Risingbd:
2025-03-21@00:43:23 GMT

অভিনয় ছাড়ছেন নায়িকা বর্ষা

Published: 20th, March 2025 GMT

অভিনয় ছাড়ছেন নায়িকা বর্ষা

সিনেমা ছাড়ার ঘোষণা দিলেন চিত্রনায়িকা বর্ষা। স্বামী অনন্ত জলিলের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান বর্ষা।

বর্ষা বলেন, “হাতে কয়েকটি সিনেমা আছে, এগুলো শেষ করতে করতেই বেশ সময় চলে যাবে। এরপর আমি আর নতুন কোনো সিনেমা করব না।”

কেন আর সিনেমা করবেন না? এ প্রশ্নের জবাবে বর্ষা বলেন, “আমি খুব বাস্তববাদী। ফলে আমি বাস্তবতা মাথায় রেখে চিন্তা করি। আমার মনে হয় নায়িকাদের একটা বয়স পর্যন্ত স্ক্রিনে ভালো লাগে। ততদিনই কাজ করা উচিত। আমার ক্ষেত্রেও তাই।”

আরো পড়ুন:

চলচ্চিত্রের সোনালি যুগ সম্পর্কে জানি না: গৌতম ঘোষ

নিজের চোখে সন্তানের বেড়ে ওঠা দেখতে চাই: পরমব্রত

বর্ষার মুখের কথা কেড়ে নিয়ে অনন্ত জলিল বলেন, “এখন যারা আমাদের দেশে নায়িকা হিসেবে কাজ করছেন তাদের অনেকের চেয়ে বর্ষার বয়স কম। তাও সে এ কথা বলছে।” কিন্তু বর্ষার সিনেমা ছাড়ার সিদ্ধান্তে যে অনন্তরও কোনো আপত্তি নেই তা তার কথায় বোঝা যায়।

সিনেমা ছাড়ার কারণ ব্যাখ্যা করে বর্ষা বলেন, “তা ছাড়া আমার বড় ছেলের বয়স ১০, ছোট ছেলের ৭। কয়েক বছর পরই বড় ছেলের ১৪-১৫ বছর হয়ে যাবে। তখন সে যদি দেখে মা সিনেমার নায়িকা, তখন কি ভাববে? এসব চিন্তা করেই সিনেমা ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

শুধু নিজের ব্যাপারে না, অনন্ত জলিলও অভিনয় চালিয়ে যাবেন কি না সে বিষয়েও কথা বলেন বর্ষা। তিনি বলেন, “অনন্ত চাইলে কাজ করে যেতে পারে। কারণ আমি জানি তাকে নারীদের ভিড়ে ছেড়ে দিয়ে আসলেও সে ঠিকই তার কাজটা শেষ করে ঘরেই ফিরবে। অন্য নারীদের দিকে তাকাবেও না।”

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র অনন ত

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে নাশকতার মামলায় সাংবাদিক কারাগারে

নাশকতা মামলায় চট্টগ্রামের কর্ণফুলী প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং দৈনিক যুগান্তরের প্রতিনিধি আবেদুজ্জামান আমিরীকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। গত বুধবার সন্ধ্যায় পটিয়া থানার মোড় এলাকা থেকে সাংবাদিক আবেদ আমিরীকে তুলে নিয়ে যায় র‍্যাবের একটি দল। পরে রাত ১১টার দিকে তাঁকে চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর থানায় হস্তান্তর করা হয়। সেখানে তাঁকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁকে চট্টগ্রাম আদালতে পাঠানো হলে তিনি জামিন আবেদন করেন। পরে বিচারক আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে স্থানীয় এক বিরোধের ঘটনায় গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনা মিশিয়ে ওই বছরের ২০ আগস্ট একটি মামলা করেন হালিশহরের মুন্সীপাড়া এলাকার বাসিন্দা সাজ্জাদ আহমেদ সাদ্দাম। ওই মামলায় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। ৩১ আসামির মধ্যে পটিয়া এলাকার দু’জনকেও মামলায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এর একজন সাংবাদিক আবেদুজ্জামান আমিরী। 

আবেদ আমিরীর সহকর্মীরা অভিযোগ করেন, গত ৪ আগস্ট আবেদ আমিরী চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরে ভাঙচুর করেছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। অথচ তিনি ওই দিন হালিশহরেই যাননি, সারাদিন ছিলেন পটিয়াতে। তারা বলেন, আমিরীকে হালিশহর থানায় করা মামলাটির বাদী চেনেনও না। বাদী নিজেও বলেছেন, ৪ আগস্টের ভাঙচুরের ঘটনায় আমিরী জড়িত নন। তাঁর স্বজন বলছেন, পটিয়ারই কেউ ষড়যন্ত্র করে আমিরীর নাম হালিশহরের মামলায় ঢুকিয়েছে।

মামলার বাদী হালিশহরের মুন্সীপাড়া এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ সাজ্জাদ আহমেদ সাদ্দামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক আবেদুজ্জামান আমিরীকে চেনেন না বলে জানান।

এদিকে সাংবাদিক আবেদকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। তারা অবিলম্বে সাংবাদিক আবেদুজ্জামান আমিরীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।

এ ব্যাপারে হালিশহর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনার মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে যৌথ বাহিনী আবেদ আমেরীকে গ্রেপ্তার করেছে। 


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ