গুরুতর অসদাচরণের প্রমাণ মেলায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খিজির হায়াতকে অপসারণ করা হয়েছে।

বুধবার (১৯ মার্চ) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সচিব শেখ আবু তাহেরের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ‍্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৬-এর দফা (৬) অনুযায়ী বিচারপতি খিজির হায়াতকে মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) অপসারণ করা হয়েছে।

সংবিধানের ৯৬(৬) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কাউন্সিল তদন্ত শেষে যদি রাষ্ট্রপতিকে রিপোর্ট দেয় যে বিচারক তার দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করতে অক্ষম হয়ে পড়েছেন বা গুরুতর অসদাচরণ করেছেন, তাহলে রাষ্ট্রপতি আদেশ দিয়ে সেই বিচারককে পদ থেকে অপসারণ করবেন। সংবিধানের এই ধারা মেনেই খিজির হায়াতকে সরাসরি অপসারণ করলেন রাষ্ট্রপতি।


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ গত বছর ১৭ অক্টোবর হাইকোর্টের ১২ বিচারককে বেঞ্চ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। 
তারা হলেন—বিচারপতি নাইমা হায়দার, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার, বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস, বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান, বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন, বিচারপতি মো.

আক্তারুজ্জামান, বিচারপতি আতাউর রহমান খান, বিচারপতি খিজির হায়াত, বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন।

সেই তালিকায় ছিলেন বিচারপতি খিজির হায়াত। এর মধ্যে শাহেদ নূরউদ্দিন পদত্যাগ করেছেন। অস্থায়ী থেকে স্থায়ী হতে না পারায় বিচারপতি পদে আর নেই বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন।

১৯৬৭ সালের ২৪ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া খিজির হায়াত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন সম্পন্ন করে ১৯৯৭ সালের ৬ আগস্ট ঢাকা জেলা জজ কোর্টে এবং ২০০১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০১৮ সালের ৩১ মে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। এর দুই বছর পর স্থায়ী হন।

ঢাকা/মামুন/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ষ ট রপত ব চ রপত

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে জামায়াতের বিক্ষোভ 

গাজায় নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো ইসরায়েলি বর্বর গণহত্যার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ঢাকাসহ দেশের সব মহানগরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জামায়াতে ইসলামী। রাজধানীর পল্টনে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে মহানগর দক্ষিণ এবং বাড্ডায় মহানগর উত্তর জামায়াত বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করেছে। 

দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল সমাবেশে বলেছেন, বাংলাদেশের পাসপোর্টে ইজরায়েল ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে ইজরায়েলের বর্বরোচিত হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নেতানিয়াহুর বিচারের দাবি জানাতে হবে।

সমাবেশে বক্তৃতা করেন মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ কামাল হোসাইন প্রমুখ। সমাবেশ শেষে উত্তর গেইট থেকে বিক্ষোভ মিছিল মৎস্য ভবন হয়ে শাহবাগ গিয়ে শেষ হয়। এতে হাজারো মানুষ অংশ নেন।

মহানগর উত্তরের বিক্ষোভ বিশাল উত্তর বাড্ডা কামিল মাদ্রাসার সামনে থেকে শুরু হয়ে রামপুরা ব্রিজে এসে পথসভার মাধ্যমে শেষ হয়। সভায় উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন সহকারী সেক্রেটারি নাজিমুদ্দিন মোল্লা, ডা.ফখরুদ্দিন মানিক প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ