হুইলচেয়ার পেল স্বামী-স্ত্রীসহ ৬ প্রতিবন্ধী সদস্যের পরিবারটি
Published: 20th, March 2025 GMT
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় স্বামী-স্ত্রীসহ আট সদস্যের পরিবারে ছয়জন প্রতিবন্ধীর চলাফেরা সুবিধার্থে হুইলচেয়ার দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রেজাউল হক নামের পরিবারটির এক সদস্যের হাতে তাঁদের চলাচলের জন্য হুইলচেয়ার ও ট্রাইসাইকেল তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুল ইসলাম।
একই সময়ে উপজেলার আরও ৩০ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মধ্যে হুইলচেয়ার ও ট্রাইসাইকেল বিতরণ করা হয়।
গত শুক্রবার প্রথম আলো অনলাইনে ‘স্বামীর-স্ত্রীসহ আট সদস্যের পরিবারে ছয়জনই প্রতিবন্ধী’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি দেখে পরিবারটির দুর্দশার কথা জেনেছেন ইউএনও মাহবুবুল ইসলাম। তিনি জানান, তিনি প্রথম আলোয় প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে পরিবারটির দুর্দশার কথা জেনেছেন। এরপর পরিবারটির জন্য প্রাথমিক সহায়তা শুরু করা হলো। পরিবারের অসহায়ত্ব ও প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে সহায়তা করা হবে। এ ছাড়া আর্থিক সহায়তা করা হবে। স্থায়ী উপার্জনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
চলাফেরার জন্য হুইলচেয়ার ও ট্রাইসাইকেল পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে পরিবারটি। অন্যতম বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য আরিকুল্লাহ জানান, আগে ঘর ও বারান্দায় সময় কাটাতে হতো, চেয়ার পাওয়াতে আপাতত উঠান ও বাড়ির আশপাশে যেতে পারবেন। নিজেও কিছু একটা কাজ করতে পারবেন।
আরিকুল্লাহ-রেজিয়া দম্পতির বাড়ি রাজশাহীর বাগমারার গণিপুর ইউনিয়নের মহব্বতপুর গ্রামে। তাঁরাসহ পরিবারের মোট সদস্য আটজন। তাঁদের মধ্যে ছয়জনই শারীরিক প্রতিবন্ধী। যদিও কেউই প্রতিবন্ধী হয়ে জন্মগ্রহণ করেননি। ১১-১২ বছর বয়সে এসে অসুস্থতা থেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। এখন চিকিৎসায় আর খাবারের অভাবে কোনো রকম দিন যাপন করছেন।
আরও পড়ুনস্বামী–স্ত্রীসহ ৮ সদস্যের পরিবারে ৬ জনই প্রতিবন্ধী, কোনোমতে চলে সংসার১৪ মার্চ ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সদস য র পর ব র স ত র সহ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
নববর্ষে পুকুরে ১০ হাঁস ধরতে নামে ৪০ প্রতিযোগী
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন নিয়ে মানুষ ভিন্ন আয়োজনে মেতে ওঠে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পুকুরের পানিতে সাঁতরে হাঁস ধরা প্রতিযোগিতা উৎসবমুখর ছিল। এ প্রতিযোগিতা দেখতে পকুরের চারপাশে উৎসুক মানুষ ভিড় জমায়।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে উপজেলা পরিষদ পুকুরে এ আয়োজন করা হয়। ১০টি হাঁস ধরতে নামে ৪০ জন প্রতিযোগী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান খান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহেদ আরমান ও রায়পুর আর্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক শংকর মজুমদার প্রমুখ।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা পুকুরের দক্ষিণ পাশে ছিল। উত্তর পাশ থেকে হাঁসগুলো পুকুরের পানিতে ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রতিযোগীরা সাঁতরে এসে হাঁসগুলো ধরতে চেষ্টা করেন। অনেক চেষ্টার পর ১০ জন প্রতিযোগী ১০টি হাঁস ধরতে সক্ষম হন।
আরো পড়ুন:
কারাবন্দিদের অন্যরকম বর্ষবরণ
বৈশাখে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের উচ্ছ্বাস
রায়পুর আর্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক শংকর মজুমদার বলেন, ‘‘পহেলা বৈশাখ বাংলা ভাষীদের জন্য ঐতিহাসিক দিন। এটি বাঙালি জাতির ঐতিহ্য। যুগ যুগ ধরে আমরা এই ঐতিহ্য ধারণ করে আসছি। সেই আলোকে নানা আয়োজন করা হয়েছে। হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ ঐতিহ্য হাঁস খেলার আয়োজন করেছে উপজেলা প্রশাসন। এ আয়োজনে মানুষ আনন্দ পেয়েছে।’’
রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান খান জানান, নববর্ষ উপলক্ষে শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এরপর উপজেলা পুকুরে হাঁস ধরা প্রতিযোগিতা হয়। এতে সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য তুলে ধরতে এ আয়োজন করা হয়।
ঢাকা/লিটন/বকুল