বাড়ির উঠান থেকে শিয়ালে টেনে নিয়ে গেল শিশুটিকে
Published: 20th, March 2025 GMT
কিশোরগঞ্জে শিয়ালের কামড়ে দুই বছরের একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বৌলাই ইউনিয়নের তের হাসিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শিশুটির পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ইফতারের পর সবার অজান্তে বাড়ির উঠান থেকে শিয়াল শিশুটিকে টেনে নিয়ে যায়। পরে পাশের জঙ্গল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আরাফ ওই গ্রামের লিংকন মিয়ার ছেলে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
আরাফের দাদা লালু মিয়া বলেন, ইফতার শেষে ঘর থেকে বের হয়ে উঠানে খেলা করছিল আরাফ। হঠাৎ তাকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না। বাড়ির আশপাশে সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করা হয়। পরে এলাকার মসজিদে মাইকিং করা হয়। গ্রামের একজন দেখেন, একটি শিয়াল বাচ্চাকে টেনে নিয়ে জঙ্গলের ভেতর যাচ্ছে। তাঁর ডাকচিৎকার শুনে তাঁরা সবাই সেখানে যান। জঙ্গলের ভেতর আরাফকে পাওয়া যায়। তার গলায় কামড়ের দাগ; বুকে পায়ের নকের দাগ। দ্রুত তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসক আরাফকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরাফের বাবা লিংকন মিয়া বলেন, ‘সন্ধ্যায় আমি স্ত্রী–সন্তানকে নিয়ে বাসায় ইফতার করলাম। ইফতার শেষে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গিয়েছিলাম। কিছুক্ষণ পর বাড়ির লোকজন আরাফকে খুঁজতে আমার দোকানে যায়। দোকান থেকে এসে দেখি, উঠানে আমার ছেলের মরদেহ পড়ে আছে।’
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) টুটুল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে আজ সকালে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পরিবার ও স্থানীয়দের কাছ থেকে ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, শিয়ালের কামড়েই শিশুটি মারা গেছে। এ বিষয়ে পরিবারের অন্য কোনো অভিযোগ নেই। মরদেহ আজ সকালে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইফত র
এছাড়াও পড়ুন:
মুরাদনগরে কবরস্থানে মাটি ফেলা নিয়ে দ্বন্দ্ব, মারধরে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
কুমিল্লার মুরাদনগরে পারিবারিক কবরস্থানের মালিকানা ও মাটি ফেলা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে দুপক্ষের ধস্তাধস্তির সময় আওয়ামী লীগের স্থানীয় এক নেতার মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার রাতে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার চাপিতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কাহারুল মুন্সীর (৫৫) বাড়ি চাপিতলা গ্রামে। তিনি চাপিতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, চাপিতলা গ্রামের মুন্সী বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান নিয়ে কাহারুল মুন্সীর সঙ্গে তাঁর চাচা জীবন মুন্সী ও জাহাঙ্গীর মুন্সীর পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। ওই কবরস্থানের পাশে বর্তমানে খাল খননকাজ চলছে। খালের কিছু মাটি কবরস্থানে দেওয়ার জন্য ঠিকাদারকে অনুরোধ করেন কাহারুল মুন্সী। তাঁর অনুরোধে বুধবার রাতে কবরস্থানে মাটি দেওয়া হবে—এমন খবর পেয়ে জীবন মুন্সী ও জাহাঙ্গীর মুন্সী কবরস্থানের কাছে যান। এ সময় কাহারুল মুন্সীর সঙ্গে তাঁদের বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মাঝে ধস্তাধস্তি ও পাল্টাপাল্টি কিলঘুষির ঘটনা ঘটে। এ সময় লাগাতার কিলঘুষিতে কাহারুল মুন্সী আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে চাপিতলা এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা গুরুতর দেখে সেখানকার চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
মুরাদনগরের বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহফুজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, পারিবারিক কবরস্থানে মাটি ফেলা নিয়ে বিরোধে ওই আওয়ামী লীগ নেতা খুন হয়েছেন। এখানে রাজনৈতিক কোনো বিষয় নেই। তিনি বলেন, এ ঘটনায় এখনো থানায় মামলা হয়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা পলাতক। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।