বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে থেকে অসহায় ও দুস্থদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন। 

বৃহস্পতিবার ( ২০ মার্চ) দুপুরে শহরের হোসিয়ারি সমিতি প্রাঙ্গণে পাঁচশত অসহায় ও দুস্থদের মাঝে এই ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেন তিনি। 

ঈদ সামগ্রী মধ্যে রয়েছে - সেমাই, চিনি, তৈল, ভাতের চাল, পোলার চাল, পাউডার দুধ, ডাল, লবন ইত্যাদি। 

ঈদ সামগ্রী বিতরণ পূর্বে বক্তব্যে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য যে নির্দেশনা দিয়েছেন সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আমার পক্ষ থেকে অসহায় ও দুস্থদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছি।

বিএনপির একটি জনমুখী দল, আর বিএনপির রাজনীতি হল এদেশের মানুষের জনগণের কল্যাণের জন্য। আমার মতোন দেশের প্রতিটি দলীয় নেতাকর্মীরা যদি অসহায় ও দুস্থদের পাশে দাঁড়ালে দেশে মুক্ত বাতাসে আনন্দঘন পরিবেশে মধ্য দিয়ে একটি ঈদ উদযাপিত হবে।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ত র ক রহম ন ঈদ ব এনপ র ব তরণ

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে নাশকতার মামলায় সাংবাদিক কারাগারে

নাশকতা মামলায় চট্টগ্রামের কর্ণফুলী প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং দৈনিক যুগান্তরের প্রতিনিধি আবেদুজ্জামান আমিরীকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। গত বুধবার সন্ধ্যায় পটিয়া থানার মোড় এলাকা থেকে সাংবাদিক আবেদ আমিরীকে তুলে নিয়ে যায় র‍্যাবের একটি দল। পরে রাত ১১টার দিকে তাঁকে চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর থানায় হস্তান্তর করা হয়। সেখানে তাঁকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁকে চট্টগ্রাম আদালতে পাঠানো হলে তিনি জামিন আবেদন করেন। পরে বিচারক আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে স্থানীয় এক বিরোধের ঘটনায় গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনা মিশিয়ে ওই বছরের ২০ আগস্ট একটি মামলা করেন হালিশহরের মুন্সীপাড়া এলাকার বাসিন্দা সাজ্জাদ আহমেদ সাদ্দাম। ওই মামলায় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। ৩১ আসামির মধ্যে পটিয়া এলাকার দু’জনকেও মামলায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এর একজন সাংবাদিক আবেদুজ্জামান আমিরী। 

আবেদ আমিরীর সহকর্মীরা অভিযোগ করেন, গত ৪ আগস্ট আবেদ আমিরী চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরে ভাঙচুর করেছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। অথচ তিনি ওই দিন হালিশহরেই যাননি, সারাদিন ছিলেন পটিয়াতে। তারা বলেন, আমিরীকে হালিশহর থানায় করা মামলাটির বাদী চেনেনও না। বাদী নিজেও বলেছেন, ৪ আগস্টের ভাঙচুরের ঘটনায় আমিরী জড়িত নন। তাঁর স্বজন বলছেন, পটিয়ারই কেউ ষড়যন্ত্র করে আমিরীর নাম হালিশহরের মামলায় ঢুকিয়েছে।

মামলার বাদী হালিশহরের মুন্সীপাড়া এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ সাজ্জাদ আহমেদ সাদ্দামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক আবেদুজ্জামান আমিরীকে চেনেন না বলে জানান।

এদিকে সাংবাদিক আবেদকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। তারা অবিলম্বে সাংবাদিক আবেদুজ্জামান আমিরীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।

এ ব্যাপারে হালিশহর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনার মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে যৌথ বাহিনী আবেদ আমেরীকে গ্রেপ্তার করেছে। 


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ