ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই করে গণধোলাই
Published: 20th, March 2025 GMT
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইয়ের অভিযোগে মশিউর রহমান (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকালে সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের জামতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটক মশিউর রহমান চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার নিউ ইসলামপুর মহল্লার খাইরুল বাসারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, সকালে জামতলা এলাকায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে জেলার নাচোলের এক বাসিন্দার কাছ থেকে ২৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন মশিউর রহমান। এ সময় সন্দেহ হওয়ায় তার পরিচয়পত্র দেখতে চান স্থানীয়রা। পরিচয়পত্র দেখাতে না পারায় মশিউর রহমানকে বেঁধে গণধোলাই দেওয়া হয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাকে নিয়ে যায়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মো.
ঢাকা/শিয়াম/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নরসিংদীতে এনআইডির তথ্য বিক্রির অভিযোগে নির্বাচন কার্যালয়ের দুই কর্মচারী গ্রেপ্তার
জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য বিক্রির অভিযোগে নরসিংদীর রায়পুরার উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের দুই অপারেটরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দালালের মাধ্যমে ও অর্থের বিনিময়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য সংশোধন ও হস্তান্তর করতেন তাঁরা। গত ছয় মাসে ওই দুজনের বিকাশ নম্বরে ১৪ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন রায়পুরা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের স্ক্যানিং অপারেটর আশিকুল আলম ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নাহিদুল ইসলাম। গতকাল বুধবার দিনভর তদন্ত শেষে উপজেলার নির্বাচন কার্যালয়ে রাত আটটার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাচন কর্মকর্তা দ্বীন মোহাম্মদ রাসেল।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রায়পুরা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের দুই অপারেটরের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে ও দালালের মাধ্যমে অবৈধভাবে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য বিক্রির অভিযোগ ছিল। এ ঘটনা তদন্তে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। ওই কমিটির প্রধান করা হয় কমিশনের আইডিইএ প্রকল্পের আইটি পরিচালক সাদ ওয়ায়েজ তানভীরকে। গতকাল তদন্ত কমিটির সদস্যরা সরেজমিনে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়ে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পান। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁদের থানা-পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে।
সাদ ওয়ায়েজ তানভীর জানান, অভিযুক্ত আশিক ও নাহিদুল এনআইডি তথ্য বিক্রির মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তাঁদের বিকাশ নম্বর বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত ৬ মাসে ১৪ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শুধু আশিকুল আলমের বিকাশ নম্বরেই ১২ লাখ টাকা লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত দুই কর্মচারী বিভিন্ন দালালের মাধ্যমে এনআইডি সংশোধন ও গোপন তথ্য হস্তান্তর করে এসব অর্থ পেয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন।
জানতে চাইলে রায়পুরার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দ্বীন মোহাম্মদ রাসেল জানান, ‘তাঁরা দুজন দালালের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য বিক্রি করছিলেন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গতকাল রাতেই আমি তাঁদের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।’
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আদিল মাহমুদ জানান, এ ঘটনায় ওই নির্বাচন কর্মকর্তার দেওয়া লিখিত অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। আজই তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।