গাজীপুরে আলিফ গ্রুপের তিন কারখানা বন্ধ ঘোষণা, শ্রমিকদের বিক্ষোভ
Published: 20th, March 2025 GMT
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী জরুন এলাকায় তিনটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকালে শ্রমিকরা কারখানার গেটে এসে বন্ধের নোটিশ দেখতে পেয়ে মূল ফটকের সামনেই অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
বন্ধ ঘোষিত কারখানাগুলো হলো- স্বাধীন গার্মেন্টস, স্বাধীন ডাইং ও স্বাধীন প্রিন্টিং। তিনটি কারখানা আলিফ গ্রুপের।
শিল্প পুলিশ ও শ্রমিকরা জানান, আলিফ গ্রুপের স্বাধীন গার্মেন্টস লিমিটেডের শ্রমিকেরা বেশ কিছুদিন ধরে ঈদ বোনাস, ছুটির টাকা ও চলতি মাসের অর্ধেক বেতনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু, কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।
এ অবস্থায় বুধবার সকালে আট শতাধিক শ্রমিক কর্মবিরতি পালন শুরু করেন। শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে বৃহস্পতিবার সকালে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে নোটিস টানিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ।
কারখানা কর্তৃপক্ষের দেওয়া নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, এতদ্বারা স্বাধীন গার্মেন্টস, স্বাধীন ডাইং এবং স্বাধীন প্রিন্টিংয়ে কর্মরত সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকবৃন্দের উদ্দেশ্যে জানানো যাইতেছে যে, বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩/১ ধারা অনুযায়ী ২০ মার্চ বৃহস্পতিবার হতে কারখানার সকল কার্যক্রম (No Work No Pay) এর অধীনে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হইল ৷
আরো উল্লেখ করা হয়েছে, উল্লেখ্য যে, গত ১৭ মার্চ হইতে ১৯ মার্চ পর্যন্ত কারখানার সকল শ্রমিকরা সংঘবদ্ধ হয়ে বেআইনিভাবে ধর্মঘট করে কাজ বন্ধ রাখে। যার ফলশ্রুতিতে কারখানা অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়। এমতাবস্থায় কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম যথাযথভাবে পরিচালনা করা সম্ভব নয় বিধায় স্বাধীন গার্মেন্টস, স্বাধীন ডাইং এবং স্বাধীন প্রিন্টিংয়ের সকল কার্যক্রম অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হইল।
এ বিষয়ে কোনাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.
ঢাকা/রেজাউল/রাজীব
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব ধ ন গ র ম ন টস
এছাড়াও পড়ুন:
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির বৈঠক আজ
নির্বাচনি রোডম্যাপের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক হবে। এতে বিএনপির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে সুনির্দিষ্ট করে জানতে চাওয়া হবে, কবে নাগাদ নির্বাচন হবে এবং নির্বাচনের রোডম্যাপ বা পথনকশা কবে ঘোষণা করা হবে। উপদেষ্টার বক্তব্যে সন্তুষ্ট হতে না পারলে বিএনপি রাজপথের কর্মসূচিতে যেতে পারে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাতে এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা হয়। সেখানে এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
নির্বাচন নিয়ে অধ্যাপক ইউনূস একাধিকবার বলেছেন, আগামী নির্বাচন এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। তবে বিএনপি জোর দিয়ে বলছে, সরকারকে আরো সুনির্দিষ্ট করে বলতে হবে।
ফেব্রুয়ারির শুরুতে বিএনপি নেতারা বলেছিলেন, প্রধান উপদেষ্টা তাদের জানিয়েছেন, এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হবে। তবে দলটির নেতারা এখন মনে করছেন, সরকার তার অবস্থান পরিবর্তন করেছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি।
বিএনপির মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোও দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে। তবে, জামায়াতে ইসলামী প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচন চায়।
আর জুলাই-অগাস্টের গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র নেতাদের নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) চায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সংস্কারের রোডম্যাপ ও গণপরিষদ নির্বাচন।
ঢাকা/হাসান/ইভা