টানা ৯দিন বন্ধ থাকবে হিলি বন্দরে আমদানি-রপ্তানি
Published: 20th, March 2025 GMT
পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে ও সাপ্তাহিক ছুটিসহ টানা ৯ দিন বন্ধ থাকবে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রম। তবে স্বাভাবিক থাকবে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের পাসপোর্ট ধারী যাত্রী পারাপার।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বিষয়টি জানিয়েছেন হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক।
তিনি জানান, মুসলমানদের পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ভারতের সাথে আগামী ২৯ মার্চ শনিবার থেকে ৫ এপ্রিল শনিবার পর্যন্ত এই বন্দরে আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ৬ এপ্রিল রোববার থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক হবে।
হিলি ইমিগ্রেশন ওসি আরিফুল ইসলাম বলেন, “পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে হিলি বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও এই ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের পাসপোর্ট ধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।”
ঢাকা/মোসলেম/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বন ধ থ আমদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রেনে ঈদযাত্রায় ২৮ মার্চের টিকিট মিলবে আজ
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি চলছে। যারা আগামী ২৮ মার্চ ভ্রমণ করবেন তাদের আজ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে হবে।
আজ সকাল ৮টায় চতুর্থ দিনের মতো ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। অগ্রিম টিকিটের শতভাগই যথারীতি বিক্রি হবে অনলাইনে।
যাত্রী সাধারণের সুবিধার্থে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট সকাল ৮টায় এবং পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট দুপুর ২টা থেকে ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সে অনুযায়ী এই দুই সময়ে দুই অঞ্চলের টিকিট বিক্রি হচ্ছে।
আরো পড়ুন:
দেশের ‘অগ্রগতির প্রমাণ’ যমুনা রেল সেতুর উদ্বোধন মঙ্গলবার
ঈদযাত্রা
প্রতারণা এড়াতে অ্যাপ বা কাউন্টার থেকে টিকিট কেনার পরামর্শ রেলওয়ের
এর আগে, গত ৯ মার্চ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে অগ্রিম টিকিট বিক্রির তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৮ মার্চের টিকিট ১৮ মার্চ, ২৯ মার্চের টিকিট ১৯ মার্চ ও ৩০ মার্চের টিকিট ২০ মার্চ পাওয়া যাবে৷
এছাড়া, চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ৩১ মার্চ এবং ১ ও ২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে। ঈদ যাত্রা সব টিকিট অনলাইনে ক্রয় করতে হবে। ঈদযাত্রায় এবার প্রতিদিন ঢাকা থেকে ৩৫ হাজার ৩১৫টি অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে।
বিগত বছরগুলোতে ঈদযাত্রায় ৮ থেকে ১০ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালাতো বাংলাদেশ রেলওয়ে। কিন্তু এবার সেটি কমিয়ে ৫ জোড়া করা হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল ১ ও ২ নামে দুটি এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে; ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল ৩ ও ৪ নামে একজোড়া ট্রেন চালানো হবে; ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার রুটে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল ৫ ও ৬ নামে এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে; ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল ৭ ও ৮ নামে এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে এবং জয়দেবপুর-পার্বতীপুর-জয়দেবপুর রুটে পাবর্তীপুর ঈদ স্পেশাল ৯ ও ১০ নামে এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে।
ঈদে অতিরিক্ত চাহিদা মেটানোর জন্য মোট ৪৪টি (পাহাড়তলী ওয়ার্কশপ থেকে ২৮টি মিটারগেজ ও সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ থেকে ৩৬টি ব্রডগেজ) যাত্রীবাহী কোচ সার্ভিসে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। অতিরিক্ত চাহিদা মেটানোর জন্য মোট ১৯টি (মিটারগেজ ১৪টি ও ব্রডগেজ থেকে ৫টি) লোকোমোটিভ যাত্রীবাহী ট্রেন ব্যবহারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করা সব আন্তঃনগর ট্রেনের ডে-অফ (সাপ্তাহিক ছুটি) বাতিল করা হয়েছে। ২৭ মার্চ থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এসব ট্রেনের কোনো ডে-অফ থাকবে না। ঈদের পরে যথারীতি সাপ্তাহিক ডে-অফ কার্যকর থাকবে। এছাড়া ঈদের দিন কোনো আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে না।
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি গত শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল থেকে শুরু হয়।
ঢাকা/হাসান/মাসুদ