অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় সীমান্তে নাইজেরিয়ার নাগরিক গ্রেপ্তার
Published: 20th, March 2025 GMT
ফেনীর পরশুরাম সীমান্তে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার সময় নাইজেরিয়ার এক নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গতকাল বুধবার মধ্যরাতে সীমান্তের পরশুরাম পৌরসভার বাউরপাথর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার নাইজেরিয়ানের নাম নওসু ইজুচুকু ক্যালিস্টাস (২৭)।
বিজিবি জানায়, পরশুরাম পৌরসভার বাউরপাথর এলাকায় সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের সময় এক নাইজেরিয়ানকে আটক করে বিজিবি। এ সময় তাঁর কাছে পাসপোর্ট, ভিসা বা ভ্রমণের বৈধ কাগজ পাওয়া যায়নি।
বিজিবির জিঙ্গাসাবাদে আটক নাইজেরিয়ান তরুণ জানান, তিনি কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিকের সহায়তায় বাউরপাথর এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভিসা ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন।
বিজিবি ৪ ফেনী ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.
পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম প্রথম আলোকে বলেন, বিজিবির হাতে আটক নাইজেরিয়ানকে ফরেনার অ্যাক্টের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন ইজ র য় ন পরশ র ম
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে নববর্ষেও স্কুলে পাঠদান, প্রধান শিক্ষক বললেন অপরাধের কিছু নেই
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে পহেলা বৈশাখের দিন সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারের বিভিন্ন দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করলেও সোনারগাঁয়ে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বৈদ্যেরবাজার নেকবর আলী (এনএএম) পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে চলছে পাঠদান।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল থেকে এই স্কুলে ষষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে দেখা গেছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন বলেন, যেহেতু বিদ্যালয়টি বর্তমানে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র তাই বেশিরভাগ সময়ই বন্ধ থাকে। তাই শিক্ষার্থীদের পড়া যেন পিছিয়ে না যায় সেজন্য শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করানো হচ্ছে। এতে তো অপরাধের কিছু নেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ বৈদ্যেরবাজার নেকবর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের স্কুল ড্রেস পরিহিত অবস্থায় বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষে ষষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত চলছে পাঠদান কর্মসূচি।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহসভাপতি অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন হাতে বেত নিয়ে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাইমুনা ইসলাম জানান, আমাদের শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে আসতে বললে তো আসতেই হবে। আমাদের ক্লাস করানো হবে বলে বই-খাতা নিয়ে আসার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আগামী বছর আমাদের এসএসসি পরীক্ষা তাই শিক্ষকরা ক্লাস করানো হবে বলে জানিয়েছেন।
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান জানান, রোববার শিক্ষকরা ক্লাস করানো হবে জানিয়ে আমাদের বই-খাতা নিয়ে স্কুলে আসতে বলেছে তাই আজকে আসছি।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক বশির উদ্দিন জানান, বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ও প্রধান শিক্ষকের নির্দেশনায় শিক্ষার্থীদের ক্লাস করানো হচ্ছে। এখানে আমরা চাকরি করি তাই তাদের নির্দেশনা পালন করতে হবে।
ক্লাস করানোর সময় আরেকজন শিক্ষক জানান, এবার বই দিতে অনেক বিলম্ব হয়েছে। তাই ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনায় পিছিয়ে রয়েছে। এজন্য আজকে ক্লাস করানোর নিয়ম না থাকলেও শিক্ষার্থীদের নিয়ে এসে ক্লাস করানো হচ্ছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই, আপনাদের মাধ্যমেই জানতে পারলাম। এমন একটি দিনে ক্লাস করানো ঠিক হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।