শিল্পী পরিচয় নিয়েই জীবনের বাকি পথটা পাড়ি দেব: অবন্তী সিঁথি
Published: 20th, March 2025 GMT
‘যখন বুঝতে পারলাম, শ্রোতা আমার কণ্ঠে মেলোডি গান শুনতেই বেশি পছন্দ করেন, তখন থেকে ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণের দিকেই মনোযোগী ছিলাম। কিন্তু এও সত্যি যে, ভার্সেটাইল শিল্পী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে গানের ভুবনে পা রেখেছিলাম। সেই চেষ্টা কখনও থেমে ছিল না। এই সময়ে এসে মনে হলো, এবার গায়কীতে নিজেকে ভেঙে আরও নতুনভাবে নিজেকে তুলে ধরা যায়। মেতে ওঠা যায় নিরীক্ষাধর্মী আয়োজনে। সেই ভাবনা থেকেই গান নিয়ে একের পর এক এক্সপেরিমেন্ট করে যাচ্ছি।’
অবন্তী সিঁথির এ কথা থেকে স্পষ্ট যে, আগামী দিনগুলোয় শ্রোতারা তাঁকে আরও নতুনভাবে আবিষ্কারের সুযোগ পাবেন। তার আভাসও পাওয়া গেল যখন অবন্তী জানালেন, এরই মধ্যে তাঁর জীবনসঙ্গী অমিত দে’র সঙ্গে একটি এক্সপেরিমেন্টাল প্রজেক্ট হাতে নিয়েছেন। সেখানে সুরকার ও সংগীত পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন মিঠুন চক্র। সঙ্গে আরও আছেন গীতিকার রাসেল রহমান।
শুধু তাই নয়, এই ত্রয়ী ক’দিন আগে ‘সহসা’ শিরোনামে একটি গান তৈরি করছেন। সামনে আরও কিছু কাজের পরিকল্পনা আছে। এ গেল নিরীক্ষাধর্মী আয়োজনের। এ সময়ের আলোচিত শিল্পীদের সঙ্গে কয়েকটি দ্বৈত গানও রেকর্ড করে ফেলেছেন। আর সেই গানগুলোয় পাওয়া যায় সময়ের ছাপ।
তাই এ কথা নিশ্চিন্তে বলা যায়, ‘দখিন হওয়া’, ‘মনটা বাড়িয়ে’, ‘গা ছুঁয়ে বলো’, ‘পাখি পাখি মন’, ‘রূপকথার জগতে’, ‘মায়া কারে বলে’, ‘আবছায়া’, ‘কেমন আছো বন্ধু তুমি’, ‘রাগ কমলে ফোন করিস’, ‘এত প্রেম এত মায়া’, ‘জলকণা’, ‘কথার জোনাকি’, ‘তোমার জন্য’, ‘বলে দিলেই তো হয়’, ‘আদরের নাও ছুঁয়ে’-এর মতো শ্রুতিমধুর আরও কিছু নতুন গান এই শিল্পীর কণ্ঠে শিগগিরই শোনার সুযোগ হবে।
এটুকু আশা করা বাহুল্য নয় এ কারণে যে, অবন্তী সিঁথি অনেক দিন আগেই পুরোনো পরিচয় ঝেড়ে ফেলে পুরোদস্তুর গানের মানুষ হয়ে উঠেছেন। কেন এমন সিদ্ধান্ত, তা সরাসরি জানিয়েও দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, শুরুতে ‘শিক্ষক ও শিল্পী’ দুই পরিচয় নিয়ে পথচলা শুরু করেছিলাম। ‘দুই নৌকায় পা দিয়ে চলা কি খুব কঠিন?’
দনিজের কাছে এটাই ছিল প্রশ্ন। এও মনে হয়েছিল, পেশা আর নেশার জন্য একসঙ্গে দুই ধরনের কাজ তো করা যেতেই পারে। দেখি না কী হয়। ব্যস, এই ভাবনা থেকেই শিক্ষকতা আর গানের চর্চা চালিয়ে গেছি। কিন্তু পরে বুঝতে পারলাম, একসঙ্গে দুই রকম পরিচয় বহন করা, কাজ চালিয়ে যাওয়া সহজ নয়। সবাই এটা পারে না। এ কারণেই গুণীজনরা বলেন, ‘দুই নৌকায় পা দিয়ে চলতে নেই।’ তাদের সেই কথা মেনেই শেষমেশ একটা পথই বেছে নিয়েছি। যে পথের পথিকদের সখ্য শুধু সংগীতের সঙ্গে। শেষমেশ এই সিদ্ধান্তে এসেছি, কণ্ঠশিল্পী পরিচয় নিয়েই জীবনের বাকি পথটা পাড়ি দেব। আর এই সিদ্ধান্ত নেওয়াটা সহজ হয়েছে আমার আমার জীবনসঙ্গী অমিত দে’র কারণে। তাঁর পাশাপাশি শ্বশুরবাড়ির সবার কাছে গানের জন্য উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা পাচ্ছি। সবচেয়ে কাছের মানুষ যখন কোনো কাজে উৎসাহ দেন, অনুপ্রেরণা জোগান সৃষ্টির নেশায় মেতে ওঠার, তখন কোনোভাবেই পিছিয়ে থাকার অবকাশ থাকে না।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অবন ত স থ
এছাড়াও পড়ুন:
এক শর্তে ইয়ামালের সঙ্গে নাচবেন লেভা
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। ম্যাচে জোড়া গোল করেন স্টাইকার রবার্ট লেভানডভস্কি। একটি করেন গোল করেন রাফিনিয়া ও লামিনে ইয়ামাল।
বার্সার জার্সিতে গোল করে নেচে উদযাপন করতে দেখা যায় ইয়ামালকে। তার নাচে সঙ্গ দেন জাতীয় দল ও ক্লাবের সতীর্থ অ্যালেক্সজান্দ্রে বার্লে। কিন্তু পাশে থাকা লেভাকে নাচে যোগ দিতে দেখা যায়নি।
বিষয়টি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ৩৬ বছর বয়সী পোলিশ স্ট্রাইকার এক শর্ত দিয়েছেন। ইয়ামালের বয়স তার অর্ধেকও হয়নি। লেভা তাই শর্ত দিয়েছেন, ইয়ামালের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলে তার সঙ্গে নাচবেন তিনি।
প্রায় ১৯ বছরের ছোট ইয়ামালকে নিয়ে লেভানডভস্কি বলেন, ‘কারণ তার বয়স এখনো ১৮ হয়নি। আমরা তার ১৮ বছরের অপেক্ষায় আছি। এরপর একসঙ্গে নাচব, উদযাপন করবো। আমরা তাকে বলেছি- লামিনে আমাদের উচিত তোমার বয়স ১৮ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা। এরপর কোথায় একসঙ্গে নাচব আমরা।’
লামিনে ইয়ামালের অবশ্য বয়স ১৮ হতে খুব বেশি দেরি নেই। চলতি বছরের ১৩ জুলাই ১৮ বছর পূর্ণ করবেন বাঁ-পায়ের এই ফুটবলার। তার আগেই অবশ্য তার সামনে লা লিগা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, কোপা দেল রে জয়ের সুযোগ। এরই মধ্যে তিনি জাতীয় দলের হয়ে ইউরো এবং বার্সার হয়ে সুপার কাপ জিতেছেন।
চলতি মৌসুমে লা লিগায় লেভা, রাফিনিয়া ও ইয়ামালের জুটি জমে উঠেছে। তারা মৌসুমে ৮২ গোল করেছেন। চলতি মৌসুমে সব শিরোপা জয়ের ভালো সম্ভাবনা আছে বার্সা। লিগ টেবিলে শীর্ষে আছে তারা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছে। রিয়ালের বিপক্ষে খেলবে কোপা দেল রে’র ফাইনাল।