মালদ্বীপে বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল
Published: 20th, March 2025 GMT
বিএনপি মালদ্বীপ শাখার উদ্যোগে রাজধানী মালেতে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) মালের তিন তারকাবিশিষ্ট ম্যানহাট বিজনেস হোটেলের হলরুমে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগদান করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকন।
বিএনপি মালদ্বীপ শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলমের সঞ্চালনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিলের সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মালদ্বীপ শাখার সভাপতি মো.
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএই’র ইফতার মাহফিল
১৫ দিনে প্রবাসী আয় ২০ হাজার কোটি টাকা
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক প্রবাসী বাংলাদেশি ডাক্তার কে এম হুরিয়া পারভীন, বিএনপি মালদ্বীপ শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক খলিলুর রহমান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, “বিএনপি জনগণের রায়কে সবসময় সমর্থন করে আসছে। বাংলাদেশের জনগণ ভয়, নিপীড়ন এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তামুক্ত একটি ভবিষ্যতের প্রত্যাশা কামনা করেন। তাই দেশের মানুষের স্বার্থ রক্ষায় ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।”
বক্তারা আরো বলেন, “আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশনায় জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে বিগত দেড় যোগ ধরে খুনি শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছেন। আগামী দিনে ও দেশের জনগণের স্বার্থ রক্ষায় প্রবাসীরা কাজ করা যাবে মালদ্বীপ বিএনপি।”
অনুষ্ঠানে সারা বিশ্বের মুসলমানদের শান্তি কামনায় এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনাসহ জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের আহত নিহতদের স্মরণে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বিএনপি মালদ্বীপ শাখার ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো. মাসুম বিল্লাহ।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মালদ্বীপ শাখার উপদেষ্টা মোহাম্মদ কাশেদুল হক, আবদুল ছালিম কুদ্দুস, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. নেহের মিয়া রানা, সহ-সভাপতি আলতাফ হোসাইন, মো. শাহাআলম, মোহাম্মাদ ফারুক, আলমগীর মজুমদার, রহিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মোহাম্মদ ইয়াসিন মজুমদার, মো. মানিক হোসেন, মোহাম্মদ আবু জাহের, সহ প্রচার মোহাম্মদ পিয়াস, দপ্তর সম্পাদক ওমর ফারুক অনিক, কোষাধক্ষ্য আব্দুল্লাহ কাদের, হায়দার আলী সাবু প্রমুখ।
এছাড়া বিএনপির ও তার অঙ্গ সংগঠনের প্রায় ২ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/হাসান/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রব স ইফত র ইফত র ও দ ম হ ম মদ ন ব এনপ অন ষ ঠ রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
দুই ছাত্রীকে ধর্ষণে জড়িতদের গ্রেপ্তারে আলটিমেটাম
নরসিংদীর চরআড়ালিয়ায় ষষ্ঠ শ্রেণির দুই ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর বাঘাইকান্দি গ্রামের কাজীবাড়ির মোড়ে রায়পুরা উপজেলার চরআড়ালিয়া ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন হয়।
ধর্ষণের অভিযোগে ইমরান, রাজ্জাক, আব্দুর রহমান, সাইফুল মিয়া, রমজান, কাইয়ুম ও তার দুই সহযোগীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দেশে এত ধর্ষণ হচ্ছে কিন্তু অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের কোনো বিচার হচ্ছে না। পুলিশ কী করে? অনতিবিলম্বে ধর্ষণে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছেন তারা। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তা না হলে জনগণ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবে। আলটিমেটাম দিয়ে তারা বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষকদের আইনের আওতায় আনা না হলে রামপুরা থানাসহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করা হবে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন চরআড়ালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জহিরুল ইসলাম জাজু, স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু মুসা, জেলা ছাত্রনেতা সাব্বির ভূঁইয়া, সাবেক চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান সরকার প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত সোমবার বিকেল ৩টার দিকে দুই বান্ধবী চরআড়ালিয়া গ্রামের কাইয়ুম ও মুন্নার সঙ্গে ঘুরতে বের হয়। তারা সারা বিকেল ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাযোগে বাঘাইকান্দি এলাকা থেকে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনসহ বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি এবং খাওয়া-দাওয়া করে। পূর্ব থেকেই কাইয়ুম ও মুন্না তাদের বন্ধুদের পূর্ব বাঘাইকান্দি এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থাকতে বলে। সে অনুযায়ী অন্য বন্ধুরা স্কুলের সামনে অপেক্ষা করতে থাকে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে অটোরিকশাযোগে তাদের নিয়ে পূর্ব বাঘাইকান্দি এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে যায় কাইয়ুম ও মুন্না। সেখানে যাওয়ার পর এক ছাত্রীকে জোর করে স্কুলের পাশে নিক্সন মেম্বারের বাড়ির ছাদে নিয়ে যায় ইসরাফিল, সাইখুল, রমজান ও কাইয়ুম এবং অপর ছাত্রীকে মুন্না, ইমরান, রাজ্জাক, আব্দুর রহমান নদীর পারে নিয়ে যায়। সেখানে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটায় অভিযুক্তরা। এ সময় ভুক্তভোগী দুই ছাত্রী চিৎকার দিতে চাইলে ইট হাতে নিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যার হুমকি দেয়। পরে দুই ছাত্রী বাড়ি ফিরে গেলে অবস্থা দেখে স্বজনরা জানতে চাইলে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ পায়। এ ঘটনায় রায়পুরা থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে দুটি মামলা করা হয়েছে।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) সুজন চন্দ্র সরকার বলেন, মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।