আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের প্রথম ম্যাচে নেতৃত্ব দেবেন সূর্যকুমার যাদব। হার্দিক পান্ডিয়া নিষিদ্ধ থাকায় দায়িত্ব পেয়েছেন সূর্য। এবার রাজস্থান রয়েলস তিন ম্যাচের জন্য রায়ান পরাগকে অধিনায়কের দায়িত্ব দিয়েছে। যদিও সব ঠিক থাকলে ওই তিন ম্যাচেই সানজু স্যামসনের খেলার সম্ভাবনা রয়েছে।

এক ভিডিও বার্তায় স্যামসন জানিয়েছেন, প্রথম তিন ম্যাচে পরাগ দলকে নেতৃত্ব দেবেন। তিনি পুরোপুরি ফিট না থাকায় এই সিদ্ধান্ত বলেও উল্লেখ করেন। সতীর্থদের আহ্বান জানান, যেন পরাগকে সহায়তা করা হয়।

ভারতের সংবাদ মাধ্যমের মতে, প্রথম তিন ম্যাচে সানজু স্যামসন ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটার হিসেবে খেলতে পারেন। যার অর্থ তিনি কেবল ব্যাট করবেন, ফিল্ডিংয়ে করবেন না। তিনি ডানহাতের বৃদ্ধ আঙুলের ইনজুরিতে পড়েছিলেন। সার্জারিও করাতে হয়েছে।

তবে ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটার হিসেবে প্রথম তিন ম্যাচে খেলার জন্যও ভারতের ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমির অনুমতি নিতে হবে স্যামসনের। ভারতের সংবাদ মাধ্যমের মতে, এখনো খেলার ছাড়পত্র পাননি স্যামসন। এছাড়া শুরুতে ব্যাটিংয়ের অনুমতি পেলেও উইকেটকিপিংয়ের অনুমতি নাও মিলতে পারে তার। সেক্ষেত্রে ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটার হিসেবে খেলতে পারেন তিনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স য মসন প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

মারমাদের মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব যে কারণে হয়, যেভাবে এল

মারমা জনগোষ্ঠীর সাংগ্রাইং উৎসবের এক গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হয়ে আছে ‘মৈতা রিলং পোয়ে’ বা মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব। এই উৎসবে পরস্পরের দিকে পানি ছিটিয়ে মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ হন মারমারা। ‘সাংগ্রাইংমা ঞি ঞি ঞা ঞা রিকোজাই পামে’(এসো হে সাংগ্রাইংয়ে সবাই মৈত্রী পানিবর্ষণে) গানটিও দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আছে এই উৎসবের ‘থিম সং’।

গবেষক ও মারমা জনগোষ্ঠীর প্রবীণ ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসবের শুরু গত শতকের সত্তরের দশকে। কিছু তরুণ মিয়ানমারে সাংগ্রাইং উৎসবে এ ধরনের আয়োজন দেখে দেশেও এর প্রচলন করেন। আর ‘সাংগ্রাইংমা ঞি ঞি ঞা ঞা রিকোজাই পামে’ উৎসবের থিম সং হয়েছে ১৯৮৪ সালে।

মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসবকে অনেকেই ‘জলকেলি’ ও ‘পানি খেলা’ বলে থাকেন। তবে এসব নাম আপত্তিকর বলে মনে করেন মারমা সমাজের অনেকেই। তাঁদের দাবি, এর মধ্য দিয়ে ধর্মের যোগ থাকা অনুষ্ঠানটি ভুলভাবে উপস্থাপন হয়।

এবারের সাংগ্রাইং উপলক্ষে আজ বুধবার থেকে বান্দরবান জেলা শহরে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব শুরু হয়েছে। তবে জেলার অন্যান্য জায়গায় গতকাল মঙ্গলবার এই উৎসব শুরু হয়। খাগড়াছড়িতে কোথাও কোথাও সোমবার শুরু হয়েছে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব।

মারমা জনগোষ্ঠীর প্রবীণদের একজন শিক্ষাবিদ থোয়াইংচ প্রু। তিনি প্রথম আলকে বলেন, সাংগ্রাইং আখ্যেয়া বা মূল সাংগ্রাই দিনে বুদ্ধমূর্তি স্নানের আগে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব হয় না। এটা প্রথাসিদ্ধ রীতি। তাই মৈত্রী পানিবর্ষণের সঙ্গে ধর্মের যোগ বেশ স্পষ্ট। তিনি বলেন, পানিকে মারমারা পবিত্র মনে করে। তাই সাংগ্রাইং উৎসবে বন্ধুত্বের বন্ধন এবং পরস্পরের প্রতি মৈত্রী ভাবনা নবায়ন ও সুদৃঢ় করার জন্য একে-অপরের দিকে পানি ছোড়েন। পানি ছিটানোর পর কেউ বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখালে বোঝা যাবে, বন্ধুত্বের সম্পর্কে ও বন্ধনে টানাপোড়েন আছে। এটিই মৈত্রী পানিবর্ষণের মূল্যবোধ। এ কারণে অনেক সময় অযাচিত কাউকে পানিবর্ষণ করলে আগে সালিসের মুখোমুখিও হতে হতো।

মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসবে মেতেছেন মারমা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা। গতকাল বান্দরবানের ডলুপাড়ায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ