ছড়িয়েছে নতুন এক প্রেমের গল্প। কাহিনিতে প্রেমিক নিশান, প্রেমিকা জেরিন। ভালোবাসার শুরুর ঘটনাগুলো জানা যায়নি এখনও। সম্পর্কের কিছু পথ পেরিয়ে যাবার পর থেকে গল্পের বর্ণনা এমন– নিশানের জন্য ফুল কুড়িয়ে দেয়ার ইচ্ছে জেরিনের; সঙ্গে কিছু ভুলও। ইচ্ছে কাজল চোখে নিশানের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে হেসে দেয়ার।

নিশানের ইচ্ছেও কম কিছু না। জেরিনকে ভেবে সন্ধ্যা নামাতে চায় সে। জমানো কান্না আর অভিমান ভুলে ফিরে আসার বাসনা নিশানের। জেরিনও জানে, তাকে ছেড়ে নিশান আর কোথায় যাবে, কাকে বলবে ভালোবাসার কথা। তাই প্রেমিকার কাছে নিশানের হৃদয় উজার করা আকুতি, সে যেন নিশানকে ভালোবেসে আগলে রাখে, মনটাকে ছুঁয়ে দেয়। নিশানের বিশ্বাস, তার জন্ম–মৃত্যুও জানে, জেরিন ছাড়া তার জীবন শূন্য।

গল্পগুলো এসেছে গানে গানে। ’একটুখানি মন’ শিরোনামের গানে এভাবেই বলা হয়েছে নিশান–জেরিনের ভালোবাসার গল্প। ২০ মার্চ দুপুরে প্রকাশ পেয়েছে ’দাগি’ সিনেমার প্রথম গান। যে নিশান ও জেরিনের কথা বলা হচ্ছে সেটি মূলত সিনেমার চরিত্রের নাম। এ দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন আফরান নিশো ও তমা মির্জা।

সাজিদ সরকারের সুর ও সংগীতায়োজনে ’একটুখানি মন’ শিরোনামের গানটি গেয়েছেন তাহসান খান ও মাশা ইসলাম। গানটি লিখেছেন জনপ্রিয় কবি ও ঔপন্যাসিক সাদাত হোসাইন। আগেও তিনি, শিহাব শাহীন ও সাজিদ সরকার এক সঙ্গে কাজ করেছেন। সাদাত হোসাইন জানান, তিনি কখনই গান লেখার চেষ্টা করেন না। তিনি লেখেন কবিতা। পরে সেটি শ্রোতাদের সামনে আসে গান হয়ে।

’একটুখানি মন’ গানটি লেখার পেছনের গল্প জানিয়ে সাদাত হোসাইন বলেন, ’একটা অস্থির সময় যাচ্ছে। তাই লেখার সময় শব্দ–বাক্যে স্নিগ্ধতা রাখতে চেয়েছি। গানটির মধ্যে একটা সম্মোহন শক্তি রয়েছে বলে আমার মনে হয়েছে। এর জন্য আমি সাজিদ সরকার এবং শিহাব শাহীনকে ধন্যবাদ দেব। তবে বেশি ধন্যবাদ দেব নির্মাতাকে। গানের প্রত্যেকটি ড্রাফট তিনি আমাকে শুনিয়েছেন, শব্দ যুক্ত করা বা বাদ দেয়ার ব্যাপারে কথা বলে নিয়েছেন। অনেক কথার পর সুর–শব্দ নিয়ে আমরা একটা যৌক্তিক যায়গায় আসতে পেরেছি। আশা করছি গানটি শ্রোতা–দর্শকদের ভালো লাগছে।’

’একটুখানি মন’ গানটি নিয়ে কণ্ঠশিল্পী মাশা ইসলাম বলেন, ’সবাই চাইছিল গানটিতে যেন আমি কণ্ঠ দেই। আমিও ভাবলাম, গানটি ঠিকমতো রেকর্ড করে দেখি কী হয়। প্রথমে শুনেই গানটির সুর খুব ভালো লেগেছে, তাছাড়া ঈদের সিনেমার গান এটি। সব মিলিয়ে আমারও আগ্রহ ছিল। চেষ্টা করেছি সেরাটা দিয়ে কাজটি করার।’

এই গানের মাধ্যমে ১০ বছর পর সিনেমায় আবার এক হলেন নির্মাতা শিহাব শাহীন ও সুরকার সাজিদ সরকার। গানটি তৈরীর গল্প বলতে গিয় সাজিদ সরকার বলেন, ’আমরা একটা সুন্দর রোমান্টিক গান করতে চেয়েছি। সাদাত হোসাইন দারুণ লিখেছেন। শব্দের নিজস্ব একটা অনুভূতি আছে। সেটাকে শ্রোতাদের কাছে আরও প্রানবন্ত করে তোলাটাই ছিল আমার কাজ। শুধু গানটাই নয়, পুরো সিনেমার যে আবহ, তার সঙ্গেও যেন সুরটা যায়, সেটাও আমাদের ভাবনায় ছিল। এখন গানটি শ্রোতারা শুনছেন, তারাই বলবেন কেমন লাগছে।’

১ মিনিট ৪২ সেকেন্ডের গান ভিডিওতে সিনেমার নতুন কিছু দৃশ্য পাওয়া গেছে। যেখানে আফরান নিশো এবং তমা মির্জাকে পাওয়া গেছে বেশ রোমান্টিক মুডে। ভিন্নি লুক এবং পরিস্থিতিও প্রকাশ পেয়েছে কিছু দৃশ্যে। এর আগে ১১ মার্চ প্রকাশ পায় সিনেমাটির টিজার।

এসভিএফ আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড এবং চরকি প্রযোজিত সিনেমায় অভিনয় করেছেন সুনেরাহ বিনতে কামাল, শহীদুজ্জামান সেলিম, গাজী রাকায়েত, মিলি বাশার, রাশেদ মামুন অপুসহ অনেকে। ’দাগি’ মুক্তি আর প্রায়শ্চিত্তের গল্প, এ ধরনের গল্প দেশের দর্শক দেখেনি বলে জানিয়েছন নির্মাতা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নত ন স ন ম নত ন গ ন স দ ত হ স ইন স জ দ সরক র একট খ ন

এছাড়াও পড়ুন:

শত বছরের ‘দারোগা মসজিদ’

সড়কের সঙ্গে লাগানো শানবাঁধানো পুকুর ঘাট। পাশে বিশাল চওড়া ফটক‌। ফটকের ওপর কারুকাজে নির্মিত চারটি মিনার। মাঝখানে একটি ফিরোজা রঙের গম্বুজ। মিনার-গম্বুজের সুউচ্চ ফটক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলে ১৪টি ছোট-বড় মিনার ও তিনটি গম্বুজবিশিষ্ট প্রাচীন মসজিদ চোখে পড়বে। চট্টগ্রামের সাতকানিয়া পৌরসভার রূপকানিয়া এলাকার এই মসজিদের নাম হেদায়েত আলী চৌধুরী মসজিদ। এলাকাবাসীর কাছে ‘দারোগা মসজিদ’ হিসেবে পরিচিত।

প্রায় ১১৫ বছর আগে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। চারপাশে কারুকাজ করা সীমানাদেয়াল‌। দক্ষিণ পাশে একটি মাদ্রাসা ও মধ্য রূপকানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। উত্তর পাশে মসজিদের সীমানাদেয়াল ঘেঁষে স্থানীয় মানুষের কবরস্থান। ২০০৬ সালে ফটক ও মসজিদের মাঝামাঝি খালি জায়গা সংস্কার করে নামাজ আদায়ের জন্য মূল মসজিদের সঙ্গে একীভূত করা হয়েছে।

যে কারও দৃষ্টি কাড়ে মসজিদের প্রধান ফটকটি

সম্পর্কিত নিবন্ধ