নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম গ্রেপ্তার
Published: 20th, March 2025 GMT
নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। বুধবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রংপুরের জাহাজ কোম্পানির মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুড়িগ্রাম জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল রংপুর মহানগরের জাহাজ কোম্পানি মোড় হতে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, টেন্ডারবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওসি মো.
ঢাকা/সৈকত/রাজীব
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গুলশানে ইন্টারনেট ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা
রাজধানীর গুলশানে পুলিশ প্লাজা সংলগ্ন শুটিং ক্লাবের সামনে সুমন মিয়া (৩০) নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুমন মহাখালী টিভি গেট এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবসা করতেন। অনেকেই তাঁকে ‘টেলি সুমন’ নামে ডাকেন। তাঁর বাড়ি রংপুরে মিঠাপুকুর উপজেলায়।
সুমনের স্ত্রীর বড় ভাই বাদশা মিয়া রুবেল জানান, স্ত্রী ও দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে মিরপুর ভাসানটেক এলাকায় থাকতেন সুমন। মহাখালী টিভি গেট এলাকায় ‘প্রিয়জন’ নামে তাঁর ইন্টারনেটের ব্যবসা রয়েছে। আগে মহাখালী টিভি গেট এলাকায় থাকতেন তিনি। সুমন বনানী থানা যুবদলের কর্মী ছিলেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, গুলশানের পুলিশ প্লাজার সামনে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় পাঁচ থেকে ছয় দুর্বৃত্ত সুমনের বুকে, পেটে ও মাথায় গুলি করে চলে যায়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে রাত ১১টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
সুমনের স্বজন বাদশার দাবি, টিভি গেট এলাকায় ‘একে-৪৭ গ্রুপের’ রুবেল নামে এক ব্যক্তি ডিসের ব্যবসা করেন। তার সঙ্গেই সুমনের ব্যবসা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। তিনি মাঝেমধ্যে সুমনকে হত্যার হুমকি দিতেন। ওই গ্রুপের লোকজন তাঁকে গুলি করে থাকতে পারে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, গুলির পরই সুমন ঘটনাস্থলে মারা যান। গুলি করা একজনের পরনে সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট ছিল। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
ডিএমপির মুখপাত্র উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, গুলশানে গুলির ঘটনা শুনেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পুলিশের আরেক কর্মকর্তা বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত করতে পুলিশের একাধিক দল কাজ শুরু করেছে।