অন্তবর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় বৃহস্পতিবার ৬টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে জানানো হয়েছে, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের সংশোধনী পাস হয়েছে।
এছাড়া সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা বাড়াতে এবং সিন্ডিকেট ভাঙতে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অধ্যাদেশের সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রাক্কলিত মূল্যের ১০ পার্সেন্টের কম হলে টেন্ডার প্রস্তাব বাতিলের যে বিধান তা বাতিল করা হয়েছে। পূর্বের কাজের মূল্যায়নের জন্য যে ম্যাট্রিক্স ছিল, যেটা থাকার কারণে একই প্রতিষ্ঠান বারবার কাজ পেত, তা বদলে নতুন সক্ষমতা ম্যাট্রিক্স করা হবে। এতে করে সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব হবে। বর্তমানে ৬৫ শতাংশ কাজের দরপত্র বা টেন্ডার অনলাইনে হচ্ছে। এটিতে শতভাগে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
অন্যদিকে পরিত্যক্ত বাড়ি বরাদ্দপ্রাপ্তরা আগে নিজ নামে নামকরণ করতে পারতেন না। সেই অসুবিধা দূর করতে আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে।
এছাড়া জনসাধারণের সুবিধার জন্য ৩ এপ্রিল একদিন ঈদের ছুটি বাড়ানো হয়েছে। একইসঙ্গে পাবর্ত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী সকল জনগোষ্ঠীর সামাজিক দিবসে ঐচ্ছিক ছুটি ঘোষণার বিধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এখন থেকে ঢাকায় অবস্থিত অস্ট্রেলিয়া হাইকমিশন থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা প্রসেস করা হবে। এজন্য আর ভারতে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। একইসঙ্গে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের আবাসন ও যানবাহনের বিষয়ে উত্থাপিত দাবির বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণে প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
শাস্তির মুখোমুখি জাবির ২৯৮ শিক্ষক-শিক্ষার্থী
জুলাই আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় মদদ দেওয়ায় নয়জন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রশাসন। একইসঙ্গে হামলায় জড়িত ২৮৯ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ মার্চ) প্রায় চৌদ্দ ঘণ্টাব্যাপি চলা সিন্ডিকেট সভা শেষে রাত ৩টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন জাবি উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান।
সিন্ডিকেট সভা সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ি ১৫-১৭ জুলাই জাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় মদদ দেওয়ায় নয়জন শিক্ষককে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে ১৪-১৭ জুলাই আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত থাকায় ২৮৯ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত এসব শিক্ষার্থীদের সবাই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন বলে জানা গেছে।
আরো পড়ুন:
ক্যাম্পাসে সাংবাদিকরা সবচেয়ে বেশি ট্যাগিংয়ের শিকার হয়: জাবি উপাচার্য
জাবির সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের স্থায়ী ভবন দাবি
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক ও সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য একটি স্ট্রাকচার্ড কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি ওই হামলার ঘটনায় আরো ১০ জন শিক্ষকের সংশ্লিষ্টতা ও অপরাধের মাত্রা বিবেচনায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রদান করবেন।
বহিষ্কৃতদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িতদের সনদপত্র স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পরীক্ষা দিয়েছেন এমন শিক্ষার্থীদের ফলাফল স্থগিত এবং বিশেষ ক্ষেত্রে সনদপত্র স্থগিত করা হবে বলে জানানো হয়েছে। আর নিয়মিত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষতা ও শৃঙ্খলা অধ্যাদেশ এর আওতায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মকর্তারা না পড়লেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে দায়ের কারণে অবসরপ্রাপ্তদের সংশ্লিষ্টতা যেখানে আছে, সেখানে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার দায়ে জাবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম এবং রেজিস্ট্রার আবু হাসানের পেনশন তদন্ত কার্যক্রম ও বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্থগিতের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
জুলাই হামলার সংশ্লিষ্টতার ঘটনায় দুইজন কর্মকর্তা ও একজন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ঢাকা/আহসান/মেহেদী