নিজেদের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে ‘ক্যানভাস’ ও ‘অডিও ওভারভিউ’ নামের দুটি সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল। নতুন সুবিধাগুলো কাজে লাগিয়ে বর্তমানের তুলনায় আরও সহজে গবেষণা, কনটেন্ট ও সফটওয়্যার তৈরিসহ দলগতভাবে বিভিন্ন কাজ করা যাবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

গুগলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সুন্দর পিচাই এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ‘আমরা আজকে জেমিনি অ্যাপে “ক্যানভাস” ও “অডিও ওভারভিউ” সুবিধা চালু করছি। অডিও ওভারভিউর মাধ্যমে নথি, স্লাইড ও গবেষণা প্রতিবেদনকে পডকাস্টের মতো করে শোনার সুবিধা মিলবে। আর ক্যানভাসের সাহায্যে দ্রুত প্রোটোটাইপ তৈরি করা যাবে। জেমিনিতে রিয়েল টাইমে সম্পাদনার সুযোগ পাওয়া যাবে।’

আরও পড়ুনজিমেইলে জেমিনি চ্যাটবটের কার্যক্রম বন্ধ করবেন যেভাবে০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

গুগলের তথ্যমতে, ক্যানভাস সুবিধাটি মূলত লেখালেখি ও প্রোগ্রামের কোড লেখার কাজ সহজ করতে তৈরি করা হয়েছে। এটি একটি ইন্টার–অ্যাকটিভ টুল, যেখানে ব্যবহারকারীরা রিয়েল টাইমে নথি বা কোড লিখতে, সম্পাদনা করতে ও দ্রুত খসড়া তৈরি করতে পারবেন। গুগল ডকুমেন্টসে এক্সপোর্ট করার সুবিধা থাকায় এটি দলগত কাজ ও শিক্ষার্থীদের জন্য কার্যকর হবে।

আরও পড়ুনস্মার্টফোন লক থাকলেও মুখের কথায় ফোনকল করে দেবে জেমিনি চ্যাটবট, বার্তাও পাঠাবে১০ জানুয়ারি ২০২৫

অডিও ওভারভিউ সুবিধাটি নথি, স্লাইড ও গবেষণা প্রতিবেদনকে পডকাস্টের মতো অডিও কনটেন্টে রূপান্তর করতে পারে। এই সুবিধা ব্যবহার করতে হলে ব্যবহারকারীদের নির্দিষ্ট ফাইল আপলোড করতে হবে। এরপর জেমিনি সেই ফাইলের সারসংক্ষেপ তৈরি করে একটি অডিও ওভারভিউ দেবে, যা ব্যবহারকারীরা চলতি পথে শুনতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে অডিও ওভারভিউ সুবিধাটি শুধু ইংরেজি ভাষায় ব্যবহার করা যাবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ য টবট ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

আদালতের ভেতরে পুলিশকে মারধর, বিএনপির ৬ নেতাকর্মী আটক

পাবনায় আদালতের ভেতরে শুনানি চলাকালে ভিডিও ধারণ করতে বাধা দেওয়ায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বিএনপির ৬ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। 

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ ঘটনা ঘটে।

আটককৃতরা হলেন- ঈশ্বরদী উপজেলা সদরের ফতে মোহাম্মদপুর নিউ কলোনী এলাকার মৃত আব্দুল ওহাবের ছেলে আওয়াল কবির (৩৮), হাবিবুর রহমানের ছেলে সরোয়ার জাহান শিশির (৩৩), দাশুড়িয়া গ্রামের মৃত আমজাদ খানের ছেলে কালাম খান (৪০), এম এস কলোনী এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে রুবেল হোসেন (৩৩), লোকোসেড গাউছিয়া মসজিদ এলাকার মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে সবুজ হোসেন (৩৫) এবং ভাঁড়ইমারী বাঁশেরবাদা গ্রামের মৃত আব্দুল গাফফার সরদারের জহুরুল ইসলাম (৩৫)।

তাদের মধ্যে আওয়াল কবির ঈশ্বরদী পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক, সরোয়ার জাহান শিশির পৌর ছাত্রদলের সভাপতি পদ প্রত্যাশী, কালাম খান দাশুড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, রুবেল হোসেন পৌর ৪নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এবং জহুরুল ইসলাম ডালিম সলিমপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের সদস্য।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর ঈশ্বরদীতে তৎকালীন আওয়ামী লীগের সময় নাশকতা একটি মামলার শুনানি ছিল। সেই মামলায় আটককৃতরা হাজিরা দিতে এসেছিলেন। হাজিরা চলা অবস্থায় তারা এজলাসে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে থাকেন। এসময় সেখানে থাকা পুলিশ সদস্য শাহ আলম তাদের ছবি তুলতে বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই পুলিশ‌ সদস্যকে মারধর করেন ওইসব নেতাকর্মীরা। 

এসময় আদালতের আইনজীবী ও উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করেন এবং হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে আদালতের শুনানি শেষে তাদের আটক করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পরিদর্শক ( কোর্ট ইন্সপেক্টর) রাশেদুল ইসলাম জানান, সঙ্গে সঙ্গে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। 

এ বিষয়ে পাবনা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আইনজীবী মাসুদ খন্দকার বলেন, “আদালতের এসলাসে এ ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়ার মত নয়। বিএনপির কেউ যদি সত্যিই এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকে তবে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/শাহীন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ