ঢাকার ধামরাইয়ে আবুল কাশেম (৫৭) নামের এক ব্যক্তিকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে তাকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে, বেলা ১২টা দিকে উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের জালসা এলাকায় দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়।

আবুল কাশেম জালসা এলাকার মৃত রইজ উদ্দিন মাস্টারের ছেলে ও ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন।

নিহতের ছোট ভাই খলিলুর রহমান বলেন, ‘‘বেলা ১২টার দিকে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পরই সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। রাজনৈতিক বিরোধের কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করছি।’’

সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইনচার্জ মো.

ইউসুফ বলেন, ‘‘মৃত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল।’’

গাংগুটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোজাম্মেল হক মোজা বলেন, ‘‘ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল কাশেম বাড়ি থেকে বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলেন। পথে দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।’’

ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকা/সাব্বির/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট

মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউম বাংলাদেশের সঙ্গে তাঁর দেশের বন্ধুত্ব ও দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। গত বুধবার মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী মেক্সিকো সিটির ন্যাশনাল প্যালেসে তাঁর কাছে আনুষ্ঠানিক পরিচয়পত্র পেশ করতে গেলে তিনি এ প্রত্যাশার কথা জানান।

মেক্সিকো থেকে বাংলাদেশ দূতাবাস বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

মুশফিকুল ফজল আনসারী মেক্সিকোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে পরিচয়পত্র পেশের সময় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউমকে শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানান। পাশাপাশি তিনি মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান।

রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল তাঁর মেয়াদকালে বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি উল্লেখ করেন, চলতি বছর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদ্‌যাপনের সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, যা বাণিজ্য, সংস্কৃতি এবং জনগণের মধ্যে সরাসরি বিনিময় বৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।

মুশফিকুল ফজল প্রেসিডেন্ট শেইনবাউমের কাছে ঢাকায় একটি মেক্সিকান দূতাবাস স্থাপনের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, ঢাকায় মেক্সিকোর দূতাবাস স্থাপিত হলে তা দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।

মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউম বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান এবং তাঁর কূটনৈতিক দায়িত্ব পালনে মেক্সিকো সরকারের পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস দেন। তিনি বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যে বন্ধুত্ব আরও গভীর করার এবং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা শক্তিশালী করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ