পাঁচটি সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশের বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে নিজেদের মতামত দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এ মতামতে দলটি সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের পক্ষে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছে।

ঐকমত্য কমিশনের কাছে স্প্রেডশিটে মতামত জমা দেওয়ার পর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

জাতীয় সংসদ ভবনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের কাছে মতামত জমা দেয় জামায়াতে ইমলামী।

পরে মিয়া গোলাম পরওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, সংস্কার কমিশনগুলোর দেওয়া সুপারিশগুলো নিয়ে দলের আমির শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে তাঁরা দফায় দফায় আলোচনা করে লিখিত মতামত জানিয়েছেন।

নির্বাচন নিরপেক্ষ করার ব্যাপারে জামায়াতে ইসলামী বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানান মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, প্রস্তাবে তাঁরা বলেছেন, নির্বাচন হতে হবে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের বিষয়ে তাঁরা একমত প্রকাশ করেছেন। তবে এ ক্ষেত্রে তাঁদের কিছু বক্তব্য আছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, কমিশনের ওপর কোনো চাপ নেই। বিএনপির পক্ষ থেকে কমিশনকে জানানো হয়েছে, তারা আগামী দু-এক দিনের মধ্যে মতামত জানাবে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে কবে আলোচনা হবে—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে আলী রীয়াজ বলেন, দলটির সঙ্গে আগামী দু-তিন দিনে বৈঠক হচ্ছে না। দলটির মতামত পাওয়া গেলে ঈদের পর থেকে অন্য যেসব দলের সঙ্গে তাঁরা আলোচনা করবেন, তার মধ্যে এনসিপিও থাকবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: মত মত জ

এছাড়াও পড়ুন:

ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শুরু আজ 

সংস্কার প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা শুরু হচ্ছে আজ। প্রথম দল হিসেবে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে বিকেল ৩টায় সংসদ ভবনের এলডি হলে এ বৈঠক হবে। পর্যায়ক্রমে অন্য দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনায় বসবে  কমিশন।

বৈঠকে এলডিপির সভাপতি ও অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলি আহমদের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেবে। অন্যদের মধ্যে রয়েছেন দলের মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. নেয়ামূল বশির, ড. আওরঙ্গজেব বেলাল, অধ্যক্ষ কে কিউ সাকলায়েন ও অধ্যাপক ওমর ফারুক। 

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু করে। প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে আসা গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর দলের সুনির্দিষ্ট মতামত ১৩ মার্চের মধ্যে জানাতে অনুরোধ করা হয়। এর মধ্যে অনেক দল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে তাদের মতামত তুলে ধরে। এখনও মতামত জানায়নি বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ ২৩টি দল। বিএনপি আগামী সপ্তাহ এবং জামায়াত ও এনসিপি কয়েক দিন সময় চেয়েছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশের হাল ধরা অন্তর্বর্তী সরকার গণতান্ত্রিক উত্তরণে রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাত সংস্কারে দু’ধাপে ১১টি কমিশন গঠন করে। এর মধ্যে প্রথম ধাপের ছয়টি কমিশনের প্রতিবেদন গত ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশ করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সংস্কার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা হচ্ছে: আলী রীয়াজ
  • কক্সবাজারে জলবায়ু উদ্বাস্তু ২৪৪ পরিবার পেল নতুন পোশাক ও খাদ্যসামগ্রী
  • সংস্কারপ্রক্রিয়াকে বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা হচ্ছে: আলী রীয়াজ
  • সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনে মত দিল জামায়াত
  • সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বিষয়ে রোববার মত জানাবে বিএনপি
  • সংস্কার না হলে স্বৈরতন্ত্র মোকাবিলা সম্ভব নয়: আলী রীয়াজ
  • ঐকমত্য কমিশনে সংস্কার প্রস্তাবনা জমা দিল জামায়াত
  • সব পণ্যে স্বস্তি, চালে অস্বস্তি
  • ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শুরু আজ