পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশুসহ চার জন নিহত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় দুইজন গুরুতর আহত হয়েছে। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার ঈশ্বরদী-দাশুড়িয়া মহাসড়কের ঢুলটি বহরপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, যাত্রীবাহী বাসটি ঈশ্বরদীর দিকে যাচ্ছিল। আর অটোরিকশাটি বিপরীতদিকে যাচ্ছিল। এ সময় বাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে চার জন নিহত হয়। এতে দুই জন গুরুতর আহত হয়েছে। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে ৬ দফা দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ঈদযাত্রায় রোডক্র্যাশ কমাতে তরুণদের ৯ সুপারিশ

ঘটনার পরপরই বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে। তবে বাসটি জব্দ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
 

ঢাকা/শাহীন/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন সড়ক দ র ঘটন ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রেনের ১৩০ টিকিটসহ আটক নৌবাহিনী কর্মকর্তা

দিনাজপুরে ট্রেনের ১৩০টি টিকিটসহ সাজেদুর রহমান (২৮) নামে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে আটক করেছে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।

শুক্রবার দুপুরে তাকে দিনাজপুর জিআরপির থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান নৌবাহিনীর সদস্যরা। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে দিনাজপুর জিআরপি থানায় আটক করে নিয়ে আসা হয়েছিল।

আটক সাজেদুর রহমান ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রাধানাথপুর গ্রামের বাসিন্দা।

রেলওয়ে নিরাপত্তা বিভাগের পার্বতীপুর সার্কেলের পরিদর্শক হাসান শিহাবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি ৯ বছর ধরে নৌবাহিনীতে কর্মরত রয়েছেন এবং বর্তমানে খুলনার বিএনএস পদ্মা ইউনিটে ল্যান্স করপোরাল পদে কর্মরত আছেন বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।

বিভিন্ন রুটের ট্রেনের ১৩০টি টিকিট ছাড়াও তাঁর কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ও বিভিন্ন কোম্পানির ১৪টি সিম কার্ডও পাওয়া গেছে। যেগুলো জব্দ করা হয়েছে।

দিনাজপুর জিআরপি থানা সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ঠাকুরগাঁও পৌঁছালে প্ল্যাটফর্মে টিকিট চেক শুরু করেন রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এসময় সাজেদুরের টিকিট চেক করার সময় এক টিকিটে ২২ জনের আসন দেখতে পান। এসময় দায়িত্বরত টিটি তার পরিচয় জানতে চাইলে নিজেকে নৌবাহিনীর সদস্য পরিচয় দেন।

বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হলে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাকে ঠাকুরগাঁও জিআরপি থানায় নিয়ে যান। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে টিকিট কালোবাজারির কথা স্বীকার করেন। পরে তার কাছে ট্রেনের বিভিন্ন রুটের আরও ১০৮টি আসনের টিকিট পাওয়া যায়। এসব টিকিট ২১ থেকে ২৫ মার্চের এবং যাত্রাপথ ঢাকা থেকে পার্বতীপুর ও পঞ্চগড়ের। রাতেই তাকে ঠাকুরগাঁও থেকে দিনাজপুর জিআরপি থানায় নিয়ে আসা হয়।

আটক সাজেদুরের সঙ্গে কথা বলে তার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে নৌবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জিআরপি থানা কর্তৃপক্ষ। পরে শুক্রবার দুপুরে নৌবাহিনী সদস্যরা এসে বিভাগীয় তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়ে সাজেদুরকে নিয়ে যান।

অভিযুক্ত সাজেদুর রহমান বলেন, খুলনাতে থাকা অবস্থায় ১০ দিন আগে থেকে এসব টিকিট সংগ্রহ করি। আজ বাড়ি যাচ্ছিলাম। এগুলো আমি অফিসের মাধ্যমে সংগ্রহ করেছি। আমরা কোথাও যেতে হলে আবেদন দিলে তখন আমাদের ওয়ারেন্ট দেয়। তিনটি ওয়ারেন্ট ব্যবহার করে এই টিকিটগুলো কিনেছি।

রেলওয়ে নিরাপত্তা বিভাগের পার্বতীপুর সার্কেলের পরিদর্শক হাসান শিহাবুল ইসলাম বলেন, আমরা রেলওয়ের ১৩০টি টিকিটসহ নৌবাহিনীতে কর্মরত সদস্যকে ঠাকুরগাঁও থেকে আটক করি। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে দিনাজপুরে নিয়ে আসি। পরবর্তীতে ঢাকা হেডকোয়ার্টার থেকে তাদের একটি প্রতিনিধি দল আজকে সকালে এখানে আসে। তাদের সঙ্গে আমাদের আলাপ আলোচনা হয়। উভয় ডিপার্টমেন্টের ঊর্ধ্বতনের নির্দেশনা মোতাবেক তারা তাদের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে মর্মে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে তাদের জিম্মায় নিয়ে গেছে। আমরা ১৩০টি টিকিট, ১৪টি সিমকার্ড, তিনটি মোবাইল ফোনসহ আইডি কার্ড জব্দ করেছি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ