গত বছরের আগস্ট মাসে আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন তখনকার সরকার প্রধান। এরপর ৫ ফেব্রুয়ারি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।

বর্তমানে বাড়িটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বাড়িটি ভাঙার এক মাস পর সেখানে গিয়ে ছবি তুলেছেন গায়িকা নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি।

বুধবার রাতে সেই ছবি নিজের ফেসবুকে প্রকাশ করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ, জীবন বাংলাদেশ আমার মরণ বাংলাদেশ। পরাধীনতার শেকলমুক্ত একটি নতুন বাংলাদেশের সূচনা।’

এর কিছু সময় পরেই অরও একটি পোস্টে এই শিল্পী লেখেন, ‘আমি এখন আছি সুখে, আগুন জ্বলুক খুনীর দোসরদের বুকে। ঘুমাতে গেলাম।’

সম্প্রতি গণমাধ্যকে তিনি বলেছেন, ‘এবারের ঈদটা আমার জন্য অন্যরকম আনন্দ নিয়ে এসেছে। কারণ শেখ হাসিনামুক্ত বাংলাদেশে আমি নতুনভাবে কাজ করতে পারছি, মামলার হয়রানি ছাড়াই চলাফেরা করতে পারছি। তাই এবারের ঈদ আমার জন্য বেশি আনন্দের।’

বলে রাখা ভালো, জনপ্রিয় গায়িকা ন্যান্সি রাজনৈতিক দল বিএনপির সমর্থক হওয়ায় গত ১৬ বছরে বেশ কোণঠাসা ছিলেন। দেখা যায়নি কোনো অনুষ্ঠানেও।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকের বাজনা ও ‘এসো হে বৈশাখ’ গেয়ে নতুন বছরকে বরণ

চুয়াডাঙ্গায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। ৪০ বছরের ধারাবাহিকতায় আজ সোমবার সকাল ৬টায় শহরের ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় চত্বরে ঢাকের বাজনার তালে নববর্ষের অনুষ্ঠান শুরু হয়।

পরে মুকুল ফৌজ, আবৃত্তি পর্ষদ ও ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজানুর রহমান, মুকুল ফৌজের সংগঠক (প্রধান দরদী বোন) রাশেদা হাসনু আরা ও ঝিনুক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেবেকা সুলতানা বক্তব্য দেন।

এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সকাল আটটায় স্থানীয় চাঁদমারী মাঠে (ভিক্টোরিয়া জুবিলি উচ্চবিদ্যালয় মাঠ) হাজারো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এরপর ‘এসো হে বৈশাখ’ গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে নববর্ষকে বরণ করা হয়। সোয়া আটটায় সেখান থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। সরকারি–বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ ও বিভিন্ন সামাজিক–সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা বর্ণিল সাজে শোভাযাত্রায় অংশ নেন।

এরপর জেলা শিল্পকলা একাডেমির নতুন মুক্তমঞ্চ চত্বরে তিন দিনের বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করা হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম মেলার উদ্বোধন করেন। এ সময় পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলাসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

চুয়াডাঙ্গা শহরের চাঁদমারী মাঠ থেকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আজ সকালে নববর্ষের শোভাযাত্রা বের করা হয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ