কক্সবাজার এক্সপ্রেস ঢাকা-কক্সবাজার যাতায়াতের সময় শুধু চট্টগ্রাম স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেয়। পর্যটন মৌসুমে এই ট্রেনের টিকিটের চাহিদা প্রচুর। এই ট্রেনে চড়ে গত ৯ জানুয়ারি বিপাকে পড়েন শত শত যাত্রী। কেননা ওই দিন রাত সোয়া আটটায় ঢাকায় যাওয়ার পথে নরসিংদীতে ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। বিকল্প ইঞ্জিন এনে ট্রেন চালু করতে হয়। এতে গন্তব্যে পৌঁছাতে যাত্রীদের ৩ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট বিলম্ব হয়।

শুধু কক্সবাজার এক্সপ্রেস নয়, রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে একের পর এক আন্তনগর, লোকাল, কমিউটারসহ যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হচ্ছে মাঝপথে। এভাবে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়ছেন যাত্রীরা। বারবার ইঞ্জিন বিকল হওয়ার ঘটনায় ঈদযাত্রা পরিস্থিতি কী হতে পারে, তা নিয়ে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। অন্যান্য সময়ের তুলনায় ঈদের ছুটিতে ঘরে ফেরা মানুষের চাপ বাড়ে।

রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ২ মাসে ৫৬ বার ইঞ্জিন বিকল হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। জানুয়ারি মাসে ২৬ বার আর ফেব্রুয়ারি মাসে ৩০ বার। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বিকল হয়েছিল ৩১ বার। এতে গন্তব্যে পৌঁছাতে সর্বনিম্ন সোয়া ঘণ্টা থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে আট ঘণ্টা পর্যন্ত বাড়তি সময় লেগেছে যাত্রীদের।

রেলওয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, চাহিদা অনুযায়ী ট্রেন চালাতে যে পরিমাণ ইঞ্জিনের প্রয়োজন, তা নেই। জোড়াতালি দিয়ে ট্রেন সচল রাখতে হচ্ছে। ইঞ্জিনগুলো বিরতিহীনভাবে ব্যবহার করতে হচ্ছে। তাই বিকল হওয়ার ঘটনা ঘটছে। তবে ঈদের সময় যাতে মাঝপথে ইঞ্জিন বিকল না হয়, সে জন্য তাঁরা তৎপরতা শুরু করেছেন। ইঞ্জিন–সংকটের কারণে ঈদের সময় এবার পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলে বিশেষ ট্রেনের সংখ্যা ১০ জোড়া থেকে কমিয়ে ৫ জোড়া করা হয়েছে।

রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো.

সবুক্তগীন প্রথম আলোকে বলেন, ইঞ্জিন–সংকটের পাশাপাশি বিকল হওয়ার সমস্যাও রয়েছে। তবে ঈদের সময় যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোর ইঞ্জিন যাতে মাঝপথে বিকল হয়ে না যায়, সে জন্য তাঁরা কাজ করছেন।

বর্তমানে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে ২৯ জোড়া আন্তনগর, ৩০ জোড়া কমিউটার ও মেইল ট্রেন, ১৯ জোড়া লোকাল, ৪ জোড়া পণ্যবাহী ট্রেন, অর্থাৎ ১৬৪টি ট্রেন পরিচালনা করে। ঈদের সময় ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়বে। কেননা ঈদযাত্রায় যাত্রীবাহী ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হয়েছে। নিয়মিত ট্রেনের বাইরে বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। তখন চাপ আরও বেড়ে যাবে।

বারবার ইঞ্জিন বিকল হচ্ছে, শঙ্কা ঈদযাত্রায়

গত ২৭ জানুয়ারি সিলেট থেকে ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন দৌলতকান্দি-মেথিকান্দা সেকশনে এসে বিকল হয়ে যায়। ঢাকা থেকে ইঞ্জিন নিয়ে আসতে হয়। এতে ট্রেন পৌঁছাতে বিলম্ব হয় ৫ ঘণ্টা ১০ মিনিট। চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন বিকল হয়ে গিয়েছিল শমসেরনগরে। বিলম্ব হয় ৪ ঘণ্টা ২৫ মিনিট। চট্টগ্রাম থেকে ভূঞাপুরগামী ময়মনসিংহ মেইলের ইঞ্জিন গত ৫ জানুয়ারি রাত ১২টা ১০ মিনিটে বিকল হয়ে পড়ে। এতে দেরি হয়েছিল পৌনে ৯ ঘণ্টা। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী বিরতিহীন আন্তনগর সুবর্ণ এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনে ত্রুটি ধরা পড়ে গত ২২ জানুয়ারি। ওই ট্রেন ঢাকায় পৌঁছায় আড়াই ঘণ্টা দেরিতে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী কনটেইনারবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন আখাউড়ায় বিকল হয়ে যায়। এতে দেরি হয় ৮ ঘণ্টা ৪০ মিনিট।

আবদুল্লাহ আল মামুন নামের চট্টগ্রাম নগরের এক বাসিন্দা প্রথম আলোকে বলেন, গত ১ ডিসেম্বর সকালে সোনার বাংলা ট্রেনে করে চট্টগ্রামে ফিরছিলেন। কিন্তু মাঝপথে ট্রেনের ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যায়। পরে ইঞ্জিন মেরামত করে ট্রেন ছাড়লেও তা চট্টগ্রামে পৌঁছায় নির্ধারিত সময়ের প্রায় তিন ঘণ্টা পর। ওই দিন একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে তাঁর অংশ নেওয়া সম্ভব হয়নি।

রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে বর্তমানে ১৪০টি ইঞ্জিন আছে। এর মধ্যে ২০ বছরের পুরোনো রয়েছে ৮২টি। রেলের ইঞ্জিনের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল ধরা হয় ২০ বছর। ২০ বছরের কম, এ রকম ইঞ্জিন আছে ৫৮টি।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে রেল খাতে লাখকোটি টাকা ব্যয় হয়। বিশেষ করে রেলপথ নির্মাণ ও দৃষ্টিনন্দন স্টেশন নির্মাণে বিপুল অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। তবে ইঞ্জিন ও কোচের সংকটে নিরসনে মনোযোগ ছিল কম। শেষ ১২ বছরে মাত্র ৩৯টি ইঞ্জিন কেনা হয়েছিল। যার মধ্যে সর্বশেষ ২০২১ সালে কেনা হয় ২৯টি ইঞ্জিন। যেগুলোর মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

রেলওয়ের যান্ত্রিক প্রকৌশল বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে প্রতিদিন ১১৩ থেকে ১১৬টি ইঞ্জিন প্রয়োজন। কাগজে-কলমে ১৪০টি ইঞ্জিন থাকলেও পাওয়া যায় ৮০ থেকে ৮২টি। একটি ইঞ্জিন গন্তব্যে পৌঁছার পর কিছু সময়ের জন্য বিশ্রামে রাখতে হয়। কিন্তু তা সম্ভব হয় না। ফলে মাঝপথে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ মো. সামছুল হক প্রথম আলোকে বলেন, রেলে সেবার মান ও যাত্রী পরিবহনের সংখ্যা একেবারেই বাড়েনি। অর্থ ব্যয়, বিনিয়োগ সুবিবেচনাপ্রসূত হয়নি। ইঞ্জিন-কোচ সংগ্রহ করার চেয়ে অবকাঠামোগত উন্নয়নে নজর ছিল রেলের। প্রয়োজনের চেয়ে অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা ও ব্যয় হয়েছে বেশি। যার খেসারত দিচ্ছেন যাত্রীরা।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রথম আল ক ঈদ র সময় ম ঝপথ বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

মাঝপথে বারবার বিকল ট্রেনের ইঞ্জিন, দুর্ভোগ যাত্রীদের

কক্সবাজার এক্সপ্রেস ঢাকা-কক্সবাজার যাতায়াতের সময় শুধু চট্টগ্রাম স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেয়। পর্যটন মৌসুমে এই ট্রেনের টিকিটের চাহিদা প্রচুর। এই ট্রেনে চড়ে গত ৯ জানুয়ারি বিপাকে পড়েন শত শত যাত্রী। কেননা ওই দিন রাত সোয়া আটটায় ঢাকায় যাওয়ার পথে নরসিংদীতে ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। বিকল্প ইঞ্জিন এনে ট্রেন চালু করতে হয়। এতে গন্তব্যে পৌঁছাতে যাত্রীদের ৩ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট বিলম্ব হয়।

শুধু কক্সবাজার এক্সপ্রেস নয়, রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে একের পর এক আন্তনগর, লোকাল, কমিউটারসহ যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হচ্ছে মাঝপথে। এভাবে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়ছেন যাত্রীরা। বারবার ইঞ্জিন বিকল হওয়ার ঘটনায় ঈদযাত্রা পরিস্থিতি কী হতে পারে, তা নিয়ে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। অন্যান্য সময়ের তুলনায় ঈদের ছুটিতে ঘরে ফেরা মানুষের চাপ বাড়ে।

রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ২ মাসে ৫৬ বার ইঞ্জিন বিকল হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। জানুয়ারি মাসে ২৬ বার আর ফেব্রুয়ারি মাসে ৩০ বার। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বিকল হয়েছিল ৩১ বার। এতে গন্তব্যে পৌঁছাতে সর্বনিম্ন সোয়া ঘণ্টা থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে আট ঘণ্টা পর্যন্ত বাড়তি সময় লেগেছে যাত্রীদের।

রেলওয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, চাহিদা অনুযায়ী ট্রেন চালাতে যে পরিমাণ ইঞ্জিনের প্রয়োজন, তা নেই। জোড়াতালি দিয়ে ট্রেন সচল রাখতে হচ্ছে। ইঞ্জিনগুলো বিরতিহীনভাবে ব্যবহার করতে হচ্ছে। তাই বিকল হওয়ার ঘটনা ঘটছে। তবে ঈদের সময় যাতে মাঝপথে ইঞ্জিন বিকল না হয়, সে জন্য তাঁরা তৎপরতা শুরু করেছেন। ইঞ্জিন–সংকটের কারণে ঈদের সময় এবার পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলে বিশেষ ট্রেনের সংখ্যা ১০ জোড়া থেকে কমিয়ে ৫ জোড়া করা হয়েছে।

রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. সবুক্তগীন প্রথম আলোকে বলেন, ইঞ্জিন–সংকটের পাশাপাশি বিকল হওয়ার সমস্যাও রয়েছে। তবে ঈদের সময় যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোর ইঞ্জিন যাতে মাঝপথে বিকল হয়ে না যায়, সে জন্য তাঁরা কাজ করছেন।

বর্তমানে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে ২৯ জোড়া আন্তনগর, ৩০ জোড়া কমিউটার ও মেইল ট্রেন, ১৯ জোড়া লোকাল, ৪ জোড়া পণ্যবাহী ট্রেন, অর্থাৎ ১৬৪টি ট্রেন পরিচালনা করে। ঈদের সময় ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়বে। কেননা ঈদযাত্রায় যাত্রীবাহী ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হয়েছে। নিয়মিত ট্রেনের বাইরে বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। তখন চাপ আরও বেড়ে যাবে।

বারবার ইঞ্জিন বিকল হচ্ছে, শঙ্কা ঈদযাত্রায়

গত ২৭ জানুয়ারি সিলেট থেকে ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন দৌলতকান্দি-মেথিকান্দা সেকশনে এসে বিকল হয়ে যায়। ঢাকা থেকে ইঞ্জিন নিয়ে আসতে হয়। এতে ট্রেন পৌঁছাতে বিলম্ব হয় ৫ ঘণ্টা ১০ মিনিট। চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন বিকল হয়ে গিয়েছিল শমসেরনগরে। বিলম্ব হয় ৪ ঘণ্টা ২৫ মিনিট। চট্টগ্রাম থেকে ভূঞাপুরগামী ময়মনসিংহ মেইলের ইঞ্জিন গত ৫ জানুয়ারি রাত ১২টা ১০ মিনিটে বিকল হয়ে পড়ে। এতে দেরি হয়েছিল পৌনে ৯ ঘণ্টা। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী বিরতিহীন আন্তনগর সুবর্ণ এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনে ত্রুটি ধরা পড়ে গত ২২ জানুয়ারি। ওই ট্রেন ঢাকায় পৌঁছায় আড়াই ঘণ্টা দেরিতে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী কনটেইনারবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন আখাউড়ায় বিকল হয়ে যায়। এতে দেরি হয় ৮ ঘণ্টা ৪০ মিনিট।

আবদুল্লাহ আল মামুন নামের চট্টগ্রাম নগরের এক বাসিন্দা প্রথম আলোকে বলেন, গত ১ ডিসেম্বর সকালে সোনার বাংলা ট্রেনে করে চট্টগ্রামে ফিরছিলেন। কিন্তু মাঝপথে ট্রেনের ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যায়। পরে ইঞ্জিন মেরামত করে ট্রেন ছাড়লেও তা চট্টগ্রামে পৌঁছায় নির্ধারিত সময়ের প্রায় তিন ঘণ্টা পর। ওই দিন একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে তাঁর অংশ নেওয়া সম্ভব হয়নি।

রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে বর্তমানে ১৪০টি ইঞ্জিন আছে। এর মধ্যে ২০ বছরের পুরোনো রয়েছে ৮২টি। রেলের ইঞ্জিনের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল ধরা হয় ২০ বছর। ২০ বছরের কম, এ রকম ইঞ্জিন আছে ৫৮টি।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে রেল খাতে লাখকোটি টাকা ব্যয় হয়। বিশেষ করে রেলপথ নির্মাণ ও দৃষ্টিনন্দন স্টেশন নির্মাণে বিপুল অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। তবে ইঞ্জিন ও কোচের সংকটে নিরসনে মনোযোগ ছিল কম। শেষ ১২ বছরে মাত্র ৩৯টি ইঞ্জিন কেনা হয়েছিল। যার মধ্যে সর্বশেষ ২০২১ সালে কেনা হয় ২৯টি ইঞ্জিন। যেগুলোর মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

রেলওয়ের যান্ত্রিক প্রকৌশল বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে প্রতিদিন ১১৩ থেকে ১১৬টি ইঞ্জিন প্রয়োজন। কাগজে-কলমে ১৪০টি ইঞ্জিন থাকলেও পাওয়া যায় ৮০ থেকে ৮২টি। একটি ইঞ্জিন গন্তব্যে পৌঁছার পর কিছু সময়ের জন্য বিশ্রামে রাখতে হয়। কিন্তু তা সম্ভব হয় না। ফলে মাঝপথে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ মো. সামছুল হক প্রথম আলোকে বলেন, রেলে সেবার মান ও যাত্রী পরিবহনের সংখ্যা একেবারেই বাড়েনি। অর্থ ব্যয়, বিনিয়োগ সুবিবেচনাপ্রসূত হয়নি। ইঞ্জিন-কোচ সংগ্রহ করার চেয়ে অবকাঠামোগত উন্নয়নে নজর ছিল রেলের। প্রয়োজনের চেয়ে অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা ও ব্যয় হয়েছে বেশি। যার খেসারত দিচ্ছেন যাত্রীরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ