বেসরকারী উদ্যোগে বাংলাদেশে প্রথম হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভে জাহাজ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
Published: 20th, March 2025 GMT
বেসরকারী উদ্যোগে বাংলাদেশে এই প্রথম অত্যাধুনিক হাইড্রোগ্রাফি সার্ভে জাহাজ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দে অবস্থিত বে-টেক শিপ বিলডারস লিমিটেড, সেলেশিয়াল টেক লিমিটেডের হাইড্রোগ্রাফি সার্ভে বোটের কীল-লেইং সম্পন্ন হয়।
নতুন এই জাহাজটি সামুদ্রিক নেভিগেশন, উপকূল ব্যবস্থাপনা এবং পানির নিচের মানচিত্রায়ণ কার্যক্রম উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। অত্যাধুনিক সার্ভে প্রযুক্তি সংবলিত এই নৌযানটি নিরাপদ ও কার্যকর সামুদ্রিক কার্যক্রম নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।
সেলেস্টিয়াল টেক লিমিটেড, যা সমুদ্র ও শিল্প প্রযুক্তি সমাধানে অন্যতম পথ প্রদর্শক, বে-টেক শিপ বিলডারস লিমিটেড এর সমন্বয়ে একটি অত্যাধুনিক হাইড্রোগ্রাফি সার্ভে বোট নির্মাণ করছে।
সেলেস্টিয়াল টেক লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন কবীর বলেন, নতুন এই নৌযানটি আমাদের হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভে সক্ষমতাকে আরও উন্নত করবে এবং বাংলাদেশের সামুদ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। জাহাজটির নির্মাণ কাজ ছয় মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে এবং এরপর এটি পুরোপুরি কার্যক্রমে যুক্ত হবে।
কীল-লেইং অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, বে-টেক শিপ বিলডারস লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী প্রেেকৗশলী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এবং বোট নির্মাণে সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে নাশকতার মামলায় সাংবাদিক কারাগারে
নাশকতা মামলায় চট্টগ্রামের কর্ণফুলী প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং দৈনিক যুগান্তরের প্রতিনিধি আবেদুজ্জামান আমিরীকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। গত বুধবার সন্ধ্যায় পটিয়া থানার মোড় এলাকা থেকে সাংবাদিক আবেদ আমিরীকে তুলে নিয়ে যায় র্যাবের একটি দল। পরে রাত ১১টার দিকে তাঁকে চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর থানায় হস্তান্তর করা হয়। সেখানে তাঁকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁকে চট্টগ্রাম আদালতে পাঠানো হলে তিনি জামিন আবেদন করেন। পরে বিচারক আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে স্থানীয় এক বিরোধের ঘটনায় গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনা মিশিয়ে ওই বছরের ২০ আগস্ট একটি মামলা করেন হালিশহরের মুন্সীপাড়া এলাকার বাসিন্দা সাজ্জাদ আহমেদ সাদ্দাম। ওই মামলায় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। ৩১ আসামির মধ্যে পটিয়া এলাকার দু’জনকেও মামলায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এর একজন সাংবাদিক আবেদুজ্জামান আমিরী।
আবেদ আমিরীর সহকর্মীরা অভিযোগ করেন, গত ৪ আগস্ট আবেদ আমিরী চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরে ভাঙচুর করেছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। অথচ তিনি ওই দিন হালিশহরেই যাননি, সারাদিন ছিলেন পটিয়াতে। তারা বলেন, আমিরীকে হালিশহর থানায় করা মামলাটির বাদী চেনেনও না। বাদী নিজেও বলেছেন, ৪ আগস্টের ভাঙচুরের ঘটনায় আমিরী জড়িত নন। তাঁর স্বজন বলছেন, পটিয়ারই কেউ ষড়যন্ত্র করে আমিরীর নাম হালিশহরের মামলায় ঢুকিয়েছে।
মামলার বাদী হালিশহরের মুন্সীপাড়া এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ সাজ্জাদ আহমেদ সাদ্দামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক আবেদুজ্জামান আমিরীকে চেনেন না বলে জানান।
এদিকে সাংবাদিক আবেদকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। তারা অবিলম্বে সাংবাদিক আবেদুজ্জামান আমিরীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
এ ব্যাপারে হালিশহর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনার মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে যৌথ বাহিনী আবেদ আমেরীকে গ্রেপ্তার করেছে।