প্রকাশিত হয়েছে ‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট ২০২৫’। এই রিপোর্টের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকা। এ বছর প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী ১৪৭ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৪। গত বছর ১৪৩ দেশের মধ্যে ১২৯তম অবস্থানে ছিল দেশটি।

বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে। বরাবরের মতো, এবারও বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হিসেবে উঠে এসেছে ফিনল্যান্ডের নাম। আর সবচেয়ে অসুখী দেশের অনাকাঙ্ক্ষিত তকমা অর্জন করেছে আফগানিস্তান।

সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকায় ২৪ ধাপ পিছিয়ে ১১৮ নম্বরে বাংলাদেশ পরবর্তী অবস্থানগুলোতে আছে সিয়েরা লিয়ন, মালাউই, জিম্বাবুয়ে, বতসোয়ানা, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো ও ইয়েমেন।  

ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমার ও শ্রীলঙ্কা যথাক্রমে ১১৮, ১০৯, ১২৬ ও ১৩৩তম অবস্থানগুলো দখল করেছে। অপরদিকে, নেপালের অবস্থান ৯২।

প্রতিবেদন মতে বিশ্বের সবচেয়ে ২০টি সুখী দেশ হলো ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, কোস্টারিকা, নরওয়ে, ইসরায়েল, লুক্সেমবার্গ, মেক্সিকো, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম, লিথুয়ানিয়া, অস্ট্রিয়া, কানাডা, স্লোভেনিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্র (চেকিয়া)। 

বিশ্বের ১৪০টিরও বেশি দেশ থেকে গ্যালাপ বিশ্ব জরিপের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। গ্যালাপ, দ্য অক্সফোর্ড ওয়েলবিইং রিসার্চ সেন্টার ও জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন সমাধান নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) ও একটি সম্পাদকীয় বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অবস থ ন র সবচ য়

এছাড়াও পড়ুন:

বাড়িতে রাগ করে টয়লেট ক্লিনার খেয়ে ফেলেছিলাম

প্রশ্ন: বাড়িতে রাগ করে টয়লেট ক্লিনার খেয়ে ফেলেছিলাম গত বছর। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পর ওয়াশ করে, বমি করিয়ে সেসব বের করা হয়। অনেক কষ্ট হয়েছিল। এত দিন পর এখনো আমার পেট ব্যথা করে। পেটের মধ্যে খচখচ করে। আমি পুরুষ। আমার কি কোনো টেস্ট করে দেখা উচিত?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

পরামর্শ: বয়ঃসন্ধিকালে আবেগের বশবর্তী হয়ে অনেকে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত কাজ করে বসে। তবে যে বয়সেই হোক, দীর্ঘ মেয়াদে এটি স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। টয়লেট ক্লিনার খাদ্যনালি ও পাকস্থলীর অভ্যন্তরীণ আবরণ পুড়িয়ে ফেলে বা ক্ষত তৈরি করে। এ ধরনের ক্ষয়কারী পদার্থ গ্রহণের পর কখনোই বমি করানো কিংবা স্টমাক ওয়াশ করানো নিরাপদ নয়। কারণ, এতে খাদ্যনালি বা পাকস্থলীর ভেতরের দেয়াল আরও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তা ছাড়া ওষুধের মাত্রা বা চিকিৎসা যথাযথ না হলে ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুতে আবার প্রদাহ, আলসার কিংবা সংক্রমণ হতে পারে, খাদ্যনালি সরু হয়ে যেতে পারে। লক্ষণ হিসেবে রোগীর পেটব্যথা, পেট খচখচসহ নানা ধরনের অস্বস্তিকর অনুভূতি হয়। তাই যত দ্রুত সম্ভব একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসকের নির্দেশনায় এন্ডোস্কপির মাধ্যমে খাদ্যনালির অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে সঠিক কারণ নির্ণয় করুন এবং সে অনুযায়ী যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণ করুন।

আরও পড়ুনচাইলেই আত্মহত্যা প্রতিরোধ করা যায়০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

সম্পর্কিত নিবন্ধ