কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় নিখোঁজের তিন দিন পর ভাঙারি ব্যবসায়ী মো. সানাউল্লাহর (৫৮) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দাউদকান্দি মডেল থানার পুলিশ গতকাল বুধবার ইফতারের পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশের তালতলী গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়ির ঝোপ থেকে ব্যবসায়ীর লাশটি উদ্ধার করে।

দাউদকান্দি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু বকর সিদ্দিক নিহত ব্যক্তির পরিবারের বরাত দিয়ে বলেন, সানাউল্লাহ ব্যবসার কাজে ১৬ মার্চ রোববার সকাল ৯টার দিকে ঘর থেকে বের হন। রাতে বাসায় ফেরেননি। রাত ১০টার পর পরিবারের সদস্যরা তাঁর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু মুঠোফোনটি বন্ধ পান তাঁরা। পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ব্যবসায়ীর সন্ধান পাননি। গতকাল তালতলীর পরিত্যক্ত বাড়িতে কাজ করতে গিয়ে কয়েকজন দিনমজুর ঝোপে লাশটি দেখতে পান।

বিষয়টি তাৎক্ষণিক দাউদকান্দি মডেল থানার পুলিশকে জানানো হয়। খবর পেয়ে দাউদকান্দি মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যবসায়ীর লাশটি উদ্ধার করেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে ব্যবসায়ী সানাউল্লাহর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গলায় গামছা প্যাঁচানো ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা শ্বাসরোধ করে ব্যবসায়ী মো.

সানাউল্লাহকে হত্যা করেছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ দাফনের পর থানায় মামলা করবেন বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ উদক ন দ স ন উল ল পর ব র র ব যবস য়

এছাড়াও পড়ুন:

যৌথ বাহিনীর ৬ দিনের অভিযানে ২৪৯ জন গ্রেপ্তার

দেশে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ছয় দিনে বিভিন্ন অপরাধে ২৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী পেশাদারির সঙ্গে কাজ করে চলেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় ১৩ থেকে ১৯ মার্চ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীন ইউনিটগুলো অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এসব যৌথ অভিযানে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, একাধিক মামলার আসামি, ডাকাত দলের সদস্য, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী, দালাল চক্রের সদস্য, ভেজাল খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুতকারী, কিশোর গ্যাং সদস্য এবং মাদক ব্যবসায়ীসহ মোট ২৪৯ জন অপরাধীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গ্রেপ্তার অপরাধীদের কাছ থেকে ৬টি অস্ত্র, ১০২টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ককটেল, মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার দেশি অস্ত্র, পাসপোর্ট, অবৈধ বৈদেশিক মুদ্রা, এনআইডি, চোরাই মোবাইল ফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ, সিমকার্ড ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। আটকদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায়  হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তৈরি পোশাক কারখানায় বেতন ও বোনাস–সংক্রান্ত শ্রমিক অসন্তোষের ফলে সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়, যা নিরসনে সেনাবাহিনীর সদস্যরা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ