সিলেটে ভারত সীমান্তের ওপারে গুলিতে দুই বাংলাদেশি আহত
Published: 20th, March 2025 GMT
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দিতে ভারত সীমান্তের ওপারে ভারতীয় খাসিয়ার গুলিতে দুই বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। বুধবার বিকেলে বিছনাকান্দি সীমান্তের মরকি টিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ দুজন হলেন, গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি ইউনিয়নের কুলুমছড়ার পাড় এলাকার জাকির মিয়ার ছেলে ইয়ামিন মিয়া (২২) ও তার চাচা আক্তার হোসেন। তারা দু’জন ভারতীয় চিনি চোরাকারবারি সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।
স্থানীয় বাসিন্দা শামীম মিয়া জানান, সীমান্তে চিনি আনতে গিয়ে দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তারা গোপনে সিলেট শহরে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিছনাকান্দি ইউনিয়নের বিছনাকান্দি বিওপি এলাকায় সীমান্তের ১২৬৪ নম্বর মেইন পিলার থেকে ২০০ গজ ভারতের ভেতরে মরকিটিলা এলাকায় ইয়ামিন মিয়া ও আক্তার হোসেনসহ একদল বাংলাদেশি চোরাকারবারি চিনি আনতে যান। এ সময় চোরাকারবারিরা খাসিয়াদের সঙ্গে টাকা পয়সার লেনদেন নিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে খাসিয়ারা তাদের লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলি ছোড়ে। এতে দু’জন গুলিবিদ্ধ হন।
সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মারমাদের মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব যে কারণে হয়, যেভাবে এল
মারমা জনগোষ্ঠীর সাংগ্রাইং উৎসবের এক গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হয়ে আছে ‘মৈতা রিলং পোয়ে’ বা মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব। এই উৎসবে পরস্পরের দিকে পানি ছিটিয়ে মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ হন মারমারা। ‘সাংগ্রাইংমা ঞি ঞি ঞা ঞা রিকোজাই পামে’(এসো হে সাংগ্রাইংয়ে সবাই মৈত্রী পানিবর্ষণে) গানটিও দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আছে এই উৎসবের ‘থিম সং’।
গবেষক ও মারমা জনগোষ্ঠীর প্রবীণ ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসবের শুরু গত শতকের সত্তরের দশকে। কিছু তরুণ মিয়ানমারে সাংগ্রাইং উৎসবে এ ধরনের আয়োজন দেখে দেশেও এর প্রচলন করেন। আর ‘সাংগ্রাইংমা ঞি ঞি ঞা ঞা রিকোজাই পামে’ উৎসবের থিম সং হয়েছে ১৯৮৪ সালে।
মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসবকে অনেকেই ‘জলকেলি’ ও ‘পানি খেলা’ বলে থাকেন। তবে এসব নাম আপত্তিকর বলে মনে করেন মারমা সমাজের অনেকেই। তাঁদের দাবি, এর মধ্য দিয়ে ধর্মের যোগ থাকা অনুষ্ঠানটি ভুলভাবে উপস্থাপন হয়।
এবারের সাংগ্রাইং উপলক্ষে আজ বুধবার থেকে বান্দরবান জেলা শহরে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব শুরু হয়েছে। তবে জেলার অন্যান্য জায়গায় গতকাল মঙ্গলবার এই উৎসব শুরু হয়। খাগড়াছড়িতে কোথাও কোথাও সোমবার শুরু হয়েছে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব।
মারমা জনগোষ্ঠীর প্রবীণদের একজন শিক্ষাবিদ থোয়াইংচ প্রু। তিনি প্রথম আলকে বলেন, সাংগ্রাইং আখ্যেয়া বা মূল সাংগ্রাই দিনে বুদ্ধমূর্তি স্নানের আগে মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব হয় না। এটা প্রথাসিদ্ধ রীতি। তাই মৈত্রী পানিবর্ষণের সঙ্গে ধর্মের যোগ বেশ স্পষ্ট। তিনি বলেন, পানিকে মারমারা পবিত্র মনে করে। তাই সাংগ্রাইং উৎসবে বন্ধুত্বের বন্ধন এবং পরস্পরের প্রতি মৈত্রী ভাবনা নবায়ন ও সুদৃঢ় করার জন্য একে-অপরের দিকে পানি ছোড়েন। পানি ছিটানোর পর কেউ বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখালে বোঝা যাবে, বন্ধুত্বের সম্পর্কে ও বন্ধনে টানাপোড়েন আছে। এটিই মৈত্রী পানিবর্ষণের মূল্যবোধ। এ কারণে অনেক সময় অযাচিত কাউকে পানিবর্ষণ করলে আগে সালিসের মুখোমুখিও হতে হতো।
মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসবে মেতেছেন মারমা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা। গতকাল বান্দরবানের ডলুপাড়ায়