নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে দাবিকৃত ২ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় প্রতিপক্ষের লোকজন এক ব্যবসায়ী ও তার ভাইকে পিটিয়ে আহত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার  (২০ মার্চ) সকালে উপজেলার তারাব পৌরসভার গন্ধর্বপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নাইম আল মাসুদ বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। 


ভুক্তভোগী নাইম আল মাসুদ জানান, তিনি গন্ধর্বপুর এলাকায় একটি প্রিন্টিং কারখানা স্থাপন করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। নাইমের বাড়ির পাশে সরকারিভাবের রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছে। তার প্রতিবেশী নজরুল ইসলাম, অলিউল্লাহ, সাইফুদ্দিন, আফাজউদ্দিন, সাদ্দাম হোসেন, হযরত আলী সেই রাস্তা নাইমের বাড়ির থেকে সংযোগ সড়ক দেওয়ার জন্য ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাদের দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় প্রতিপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নাইমকে এলোপাথারিভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। নাইমের ভাই ছায়েম তাকে বাচাঁতে এগিয়ে আসলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকেও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় তাদের সাথে থাকা ৫০ হাজার  টাকাও তারা লুট করে নিয়ে যায় । এ ব্যাপরে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, এ ধরনের ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

মারমাদের মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব যে কারণে হয়, যেভাবে এল

মারমা জনগোষ্ঠীর সাংগ্রাইং উৎসবের এক গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হয়ে আছে ‘মৈতা রিলং পোয়ে’ বা মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব। এই উৎসবে পরস্পরের দিকে পানি ছিটিয়ে মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ হন মারমারা। ‘সাংগ্রাইংমা ঞি ঞি ঞা ঞা রিকোজাই পামে’(এসো হে সাংগ্রাইংয়ে সবাই মৈত্রী পানিবর্ষণে) গানটিও দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আছে এই উৎসবের ‘থিম সং’।

গবেষক ও মারমা জনগোষ্ঠীর প্রবীণ ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসবের শুরু গত শতকের সত্তরের দশকে। কিছু তরুণ মিয়ানমারে সাংগ্রাইং উৎসবে এ ধরনের আয়োজন দেখে দেশেও এর প্রচলন করেন। আর ‘সাংগ্রাইংমা ঞি ঞি ঞা ঞা রিকোজাই পামে’ উৎসবের থিম সং হয়েছে ১৯৮৪ সালে।

মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসবকে অনেকেই ‘জলকেলি’ ও ‘পানি খেলা’ বলে থাকেন। তবে এসব নাম আপত্তিকর বলে মনে করেন মারমা সমাজের অনেকেই। তাঁদের দাবি, এর মধ্য দিয়ে ধর্মের যোগ থাকা অনুষ্ঠানটি ভুলভাবে উপস্থাপন হয়।

এবারের সাংগ্রাইং উপলক্ষে আজ বুধবার থেকে বান্দরবান জেলা শহরে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব শুরু হয়েছে। তবে জেলার অন্যান্য জায়গায় গতকাল মঙ্গলবার এই উৎসব শুরু হয়। খাগড়াছড়িতে কোথাও কোথাও সোমবার শুরু হয়েছে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব।

মারমা জনগোষ্ঠীর প্রবীণদের একজন শিক্ষাবিদ থোয়াইংচ প্রু। তিনি প্রথম আলকে বলেন, সাংগ্রাইং আখ্যেয়া বা মূল সাংগ্রাই দিনে বুদ্ধমূর্তি স্নানের আগে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব হয় না। এটা প্রথাসিদ্ধ রীতি। তাই মৈত্রী পানিবর্ষণের সঙ্গে ধর্মের যোগ বেশ স্পষ্ট। তিনি বলেন, পানিকে মারমারা পবিত্র মনে করে। তাই সাংগ্রাইং উৎসবে বন্ধুত্বের বন্ধন এবং পরস্পরের প্রতি মৈত্রী ভাবনা নবায়ন ও সুদৃঢ় করার জন্য একে-অপরের দিকে পানি ছোড়েন। পানি ছিটানোর পর কেউ বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখালে বোঝা যাবে, বন্ধুত্বের সম্পর্কে ও বন্ধনে টানাপোড়েন আছে। এটিই মৈত্রী পানিবর্ষণের মূল্যবোধ। এ কারণে অনেক সময় অযাচিত কাউকে পানিবর্ষণ করলে আগে সালিসের মুখোমুখিও হতে হতো।

মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসবে মেতেছেন মারমা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা। গতকাল বান্দরবানের ডলুপাড়ায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ