জেলে সাড়ে তিন হাজার কয়েদির মধ্যে ছিলেন আরিয়ান
Published: 20th, March 2025 GMT
বিতর্কিত রিয়েলিটি শো ‘বিগ বস’ দিয়ে পরিচিতি পাওয়া এজাজ খান জেলবন্দী দিনগুলোর অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন। ওই সময়ে আর্থার রোড জেলে বন্দী ছিলেন বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির স্বামী তথা ব্যবসায়ী রাজ কুন্দ্রা ও শাহরুখ খান-পুত্র আরিয়ান খান। রাজ ও আরিয়ানকে ঘিরেও কিছু কথা তিনি এক সাক্ষাৎকারে ফাঁস করেছেন। এজাজ জানিয়েছেন যে আরিয়ানের জন্য অত্যন্ত কঠিন ছিল সেই দিনগুলো।
মাদকদ্রব্য মামলায় অভিযুক্ত হয়ে আর্থার রোড জেলে ছিলেন অভিনেতা এজাজ খান। এক ওয়েবসাইটকে সাক্ষাৎকারের সময় এজাজ বলেছেন, ‘রাজ কুন্দ্রা যখন জেলে এসেছিলেন আমার তখন সেখানে সাত মাস কাটানো হয়ে গেছে। রাজ কুন্দ্রা আমাকে রোজ বার্তা পাঠাতেন। বাইরে তাঁর অনেক নামডাক, কিন্তু জেলের ভেতরে আমার কথা বেশি চলত। জেলে তাঁকে কড়া নজরের মধ্যে রাখা হয়েছিল।’ এই টেলিভিশন অভিনেতা আরও খোলাসা করে বলেছেন, ‘জেলের সুপারিনটেনডেন্ট তাঁকে (রাজ) জল দিতে পর্যন্ত নিষেধ করেছিলেন। তিনি আমার কাছ থেকে জল, পাউরুটি, বিস্কুট চেয়ে পাঠাতেন। জেলের মধ্যে বিস্কুট, জলের বোতল বা সিগারেট জোগাড় করা অনেক কঠিন। ওখানে জেলের সাধারণ জল খাওয়ার অনুমতি শুধু ছিল, বাইরের বোতলজাত পানীয় নয়। জেলের জল তিনি খেতে পারতেন না, খেলেই অসুস্থ হয়ে যেতেন। তিনি আমাকে কোনো সাহায্য করেননি, কিন্তু আমি অনেক সাহায্য করেছিলাম।’
এই সাক্ষাৎকারে রাজ কুন্দ্রার প্রতি হতাশা প্রকাশ করে এজাজ বলেছেন, ‘আমার সাহায্যের কথা তিনি বেমালুম ভুলে গেছেন। ওনার ছবি “ইউটি ৬৯” ফ্লপ হয়েছিল, কারণ উনি ছবিতে মিথ্যা দেখিয়েছেন। এই ছবিতে উনি নিজের কাহিনি দেখিয়েছেন, কিন্তু জেলে তাঁর ওপর যে অত্যাচার হয়েছিল, উনি তা দেখাননি। জেলে ওনাকে যে সাহায্য করেছিল, তার কথাও উনি ছবিতে তুলে ধরেননি।
এজাজ খান। ইনস্টাগ্রাম থেকে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আর য় ন
এছাড়াও পড়ুন:
‘ভক্তে’র কাছে হার রোনালদোর, হার এমবাপ্পের, জিতল জার্মানি
বিশেষ কিছুই করতে হয়নি। চারটি ভালো পাস খেলে গোল করেছে ডেনমার্ক। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো মাঠে অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে দেখেছেন সেই দৃশ্য। শুধু কি তা-ই, গোলের পর তাঁর ট্রেডমার্ক উদ্যাপন ‘সিউ’ দিয়ে তাঁরই চোখের সামনে আনন্দও সেরে নিয়েছে প্রতিপক্ষ এবং শেষ পর্যন্ত ওই গোলেই দলের হার। কোপেনহেগেনের পার্কেন স্টেডিয়ামে কাল রাতটা তাই মোটেও ভালো কাটেনি রোনালদোর।
উয়েফা নেশনস লিগ কোয়ার্টার ফাইনাল প্রথম লেগের এ ম্যাচে ডেনমার্কের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে পর্তুগাল। ৭৮ মিনিটে ডেনিশদের জয় এনে দেওয়া গোলটি যিনি করেছেন, সেই রাসমুস হয়লুন্দের কাছে রাতটা আবার অন্য রকম। মাঠে নিজের আদর্শকে সাক্ষী রেখে গোল করে তাঁর মতো করেই উদ্যাপন সেরেছেন। ঠিক ধরেছেন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই স্ট্রাইকার রোনালদোর বড় ভক্ত। ম্যাচ শেষে হয়লুন্দ পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, রোনালদোকে উপহাস করতে ‘সিউ’ উদ্যাপন করেননি। নিজের আদর্শকে সামনে রেখে তাঁরই সামনে দলের বিপক্ষে গোল করা হয়লুন্দের কাছে অনেক বড় অর্জন। সেটা স্মরণীয় করে রাখতেই তাঁর অমন উদ্যাপন।
জয়ের ব্যবধান বাড়াতে পারত ডেনমার্ক। প্রথমার্ধে ডেনিশ মিডফিল্ডার ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনের পেনাল্টি রুখে দেন পর্তুগিজ গোলকিপার দিওগো কস্তা। ডেনমার্কের হয়ে ২০১৬ সালের পর এই প্রথম পেনাল্টি মিস করলেন এরিকসেন। তাঁর একটি শট গোল লাইন থেকে ক্লিয়ারও করেন পর্তুগিজ ডিফেন্ডার ডিওগো দালত। তাঁর একটি ফ্রি–কিকও রুখে দেওয়া হয়। অন্যদিকে রোনালদো এ ম্যাচে মোটেও প্রভাব ফেলতে পারেননি। পর্তুগাল অধিনায়কের একটি হেড ডেনিশ পোস্টের ওপর দিয়ে চলে গেছে এই যা। বেঞ্চ থেকে মাঠে নামা হয়লুন্দ ৭৮ মিনিটে রাইট উইঙ্গার আন্দ্রেস স্কোভ ওলসেনের ক্রস থেকে গোল করেন।
আরও পড়ুনমেসি–দিবালার অনুপস্থিতিতে আর্জেন্টিনার ১০ নম্বর জার্সি কার১২ ঘণ্টা আগেগোলের পর মাঠের এক কোনায় গিয়ে সিউ উদ্যাপন করেন হয়লুন্দ। রোনালদো মাঠে কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে তা দেখেছেন। কিছুদিন আগে সংবাদমাধ্যম ‘ডিআর’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রোনালদোর প্রতি মুগ্ধতা স্পষ্টভাবেই প্রকাশ করেছিলেন হয়লুন্দ, ‘ক্রিস্টিয়ানোর কারণে ফুটবলের প্রেমে পড়েছি।’ এবার তাঁর দলের বিপক্ষে গোল করে উদ্যাপনটা নিজের আদর্শকেই উপহার দেওয়ার কথা জানালেন হয়লুন্দ।
ম্যাচ শেষে ডেনিশ সম্প্রচারক টিভি ২-কে বলেছেন,‘এটা আমার আদর্শের জন্য। এটা তাঁকে উপহাস করা কিংবা এমন কোনো ইচ্ছা থেকে করিনি। আমার ও আমার ফুটবল ক্যারিয়ারের ওপর তাঁর প্রভাব অসামান্য। হয়তো একটু অন্য রকমও লাগতে পারে, তবে পর্তুগাল ও তাঁর বিপক্ষে গোল করা আমার জন্য বিশাল কিছু। ২০১১ সালে ফ্রি–কিক থেকে তাঁর গোল করা মনে আছে। ম্যাচটি আমি দেখেছি এবং তার পর থেকেই আমি ক্রিস্টিয়ানোর ভক্ত।’ লিসবনে আগামী রোববার রাতে ফিরতি লেগ।
আরও পড়ুনশেষ মুহূর্তে ভিনিসিয়ুস–জাদুতে ব্রাজিলের দারুণ জয়৫৫ মিনিট আগেফ্রান্সের হার
একই রাতে কোয়ার্টার ফাইনাল প্রথম লেগের অপর ম্যাচে স্বাগতিক হয়ে ফ্রান্সকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ক্রোয়েশিয়া। প্রথমার্ধে স্বাগতিকদের হয়ে গোল দুটি আন্ত বুদিমির ও ইভান পেরিসিচের। ম্যাচের ৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে আন্দ্রে ক্রামারিচের শট ফ্রান্সের গোলকিপার মাইক মাইগনান রুখে না দিলে ক্রোয়েশিয়ার জয়ের ব্যবধান আরও বাড়ত। গাভার্দিওলের দূরপাল্লার একটি শটও ঠেকান মাইগনান। এই হারে কিলিয়ান এমবাপ্পে ও উসমান দেম্বেলের ফ্রান্স দলে ফেরাটা স্মরণীয় হলো না।
মদরিচের ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরেছে এমবাপ্পের ফ্রান্স