পঞ্চগড়ে চায়ে অন্য পাতার মিশ্রণ, কারখানার মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা
Published: 20th, March 2025 GMT
পঞ্চগড়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মানহীন চা উৎপাদন ও বিক্রির অভিযোগে একটি চা প্রক্রিয়াকরণ কারখানাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার জগদল এলাকায় মলি টি ফ্যাক্টরিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এই জরিমানা করেন পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরানুজ্জামান।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, মানসম্পন্ন চা উৎপাদনের লক্ষ্যে নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এর অংশ হিসেবে গতকাল বিকেলে সদর উপজেলার মলি টি ফ্যাক্টরিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। সেখানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মানহীন কাঁচা পাতা ব্যবহার করে চা উৎপাদন করা হয়। এসব চা পাতায় ফরেন পার্টিকেল (আগাছা) পাওয়া যায়। এ সময় কারখানা কর্তৃপক্ষ অপরাধ স্বীকার করলে মালিক মখলেছার রহমানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পরে কারখানার মালিককে কঠোরভাবে সতর্ক করে তাঁর কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়।
চা বোর্ডের পঞ্চগড় আঞ্চলিক কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফ খান বলেন, অভিযান পরিচালনার সময় ওই কারখানায় শুধু চা পাতা ক্রয়ের ক্ষেত্রেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নয়, তাদের যেখানে চা উৎপাদন করা হয়, সেখানেও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ছিল। এ ছাড়া কারখানা কর্তৃপক্ষের ক্রয় করা চা পাতায় ফরেন পার্টিকেল অর্থাৎ চা পাতা ছাড়াও অন্য গাছ-গাছালির পাতা পাওয়া গেছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে সতর্ক করতে ওই কারখানাকে এর আগে অন্তত তিনবার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতিতে’ আগুন দেওয়ার ঘটনায় দুদিনেও গ্রেপ্তার নেই
বাংলা নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে তৈরি করা ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতিতে’ আগুন দেওয়ার ঘটনায় দুই দিনেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, সন্দেহভাজনের নাম-পরিচয় প্রকাশ হওয়ায় তিনি গা-ঢাকা দিয়েছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম সোমবার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, নাম-পরিচয় প্রকাশ হওয়ায় অভিযুক্ত গা-ঢাকা দিয়েছেন। এ কারণে তাঁকে গ্রেপ্তারে পুলিশকে বেগ পেতে হচ্ছে। তবে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এর আগে রোববার ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘সোমবার সকাল ৯টায় শোভাযাত্রা শুরুর আগেই ডিটেকশনের (শনাক্তের) ক্ষেত্রে সন্তোষজনক পর্যায়ে চলে যাব। সম্ভব যদি হয়, বাই দিস টাইম (এই সময়ের মধ্যে) দুর্বৃত্তদের অ্যারেস্ট করতে সক্ষম হব, ইনশা আল্লাহ।’
তবে ডিএমপি কমিশনার এমন কথা বললেও পয়লা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রা শেষ হওয়ার পরও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতিতে আগুন দেওয়ার ঘটনার ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ভিডিও রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহপাঠীরা ‘অভিযুক্তকে শনাক্ত করতে পারার’ কথা জানান। তাঁরা বলেন, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ওই যুবক থাকতেন মাস্টারদা সূর্য সেন হলে। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের অনুসারী হিসেবে তিনি পরিচিত ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাঁকে আর হলে দেখা যায়নি।
বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় ছিল শোলা দিয়ে নতুন করে বানানো ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’