বিশ্বকাপ ২০২৬: প্রথম দল হিসেবে মূল পর্বে জাপান
Published: 20th, March 2025 GMT
আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে বসবে বিশ্বকাপ ফুটবলের মহোৎসব। এর আগেই প্রথম দল হিসেবে ২০২৬ বিশ্বকাপের মূলপর্বে জায়গা করে নিল এশিয়ার পরাশক্তি জাপান। সাইতামায় আজ বাহরাইনকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে হাজিমে মোরিয়াসুর শিষ্যরা।
ম্যাচের শুরুতে কিছুটা জড়তা থাকলেও শেষ পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত জয় তুলে নিতে কোনো ভুল করেনি জাপান। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে দাইচি কামাডার দুর্দান্ত এক ফিনিশে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। এরপর নির্ধারিত সময়ের মাত্র তিন মিনিট আগে তাকেফুসা কুবোর গোলে অষ্টমবারের মতো বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলা নিশ্চিত করে জাপান।
এ জয়ের পর ‘সি’ গ্রুপে ৭ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকে বিশ্বকাপে জায়গা করেছে জাপান। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট ৭ ম্যাচে ১০। ‘সি’ গ্রুপে জাপান, অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও আছে সৌদি আরব (৬ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট), ইন্দোনেশিয়া (৭ ম্যাচে ৬), বাহরাইন (৭ ম্যাচে ৬) ও চীন (৬ ম্যাচে ৬)।
জাপান ফিফা বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া নিয়মিত দলগুলোর একটি। ১৯৯৮ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলা জাপান ২০২৬ নিয়ে টানা অষ্টম বিশ্বকাপ খেলবে। সর্বশেষ ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে স্পেন, জার্মানির গ্রুপ থেকে শেষ ষোলোয় খেলেছিল জাপান।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
২০২৫–২৬ অর্থবছরে ভারতের প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৫%: ফিচ রেটিংস
ভারতের প্রবৃদ্ধিতে রপ্তানি খাতের অবদান তুলনামূলকভাবে কম। সে কারণে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের পণ্যে শুল্ক বাড়ালেও দেশটি বিশেষ ক্ষতির মুখে পড়বে না বলে মনে করছে ফিচ রেটিংস।
একই সঙ্গে আগামী দুই অর্থবছরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে ফিচ রেটিংস। তারা বলেছে, ২০২৫-২৬ আর্থিক বছরে ভারতের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। পরের অর্থবছরে (পড়ুন ২০২৬-২৭) তা আরও কমে ৬ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে আসতে পারে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারতের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ।
ভারতের চলতি আর্থিক বছর শেষ হবে আগামী ৩১ মার্চ। তার আগে আগামী দুই অর্থবছরের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে ফিচ রেটিং, আগামী আর্থিক বছরের ক্ষেত্রে ফিচ জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার অপরিবর্তিত রেখেছে। তবে ২০২৬-২৭ অর্থবছরের পূর্বাভাস আগের তুলনায় ১০ ভিত্তি পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছে।
চলতি মার্চ মাসে ‘ইকোনমিক আউটলুক রিপোর্ট’ প্রকাশ করেছে ফিচ রেটিং। সেখানে সমীক্ষক সংস্থাটি বলেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই অতি আক্রমণাত্মক বাণিজ্য নীতি গ্রহণ করেছে ওয়াশিংটন। কিন্তু অবস্থানগত কারণে এতে খুব বেশি বিপদে পড়বে না নয়াদিল্লি।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাজেট পেশ করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। সেখানে আয়করে বিপুল ছাড়ের কথা ঘোষণা করেন তিনি। বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, এতে মানুষের হাতে অতিরিক্ত টাকা থাকবে। ফলে বাজারে ভোগ্যপণ্যের বিক্রি বাড়বে। ভারতের আর্থিক প্রবৃদ্ধিতে এটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন ফিচের সমীক্ষকেরা।
২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে শেষ হওয়া প্রান্তিকে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ২ শতাংশ। ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে যা ছিল ৫ দশমিক ৬ শতাংশ, গত সাতটি প্রান্তিকের মধ্যে যা সর্বনিম্ন।
সম্প্রতি ভারতের অর্থনীতি নিয়ে ‘মরগ্যান স্ট্যানলি’ বড় পূর্বাভাস দিয়েছে। তাদের দাবি, মাত্র তিন বছরের মধ্যেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে ভারত। অর্থাৎ ২০২৮ সালের মধ্যে নয়াদিল্লির জিডিপির আকার বার্ষিক ৫ দশমিক ৭০ লাখ কোটি ডলারে উঠবে।
২০২৩ সালে ভারতীয় অর্থনীতির আকার ছিল সাড়ে তিন লাখ কোটি ডলার। আগামী বছর সেটাই বেড়ে ৪ দশমিক ৭ লাখ কোটি ডলারে উন্নীত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতের জিডিপির আকার সেই অঙ্ক ছুঁয়ে ফেললে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠবে তারা। তখন ভারতের সামনে থাকবে মাত্র তিনটি দেশ। সেগুলো হলো—যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও জার্মানি। ২০২৮ সালের মধ্যে এই দৌড়ে বার্লিন পিছিয়ে পড়বে বলে স্পষ্ট করেছে মরগ্যান স্ট্যানলি।