নিখোঁজের দুই মাস পর নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতিকে খুলনা থেকে উদ্ধার
Published: 20th, March 2025 GMT
নিখোঁজের ২ মাস ১১ দিন পর খুলনার একটি আবাসিক হোটেল থেকে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজাদুল ইসলামকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে উদ্ধারের পর দুপুরের দিকে পরিবার ও উপজেলা বিএনপির নেতাদের জিম্মায় তাঁকে তুলে দেওয়া হয়।
এর আগে গত ৮ জানুয়ারি নবাবগঞ্জের দেওতলার বাড়ি থেকে রাজশাহীতে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে বের হন আজাদুল ইসলাম। সেখানে পৌঁছানোর পর পরিবারের সঙ্গে তাঁর শেষবার কথা হয়। এর পর থেকে তাঁর মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে ১০ জানুয়ারি নবাবগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তাঁর ছেলে সিহাব তমাল।
পুলিশের ধারণা, আজাদুল ব্যক্তিগত কারণে এত দিন আত্মগোপনে ছিলেন। পুলিশ সূত্র আরও জানায়, জিডির সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আজ ভোরে খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার মজিদ সরণি এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। তাঁকে সুস্থ মনে হলেও মানসিক চাপে আছে বলে জানান নবাবগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) আজগর হোসেন। এ কারণে তাঁকে আপাতত ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না।
আরও পড়ুননবাবগঞ্জ বিএনপির নিখোঁজ সভাপতির সন্ধান দাবিতে মানববন্ধন১৯ মার্চ ২০২৫আজাদুল ইসলামের ছেলে সিহাব তমাল বলেন, তাঁর বাবা এখন অসুস্থ। কথা বলতে পারছেন না। স্বাভাবিক না হলে তার নিখোঁজের বিষয়টি নিয়ে সঠিক তথ্য জানা যাবে না। আজাদুলের ফেরার খবরে সকাল থেকেই নবাবগঞ্জ থানায় তাঁর স্বজন ও দলীয় নেতা-কর্মীরা তাঁকে দেখতে ভিড় জমান। তবে তিনি কারও সঙ্গে কথা বলেননি।
দোহার সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, কিছুদিন ধরেই পুলিশের একাধিক টিম আজাদুল ইসলামকে উদ্ধারে কাজ করছিল। পরে খুলনার সোনাডাঙ্গার একটি আবাসিক হোটেলে তাঁকে পাওয়া যায়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আজ দ ল ইসল ম ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
গণমাধ্যমে সমালোচনার পাশাপাশি সরকারের ইতিবাচক দিকও তুলে ধরতে হবে: তথ্য উপদেষ্টা
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, সরকারের গঠনমূলক সমালোচনার পাশাপাশি গণমাধ্যমে সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপগুলোও প্রচার হওয়া উচিত।
বৃহস্পতিবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাজধানীর তথ্য ভবনে ইফতার মাহফিল ও মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
গুজব ও অপপ্রচারের ব্যাপকতা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, সত্য প্রচারের পাশাপাশি গণমাধ্যমকে গুজব ও অপপ্রচার মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। গণমাধ্যমের সমালোচনাকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, গণমাধ্যমের গঠনমূলক সমালোচনা সরকারের সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে। তিনি বলেন, সরকার গণমাধ্যমের নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করে।
গত ১৬ বছরে গণমাধ্যমের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় সরকার গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছে। কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, সরকার গণমাধ্যম সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। তিনি গণমাধ্যম সংস্কারের ক্ষেত্রে গণমাধ্যম মালিক, সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
ইফতার মাহফিল ও মতবিনিময় সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের মালিক, সম্পাদক ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।