ভারতের ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনী ও সশস্ত্র মাওবাদীদের সংঘর্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও অন্যরা মাওবাদী বিদ্রোহী। দক্ষিণ ছত্তিশগড়ের দান্তেওয়াড়া ও বিজাপুর সীমান্তের জঙ্গলে বৃহস্পতিবার এ সংঘর্ষ হয়।

পৃথক ঘটনায় অবুঝমাড়ে নকশালপন্থীদের আইইডি বিস্ফোরণ ঘটেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হননি।

চলতি বছর ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনায় ৮৫ জনের মতো মাওবাদী বিদ্রোহী প্রাণ হারিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৬৯ জন প্রাণ হারান বস্তার এলাকায়।

দান্তেওয়াড়া সীমান্তের কাছে বিজাপুর জেলার গঙ্গালুর পুলিশ ফাঁড়ির অধীন এক জঙ্গলে সকাল ৭টার দিকে সংঘর্ষের ওই ঘটনা ঘটে। এর আগে সেখানে মাওবাদী বিদ্রোহীদের উপস্থিতির তথ্য পেয়ে অভিযান চালান নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। বস্তার রেঞ্জের পুলিশ মহাপরিদর্শক সুন্দরাজ পি এই তথ্য জানিয়ে বলেছেন, দুপক্ষের মধ্যে থেমে থেমে কয়েক ঘণ্টা সংঘর্ষ হয়েছে।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সংঘর্ষের সময় গুলিতে বিজাপুর ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের (ডিআরজি) এক সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহত হয়েছেন ১৮ মাওবাদী বিদ্রোহীও। ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তল্লাশি অভিযান চলছে।

ইতিমধ্যে নারায়ণপুর জেলার অবুঝমাড় এলাকার জঙ্গলে দিবাগত রাত তিনটার দিকে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান চলার সময় কিছু বিদ্রোহী একটি আইইডির বিস্ফোরণ ঘটান। অবশ্য এতে হতাহত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি।

দুপক্ষের মধ্যে থেমে থেমে কয়েক ঘণ্টা সংঘর্ষ হয়েছে।সুন্দরাজ পি, বস্তার রেঞ্জের পুলিশ মহাপরিদর্শক

নিরাপত্তা বাহিনীর একজন কর্মকর্তা বলেন, বিস্ফোরণে এক জওয়ান ও এক কর্মকর্তার চোখে ধুলো যায়। দুজনকেই ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাঁরা নিরাপদ আছেন।

চলতি বছর ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনায় ৮৫ জনের মতো মাওবাদী বিদ্রোহী প্রাণ হারিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৬৯ জন প্রাণ হারান বস্তার এলাকায়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ঘর ষ র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: একজনের স্বীকারোক্তি, আরেকজন কারাগারে

রাজধানীর পল্লবীর বারনটেকের ‘গ্রিন সিটি’ এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনে এক নারীকে রাতভর আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় এনামুল হক নামে একজন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়া হামিদুর রহমান রাসেল নামে আরেকজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (১৯ মার্চ) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কাইয়ূম দুই আসামিকে আদালতে হাজির করেন। এনামুল হক স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। হামিদুর রহমানের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের আদালত এনামুল হকের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিকে আরেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথির আদালতে হামিদুর রহমানের রিমান্ডের বিষয়ে শুনানির জন্য ছিলো। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবুল কাইয়ূম আদালতে উপস্থিত না থাকায় রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হয়নি। আগামী ২৩ মার্চ তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

পল্লবী থানার (নারী-শিশু) আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর আবুল কালাম আজাদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গত সোমবার দিবাগত রাতে পেশাগত কাজে ঘটনাস্থলে যান ওই নারী। এ সময় ১৬ জন তাকে ঘিরে ধরে। সেখান থেকে একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে তাকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় আটজনের নাম উল্লেখসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। মামলা দায়েরের পর মঙ্গলবার রাজধানীর পল্লবী এলাকা থেকে এনামুল হক এবং হামিদুর রহমান রাসেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ঢাকা/মামুন/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিএনপির ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ আশঙ্কা কেন?
  • যখন আমি নবীন চিত্রশিল্পী
  • নোবিপ্রবি ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে হয়রানির অভিযোগ
  • বৃদ্ধরা জানালেন, তরুণ বয়সে যেসব কাজ না করার জন্য তাঁরা এখন আক্ষেপ করেন
  • পেয়ার বিক্রেতার সঙ্গে অদ্ভুত অভিজ্ঞতা প্রিয়াঙ্কার
  • পাইকারি বাজারেও ক্রেতা কম
  • নড়াইলে চুন-সুরকির গোয়ালবাথান মসজিদ গরমে দেয় ঠান্ডার প্রশান্তি
  • নান্দাইলে বিএনপির ইফতার অনুষ্ঠান ঘিরে সংঘর্ষ, একজন গুলিবিদ্ধ, ১৪৪ ধারা জারি
  • সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: একজনের স্বীকারোক্তি, আরেকজন কারাগারে