তে ৩০০০ টাকায় এবং অন্যান্য ধর্মালম্বীদের ক্ষেত্রে বছরে ৪০০০ পরিবর্তে ৬০০০ টাকায়  উন্নত করা হয়েছে।

সমাপনী বক্তব্যে পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও প্রশাসক মো.

শাহজাহান মিয়া বলেন, “নিয়মিত পরিচালনা কমিটির সভায় সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে নাগরিক সেবা প্রদান কার্যক্রমে গতিশীলতা এসেছে এবং সিটির আওতাভুক্ত এলাকার জনসাধরণদের নাগরিক সেবা অব্যাহত রাখতে চায়।”

সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. জিল্লুর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সচিব মোহাম্মদ বশিরুল হক ভূঁঞাসহ সব বিভাগীয় প্রধান এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

ঢাকা/এএএম/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কম ট র

এছাড়াও পড়ুন:

মুরাদনগরে কবরস্থানে মাটি ফেলা নিয়ে দ্বন্দ্ব, মারধরে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু

কুমিল্লার মুরাদনগরে পারিবারিক কবরস্থানের মালিকানা ও মাটি ফেলা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে দুপক্ষের ধস্তাধস্তির সময় আওয়ামী লীগের স্থানীয় এক নেতার মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার রাতে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার চাপিতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কাহারুল মুন্সীর (৫৫) বাড়ি চাপিতলা গ্রামে। তিনি চাপিতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, চাপিতলা গ্রামের মুন্সী বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান নিয়ে কাহারুল মুন্সীর সঙ্গে তাঁর চাচা জীবন মুন্সী ও জাহাঙ্গীর মুন্সীর পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। ওই কবরস্থানের পাশে বর্তমানে খাল খননকাজ চলছে। খালের কিছু মাটি কবরস্থানে দেওয়ার জন্য ঠিকাদারকে অনুরোধ করেন কাহারুল মুন্সী। তাঁর অনুরোধে বুধবার রাতে কবরস্থানে মাটি দেওয়া হবে—এমন খবর পেয়ে জীবন মুন্সী ও জাহাঙ্গীর মুন্সী কবরস্থানের কাছে যান। এ সময় কাহারুল মুন্সীর সঙ্গে তাঁদের বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মাঝে ধস্তাধস্তি ও পাল্টাপাল্টি কিলঘুষির ঘটনা ঘটে। এ সময় লাগাতার কিলঘুষিতে কাহারুল মুন্সী আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে চাপিতলা এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা গুরুতর দেখে সেখানকার চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

মুরাদনগরের বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহফুজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, পারিবারিক কবরস্থানে মাটি ফেলা নিয়ে বিরোধে ওই আওয়ামী লীগ নেতা খুন হয়েছেন। এখানে রাজনৈতিক কোনো বিষয় নেই। তিনি বলেন, এ ঘটনায় এখনো থানায় মামলা হয়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা পলাতক। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুরাদনগরে কবরস্থানে মাটি ফেলা নিয়ে দ্বন্দ্ব, মারধরে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
  • বাড়ির উঠান থেকে শিয়ালে টেনে নিয়ে গেল শিশুটিকে