আগামী মে মাসের ৩ বা ১০ তারিখে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ও পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড। গত ১ মার্চ পরিচালনা পর্ষদের সভায় নেওয়া এ সিদ্ধান্তের পর এজিএম উপলক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ কাজ গুছিয়ে আনতে যাচ্ছে দেশের ঐতিহ্যবাহী এ ক্লাবটি। 

তারই অংশ হিসেবে ক্লাবটি চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। যে কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ক্লাবের প্রাক্তন ডাইরেক্টর ইন-চার্জ অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন লোকমান হোসেন ভূঁইয়াকে।

ক্লাবের অন্যতম পরিচালক মাহবুব উল আনামকে চেয়ারম্যান করে গঠন করা ‘এজিএম প্রস্তুতি কমিটির’ দুই সদস্য হচ্ছেন পরিচালক প্রকৌশলী কবির আহমেদ ভূঁইয়া ও মাসুদুজ্জামান। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের সভাপতি জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল মুবীন (অব.

) স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়েছে।

২০২১ সালের ৬ মার্চ সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের। এই পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ দুই বছর। ২০২৩ সালের ৫ মার্চের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও কেটে গেছে আরো দুই বছর।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পদাবলি

ঘুমকুয়াশা 
মারুফুল ইসলাম

চোখের মাঝে দেখি চোখের আলো
ঘুমকুয়াশা পাহাড়ে মন টানে
মেঘ মজেছে সোনালি উত্তাপে
অবুঝ ঠোঁট অতীত ভেবে কাঁপে

চোখের মাঝে দেখি চোখের ছায়া
মন রয়েছে মনের ভারে নুয়ে
ঘামের ঘ্রাণে শরীর এলোমেলো
স্মৃতির চেয়ে স্মৃতির ব‍্যথা ভারী

চোখের মাঝে দেখি চোখের জাদু
রক্ত সে কি ঘুচায় শর্বরী
সুনীল দিন সাগরজলে ডাকে
জীবন আঁকে জঙ্গলের ছবি

 

মন খারাপ  
নভেরা হোসেন

মন খারাপ এখন বৃষ্টিতে ভিজছে
চরাচর ভিজে যাচ্ছে মুষলধারায়
তার সাথে মন খারাপও ঝরছে
একটানা কখনও থেমে থেমে
আকাশে বিদ্যুৎ চমক
সারা দুনিয়া ধূসর হয়ে উঠেছে
বৃক্ষচারীরা মাটিতে নেমে এসেছে 
নুহের প্লাবন মনে পড়ছে
প্রাণিকুল জোড়া বেঁধে আছে
তুমি শুধু একজন একক
লাটিমের মতো ঘূর্ণায়মান 
আসমানব্যাপী মাশরুম চাষ 
ঝাঁকে ঝাঁকে মিগ্ টুয়েন্টিফোর
চোয়ালের মাংস কিছুটা ঝুলে পড়েছে
কোনো কিছুই চিরন্তন নয় 
কোনো মানুষ, প্রেম-ঘৃণা-ভালোবাসা 
তবু যেন এই মুহূর্তে দারুণ এক টর্নেডো 
ভেদ করেছে তোমাকে 
এফোঁড় থেকে ওফোঁড়
চারদিকে ধু-ধু প্রান্তর
ক্রমাগত শুনতে পাচ্ছ নিজেকেই
এ যেন অনন্ত বহমান 
আদি নেই অন্ত নেই 
খুঁড়ে চলেছ পাতালের ঠিকানা 
বুক থেকে গল গল করে রক্ত ঝরছে
চোখ থেকে অশ্রু বৃষ্টি
তোমরা কেউ এখানে এসো না
শূন্যতা ভেদ করে অচিনের খোঁজে
বাড়ির পাশে আরশিনগর
সেথায় এক পড়শি বসত করে
আমি একদিনও না দেখিলাম তারে
এ এক অনন্ত যাত্রা
মন খারাপ আজ মাটিতে লম্বমান
ঝরে পড়ছে অঝোর ধারায়   
গুঁড়ো গুঁড়ো মিহিদানা 
জামদানির ঝালরকাটা প্রকৃতির জলরঙে   

 

মিলিয়ে যাবার আগে 
সুমী সিকানদার 
ঠিক মধ্যপথে দাঁড়িয়ে পড়েছি।
সামনে যাবার যেমন কোনো বাঁক নেই
পেছনে তাকাবার তেমন কোনো আলোও নেই;
যাতে করে আমি দেখতে পাই পুরোনো ঘর বা বারান্দায় টাঙানো ছবি।
ছোট একজীবন, ছোট ছোট তোমার-আমার যত ভুল 
রেহাই দেয়নি আমাদের।
আমি বরাবর বিদ্ধ ক্ষতযুক্ত
আমি বরাবর শব্দহীন বিক্ষিপ্ত 
আর তুমি উধাও।
কথা বলতে পারিনি তা নয় 
যা বলেছি অসময়ে 
যার প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছিল বেলা বাড়ার আগেই।
আচমকা থেমে যাওয়া সকল কথা 
আমাকে পুরোনো কোলাহলের মধ্যমা মনে করায়
যে সময়টুকু ভরা প্রাণে,
সুহাসিনী ফুলের তাড়ায়, বিরল বাতাসে ওড়া আমি।
তখন সম্ভবত আমার অন্য ভাষার নাম ছিল
তুমি ছিলে একমাত্র দোভাষী।
নাহ এ মুহূর্তে আর সে সব দিনের ভাষায় ভরসা নেই 
এখন এই মধ্যপথে আমি
দ্রুত সিদ্ধান্তের মুখোমুখি।
পরাজিত ক্ষতগুলো লুকিয়ে ফেলেছি সদ্য হারানো কুয়াশায় 
বেশ হাসির খোরাক হতাম তা না হলে।
বিলম্ব মায়ায় কিছু বন্ধু জানে আমি ভালোবাসি কাঁচাফুল
আমি তার নাম ভালোবাসি।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ