বেসরকারি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ইউআইইউ) ‘ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক ব্যাংকিং, ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইকোনমিকসের (আইআইবিএফই-ইউআইইউ)’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান গত শনিবার (১৫ মার্চ) ইউআইইউ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম সাদিকুল ইসলাম, ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান মো.

ফরিদউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) মহাপরিচালক মো. আখতারুজ্জামান, সেন্ট্রাল শরিয়াহ বোর্ড ফর ইসলামিক ব্যাংকস অব বাংলাদেশের (সিএসবিআইবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন তালুকদার এবং ইউনাইটেড ফাইন্যান্সের চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউআইইউর উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবুল কাশেম মিয়া। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক ব্যাংকিং, ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইকোনমিকসের (আইআইবিএফই-ইউআইইউ) পরিচালক এবং ইকোনমিকস বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মোহাম্মদ ওমর ফারুক এবং স্বাগত বক্তব্য দেন করেন সেন্ট্রাল শরিয়াহ বোর্ড ফর ইসলামিক ব্যাংকস অব বাংলাদেশের (সিএসবিআইবি) মহাসচিব মো. আবদুল্লাহ শরীফ।

আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে ইসলামি ব্যাংকিং খাতের বিস্তারে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি দক্ষ জনশক্তির অভাব রয়েছে। ইউআইইউর এই ইনস্টিটিউটর মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি এবং ইসলামি ব্যাংকিং সেক্টরের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বিশেষ অতিথিরা বাংলাদেশের ইসলামি ব্যাংকিং খাতের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এ ছাড়া তাঁরা ইসলামি ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি পরিবর্তনের দিকগুলো তুলে ধরেন।

আরও পড়ুনপেছাল গণিত পরীক্ষা, এসএসসি-২০২৫-এর নতুন রুটিন প্রকাশ১৯ মার্চ ২০২৫

উদ্বোধনী অধিবেশন শেষে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও সেন্ট্রাল শরিয়াহ বোর্ডের মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় এবং দ্বিতীয় অধিবেশনের টেকনিক্যাল সেশনে দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, সরকারি ও বেসরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, ইসলামবিশেষজ্ঞ, সাংবাদিকেরাসহ অন্য বিশিষ্ট অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি

আরও পড়ুনবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত বিষয়ের বাইরের বিষয় পড়াশোনার সুযোগ বন্ধের উদ্যোগ৫ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসল ম ক ব য ফ ইন য ন স অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্পের জন্য লজ্জায় পড়েছেন ফ্রান্স সফররত মার্কিন পর্যটকেরা

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের তুইলেরিস উদ্যানের পরিচ্ছন্ন নুড়িপাথরের ওপর দিয়ে ঝলমলে রোদে হেঁটে বেড়াচ্ছিলেন বারবারা ও রিক উইলসন দম্পতি। তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন অঙ্গরাজ্যের ডালাস শহর থেকে প্রথমবারের মতো ফ্রান্স ভ্রমণে এসেছেন। মার্কিন পর্যটক হিসেবে ভ্রমণে এলেও তাঁরা ঠিক ছদ্মবেশ ধারণ করেননি। তবে ৭৪ বছর বয়সী রিক সাতসকালেই বাড়তি সতর্কতা গ্রহণ করেছিলেন।

বারবারা ও রিক উইলসন প্যারিসের একটি হোটেলে উঠেছেন। হোটেল থেকে বের হওয়ার আগে ছোট্ট একটি কালো টেপ দিয়ে মাথার সাদা–কালো বেসবল ক্যাপে থাকা তারকাখচিত ও ডোরাকাটা মার্কিন পতাকা ঢেকে দিয়েছেন।

বারবারা ও রিক উইলসন প্যারিসের একটি হোটেলে উঠেছেন। হোটেল থেকে বের হওয়ার আগে ছোট্ট একটি কালো টেপ দিয়ে মাথার সাদা-কালো বেসবল ক্যাপে থাকা তারকাখচিত ও ডোরাকাটা মার্কিন পতাকা ঢেকে দিয়েছেন।

বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আকস্মিক পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণায় মার্কিন নাগরিক হিসেবে যে লজ্জা ও বিব্রতকর অনুভূতি অনুভব করছেন, তা নিয়ে ভাবছিলেন এই দম্পতি। রিক বলেন, ‘বিষয়টি (শুল্ক) নিয়ে আমাদের খারাপ লাগছে। এটা ভয়ানক। শুধুই আতঙ্কের।’

শুধু রিক নন, ৭০ বছর বয়সী বারবারাও তাঁর পকেটে একটি কানাডীয় ল্যাপেল পিন রেখে দিয়েছেন। আরেকজন পর্যটক তাঁকে এটি উপহার দিয়েছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন, ফ্রান্স ভ্রমণে কিছু আড়াল করার দরকার হলে এটি কাজে লাগাতে পারবেন।

বিষয়টি (ট্রাম্পের নতুন শুল্ক আরোপ) নিয়ে আমাদের খারাপ লাগছে। এটা ভয়ানক। শুধুই আতঙ্কের।রিক উইলসন, ফ্রান্স ভ্রমণে যাওয়া মার্কিন পর্যটক

বারবারা বলেন, ‘আমাদের দেশ নিয়ে আমি হতাশ। শুল্ক নিয়ে আমরা বিরক্ত।’
কয়েক গজ দূরে বিখ্যাত ল্যুভর জাদুঘরের সামনে মানুষের জটলা দেখা গেল। সেখানে আরেক মার্কিন দম্পতি নিজেদের পরিচয় কিছুটা লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করছিলেন; যেমনটা সাধারণত দেখা যায় না। কথা হয় ক্রিস এপসের (৫৬) সঙ্গে। তিনি নিউইয়র্কে অ্যাটর্নি হিসেবে কাজ করেন। এবারের ফ্রান্স সফরে তিনি একটু ভিন্ন পোশাক পরবেন বলে ঠিক করেছিলেন।

ক্রিস এপস বলেন, ‘(আমার সঙ্গে) নিউইয়র্কের কোনো ইয়াঙ্কি হ্যাট নেই। সেটি হোটেলে রেখে এসেছি। (হ্যাট দেখে) মানুষ আমাদের আলাদা মনে করতে পারে।’

খোলাখুলি বলে রাখা ভালো, ফ্রান্সে মার্কিনদের আগের চেয়ে কম অভ্যর্থনা জানানো হচ্ছে, এমন কোনো লক্ষণ নেই। ট্রাম্প তাঁর নতুন শুল্ক ঘোষণা স্থগিত করার আগে দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে কিছু পর্যটকের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছিল।

কথা হয় ফিলিপ গ্লোয়াগুয়েন নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে। ফ্রান্সের সবচেয়ে জনপ্রিয় ট্রাভেল গাইড লে গাইড দু রুতার্দের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। গ্লোয়াগুয়েন প্যারিসে একটি ডেস্কে বসে ছিলেন। তিনি জানান, চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে তাঁর লেখা বইয়ের ফরমাশ ২৫ শতাংশ কমে গেছে। ‘এটা একটা বড় পতন,’ বলেন তিনি।

মার্কিনরা তাঁদের সরকারের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া থেকে বহু দূরে রয়েছেন। তাঁদের মনোভাবে যে পরিবর্তন ঘটছে, সেটির সপক্ষে বেশির ভাগ প্রমাণই কল্পনাপ্রসূত। তবে ইতিমধ্যে ভ্রমণ, পর্যটন, শিক্ষা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ার বিষয়টি বোধগম্য হয়ে উঠেছে।

কথা হয় ফিলিপ গ্লোয়াগুয়েন নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে। ফ্রান্সের সবচেয়ে জনপ্রিয় ট্রাভেল গাইড লে গাইড দু রুতার্দের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। গ্লোয়াগুয়েন প্যারিসে একটি ডেস্কে বসে ছিলেন। তিনি জানান, চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে তাঁর লেখা বইয়ের ফরমাশ ২৫ শতাংশ কমে গেছে। ‘এটা একটা বড় পতন,’ বলেন তিনি।

ল্যুভর জাদুঘরের সামনে পর্যটকদের ভিড়

সম্পর্কিত নিবন্ধ