ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে ‘সম্পূর্ণরূপে নির্মূল’ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সঙ্গে আবারো ইরানকে হুতি গোষ্ঠীর প্রতি সমর্থন বন্ধ করার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। 

গাজা সংঘাতের প্রেক্ষিতে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনার মধ্যে বুধবার (১৯ মার্চ) এই হুঁশিয়ারি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি।

আরো পড়ুন:

ইয়েমেনে মার্কিন হামলায় ১৬ হুতি সদস্য নিহত

বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপকে স্বাগত জানাল যুক্তরাষ্ট্র

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করায় গত সপ্তাহে ইসরায়েলি জাহাজের ওপর আবারও হামলা শুরুর হুমকি দেয় ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। তার আগেই গত শনিবার ট্রাম্পের নির্দেশে হুতিদের ওপর তীব্র বিমান হামলা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। 

 

গতকাল বুধবারও ইয়েমেনের রাজধানী সানাসহ হুতিদের শক্ত ঘাঁটিতে মার্কিন হামলার ঘটনা ঘটেছে। ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে লিখেছেন, “বর্বর হুতিদের ওপর হামলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, এবং দেখুন এটি ক্রমশ আরো খারাপ হতে চলেছে- এটি এমনকি একটি ন্যায্য লড়াইও নয় এবং কখনও হবেও না। তাদের সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা হবে!”

আল জাজিরার প্রতিবেদন বলছে, এক দশকের বেশি সময় ধরে ইয়েমেনে সশস্ত্র সংগ্রাম করছে হুতিরা। ইয়েমেনের অধিকাংশ অঞ্চলই এখন তাদের দখলে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরু হলে এর প্রতিবাদে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে তারা ১০০ এর বেশি হামলা চালিয়েছে।

এরপর হুতিদের থামাতে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশে হামলা শুরু হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। 

যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে মার্কিন বাহিনী গত শনিবার থেকে হুতি গোষ্ঠীর ওপর বড় ধরনের বিমান হামলা শুরু করে। লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলে হুতিদের আক্রমণ বন্ধ করার লক্ষ্যে গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে এই অভিযান বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এদিকে হুতি গোষ্ঠী বলেছে, ইসরায়েল গাজার ওপর থেকে অবরোধ তুলে না নেওয়া পর্যন্ত তারা লোহিত সাগরের জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করবে এবং তাদের বাহিনী হামলার জবাব দেবে।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

যৌথ বাহিনীর ৬ দিনের অভিযানে ২৪৯ জন গ্রেপ্তার

দেশে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ছয় দিনে বিভিন্ন অপরাধে ২৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী পেশাদারির সঙ্গে কাজ করে চলেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় ১৩ থেকে ১৯ মার্চ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীন ইউনিটগুলো অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এসব যৌথ অভিযানে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, একাধিক মামলার আসামি, ডাকাত দলের সদস্য, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী, দালাল চক্রের সদস্য, ভেজাল খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুতকারী, কিশোর গ্যাং সদস্য এবং মাদক ব্যবসায়ীসহ মোট ২৪৯ জন অপরাধীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গ্রেপ্তার অপরাধীদের কাছ থেকে ৬টি অস্ত্র, ১০২টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ককটেল, মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার দেশি অস্ত্র, পাসপোর্ট, অবৈধ বৈদেশিক মুদ্রা, এনআইডি, চোরাই মোবাইল ফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ, সিমকার্ড ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। আটকদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায়  হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তৈরি পোশাক কারখানায় বেতন ও বোনাস–সংক্রান্ত শ্রমিক অসন্তোষের ফলে সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়, যা নিরসনে সেনাবাহিনীর সদস্যরা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ