আগামী মে মাসের ৩ বা ১০ তারিখে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ও পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড। গত ১ মার্চ পরিচালনা পর্ষদের সভায় নেওয়া এ সিদ্ধান্তের পর এজিএম উপলক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ কাজ গুছিয়ে আনতে যাচ্ছে দেশের ঐতিহ্যবাহী এ ক্লাবটি। 

তারই অংশ হিসেবে ক্লাবটি চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। যে কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ক্লাবের প্রাক্তন ডাইরেক্টর ইন-চার্জ অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন লোকমান হোসেন ভূঁইয়াকে।

ক্লাবের অন্যতম পরিচালক মাহবুব উল আনামকে চেয়ারম্যান করে গঠন করা ‘এজিএম প্রস্তুতি কমিটির’ দুই সদস্য হচ্ছেন পরিচালক প্রকৌশলী কবির আহমেদ ভূঁইয়া ও মাসুদুজ্জামান। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের সভাপতি জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল মুবীন (অব.

) স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়েছে।

২০২১ সালের ৬ মার্চ সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের। এই পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ দুই বছর। ২০২৩ সালের ৫ মার্চের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও কেটে গেছে আরো দুই বছর।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ভিডিও বানাতে গিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক, হত্যা করলেন স্বামীকে

ভারতের সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার রবিনার সঙ্গে সুরেশের দেড় বছর আগে ইনস্টাগ্রামে পরিচয় হয়। এরপর একসঙ্গে তাঁরা ভিডিও বানানো শুরু করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রবিনার সময় কাটানো আসক্তির পর্যায়ে চলে যায়। এ নিয়ে প্রায়ই স্ত্রী রবিনার সঙ্গে প্রাভিনের ঝগড়া হতো। প্রাভিন সন্দেহ করতেন, সুরেশের সঙ্গে রবিনার অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে।

গত ২৫ মার্চ প্রাভিন বাড়িতে ফিরে তাঁর সেই আশঙ্কার প্রমাণ পান। তিনি রবিনা ও সুরেশকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারান। তাঁদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি শুরু হয়। এ ঘটনার পর থেকে প্রাভিনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এর তিন দিন পর প্রাভিনের মরদেহ পাওয়া যায় বাড়ি থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরের একটি নালায়।

ওই এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, মোটরসাইকেলে তিনজন ছিলেন, কিন্তু ফেরার সময় তাঁদের মধ্যে একজন অনুপস্থিত। এরপর পুলিশ তাঁদের শনাক্ত করে। জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিনা ও সুরেশ হত্যাকাণ্ডে নিজেদের দোষ স্বীকার করেন।

সুরেশ পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই দিন রবিনা ভিডিও বানানো শেষে ভিওয়ানির প্রেমনগরে প্রাভিনের বাড়িতে যান। সুরেশ সেখানে রবিনার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। প্রাভিন বাড়িতে ফিরে অন্তরঙ্গ অবস্থায় তাঁদের দেখতে পান। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর প্রাভিনকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়।

হত্যার পর সারা দিন রবিনা স্বাভাবিক আচরণ করেন। আত্মীয়রা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, প্রাভিন কোথায় তা তিনি জানেন না। এরপর রাত নামার অপেক্ষা করেন রবিনা। রাতে সুরেশ মোটরসাইকেল নিয়ে এলে তাঁরা দুজন মিলে প্রাভিনের মরদেহ নিয়ে বেরিয়ে পড়েন।

২৬ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার দিকে সুরেশ ও রবিনা মোটরসাইকেলের মাঝখানে প্রাভিনের মরদেহ বসিয়ে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরের একটি নালায় ফেলে দেন। তিন দিন পর পুলিশ সেই নালা থেকে প্রাভিনের মরদেহ উদ্ধার করে এবং তদন্ত শুরু হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ