সিদ্ধিরগঞ্জে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত তিন পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
Published: 20th, March 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জের একটি মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ও আদালতের ওয়ারেন্টভুক্ত একই পরিবারের তিন পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
গ্রেপ্তাকৃতরা হলেন- সোনারগাঁ উপজেলার কাবিলগঞ্জ এলাকার মো. লিটন মিয়া (৫১), তার স্ত্রী মোছাঃ. নাজমা বেগম (৩৮) ও তাদের ছেলে মো. নাহিদ আলম (২২)।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকালে র্যাব-১১ সদর দফতরের স্কোয়াড্রন লীডার ও কোম্পানি কমান্ডার মো.
তারা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে দায়ের করা একটি মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এবং আদালতের ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি।
তিনি জানানা, ২০১৮ সালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকা থেকে মাদক উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলায় একই পরিবারের উল্লেখিত আসামিরা যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত হলে তারা আত্মগোপন করেন। পরে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
ইতিমধ্যে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে মাদক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত ও আদালতের ওয়ারেন্টভুক্ত একই পরিবারের তিন পলাতক আসামি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় অবস্থান করছে।
গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে তাদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে বুধবার রাতে মিজমিজি পাইনাদি নতুন মহল্লা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জেলার সোনারগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
শরীয়তপুরের জাজিরায় আবারও সংঘর্ষ, মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণ
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় শতাধিক ককটেল (হাতবোমা) বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
গতকাল রোববার দুপুরে জয়নগর ইউনিয়নের ছাব্বিশপারা এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। এতে এক তরুণের হাতের কব্জিতে গুরুতর ক্ষত হয় এবং আরও একজন আহত হন।
জাজিরা থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জয়নগর ইউনিয়নের ছাব্বিশপারা এলাকায় তেজগাঁও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিঠুন ঢালী ও জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হালিম তালুকদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এই দুই নেতা আত্মগোপনে গেলে স্থানীয় পর্যায়ে তাদের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জসিম তালুকদার ও নুর আলম সরদার।
রোববার দুপুরে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও ককটেল নিয়ে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়। এ সময় নুর আলম সরদারের অনুসারীরা প্রতিপক্ষের ওপর ককটেল বোমা নিক্ষেপ করে। এরপর উভয় পক্ষ ঘণ্টা-ব্যাপী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ ও মারামারি। পরে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সংঘর্ষের কিছু দৃশ্য স্থানীয় এক ব্যক্তির সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ হয়, যা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ৪ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে দেখা যায়, এক পক্ষের সমর্থকরা বালতিতে করে ককটেল নিয়ে প্রতিপক্ষের দিকে নিক্ষেপ করছেন। তাদের হাতে ছিল টেঁটা, রামদা, ছেনদা, বল্লম, ডাল-সুরকি ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র।
সম্প্রতি জাজিরার বিলাশপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় খইয়ের মতো ককটেল বিস্ফোরণ দেশজুড়ে আলোচিত হয়। গত ৫ এপ্রিল সেখানে দুই শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, যা এখনও আলোচনায় রয়েছে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলো ছাব্বিশপারা এলাকায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল আখন্দ বলেন, গতকাল দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বেশ কিছু হাতবোমা বিস্ফোরিত হয় বলে জানতে পেরেছি। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।