নিখোঁজের ২ মাস ১১ দিন পর খুলনার একটি আবাসিক হোটেল থেকে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজাদুল ইসলামকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে উদ্ধারের পর দুপুরের দিকে পরিবার ও উপজেলা বিএনপির নেতাদের জিম্মায় তাঁকে তুলে দেওয়া হয়।

এর আগে গত ৮ জানুয়ারি নবাবগঞ্জের দেওতলার বাড়ি থেকে রাজশাহীতে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে বের হন আজাদুল ইসলাম। সেখানে পৌঁছানোর পর পরিবারের সঙ্গে তাঁর শেষবার কথা হয়। এর পর থেকে তাঁর মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে ১০ জানুয়ারি নবাবগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তাঁর ছেলে সিহাব তমাল।

পুলিশের ধারণা, আজাদুল ব্যক্তিগত কারণে এত দিন আত্মগোপনে ছিলেন। পুলিশ সূত্র আরও জানায়, জিডির সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আজ ভোরে খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার মজিদ সরণি এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। তাঁকে সুস্থ মনে হলেও মানসিক চাপে আছে বলে জানান নবাবগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) আজগর হোসেন। এ কারণে তাঁকে আপাতত ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না।

আরও পড়ুননবাবগঞ্জ বিএনপির নিখোঁজ সভাপতির সন্ধান দাবিতে মানববন্ধন১৯ মার্চ ২০২৫

আজাদুল ইসলামের ছেলে সিহাব তমাল বলেন, তাঁর বাবা এখন অসুস্থ। কথা বলতে পারছেন না। স্বাভাবিক না হলে তার নিখোঁজের বিষয়টি নিয়ে সঠিক তথ্য জানা যাবে না। আজাদুলের ফেরার খবরে সকাল থেকেই নবাবগঞ্জ থানায় তাঁর স্বজন ও দলীয় নেতা-কর্মীরা তাঁকে দেখতে ভিড় জমান। তবে তিনি কারও সঙ্গে কথা বলেননি।

দোহার সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, কিছুদিন ধরেই পুলিশের একাধিক টিম আজাদুল ইসলামকে উদ্ধারে কাজ করছিল। পরে খুলনার সোনাডাঙ্গার একটি আবাসিক হোটেলে তাঁকে পাওয়া যায়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আজ দ ল ইসল ম ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

শরীয়তপুরের জাজিরায় আবারও সংঘর্ষ, মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণ

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় শতাধিক ককটেল (হাতবোমা) বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

গতকাল রোববার দুপুরে জয়নগর ইউনিয়নের ছাব্বিশপারা এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। এতে এক তরুণের হাতের কব্জিতে গুরুতর ক্ষত হয় এবং আরও একজন আহত হন।

জাজিরা থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জয়নগর ইউনিয়নের ছাব্বিশপারা এলাকায় তেজগাঁও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিঠুন ঢালী ও জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হালিম তালুকদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এই দুই নেতা আত্মগোপনে গেলে স্থানীয় পর্যায়ে তাদের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জসিম তালুকদার ও নুর আলম সরদার।

রোববার দুপুরে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও ককটেল নিয়ে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়। এ সময় নুর আলম সরদারের অনুসারীরা প্রতিপক্ষের ওপর ককটেল বোমা নিক্ষেপ করে। এরপর উভয় পক্ষ ঘণ্টা-ব্যাপী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ ও মারামারি। পরে পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

সংঘর্ষের কিছু দৃশ্য স্থানীয় এক ব্যক্তির সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ হয়, যা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ৪ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে দেখা যায়, এক পক্ষের সমর্থকরা বালতিতে করে ককটেল নিয়ে প্রতিপক্ষের দিকে নিক্ষেপ করছেন। তাদের হাতে ছিল টেঁটা, রামদা, ছেনদা, বল্লম, ডাল-সুরকি ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র।

সম্প্রতি জাজিরার বিলাশপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় খইয়ের মতো ককটেল বিস্ফোরণ দেশজুড়ে আলোচিত হয়। গত ৫ এপ্রিল সেখানে দুই শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, যা এখনও আলোচনায় রয়েছে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলো ছাব্বিশপারা এলাকায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল আখন্দ বলেন, গতকাল দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বেশ কিছু হাতবোমা বিস্ফোরিত হয় বলে জানতে পেরেছি। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ