সাবেক এমপি হাবিবরের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ
Published: 20th, March 2025 GMT
দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় বগুড়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মো. হাবিবর রহমানের বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা ৭টি হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে ৯৪ লাখ ৮ হাজার ৫৮২ টাকা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক পিয়াস পাল এসব সম্পদ অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, হাবিবর রহমানের নামে এসব অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। তার নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর, স্থানান্তর, দলিল সম্পাদন বা অন্য কোনো পন্থায় মালিকানা পরিবর্তন বা হস্তান্তর করার সম্ভবনা রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে হাবিবর রহমানের নামে অর্জিত এসব অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধকরণ করা আবশ্যক।
ঢাকা/মামুন/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ ব বর র অবর দ ধ
এছাড়াও পড়ুন:
যৌথ বাহিনীর ৬ দিনের অভিযানে ২৪৯ জন গ্রেপ্তার
দেশে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ছয় দিনে বিভিন্ন অপরাধে ২৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী পেশাদারির সঙ্গে কাজ করে চলেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় ১৩ থেকে ১৯ মার্চ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীন ইউনিটগুলো অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এসব যৌথ অভিযানে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, একাধিক মামলার আসামি, ডাকাত দলের সদস্য, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী, দালাল চক্রের সদস্য, ভেজাল খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুতকারী, কিশোর গ্যাং সদস্য এবং মাদক ব্যবসায়ীসহ মোট ২৪৯ জন অপরাধীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গ্রেপ্তার অপরাধীদের কাছ থেকে ৬টি অস্ত্র, ১০২টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ককটেল, মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার দেশি অস্ত্র, পাসপোর্ট, অবৈধ বৈদেশিক মুদ্রা, এনআইডি, চোরাই মোবাইল ফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ, সিমকার্ড ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। আটকদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তৈরি পোশাক কারখানায় বেতন ও বোনাস–সংক্রান্ত শ্রমিক অসন্তোষের ফলে সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়, যা নিরসনে সেনাবাহিনীর সদস্যরা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।