ভারতের বিপক্ষে ২৫ মার্চ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচ খেলতে সকাল ৯টায় ভারতের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছেন জাতীয় দলের ফুটবলাররা।

তার আগে জামাল ভূঁইয়া-হামজা চৌধুরীকে নিয়ে ২৪ জনের দল ঘোষণা করেছেন জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরা। তার দলে আছেন তারিক কাজী, তরু বর্মণ, সাদ উদ্দিনরা।

ক্যাবরেরা ভারত সফরে যাওয়ার আগে ৩৮ জনের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেন। ওই দল থেকে ৯ জনকে বাদ দিয়ে ২৮ জনকে নিয়ে সৌদিতে ক্যাম্প করতে যান। ক্যাম্পে ছিলেন না হামজা চৌধুরী। ক্যাম্প শেষে ফাহমিদুলসহ তিন ফুটবলারকে বাদ দেওয়া হয়। ভারত সফরে যাওয়ার আগে আরও দু’জন দল থেকে বাদ পড়েছেন। 

বাংলাদেশের ভারত সফরের দল: হামজা চৌধুরী, জামাল ভূঁইয়া, মিতুল মার্মা, সুজন হোসেন,মেহেদী হাসান শ্রাবণ, শাকিল আহাদ, রহমত মিয়া, শাকিল হুসাইন, ইশা ফয়সাল, তারিক কাজী, তপু বর্মণ, সাদ উদ্দিন, মোহাম্মদ হৃদয়, কাজেম কিরমানি, মো.

সোহেল রানা, সোহেল রানা, চন্দন রায়, মুজিবর রহমান, শেখ মোরসালিন, ফয়সাল আহমেদ, রাকিব হোসেন, শাহরিয়ার ইমন, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, আল আমিন।  

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হ য ভ য় র ক য বর র

এছাড়াও পড়ুন:

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হলে দেশ সঠিক পথে থাকবে: আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার একমাত্র মাধ্যম নির্বাচন। আর সবাই মনে করছেন সেই নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে হলে দেশ সঠিক পথে থাকবে।

আমীর খসরু বলেন, ‘সবাই ধরে নিয়েছে ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ইতিমধ্যে অনেকে বলছে ডিসেম্বর অনেক দেরিতে। তারপরও ডিসেম্বর “কাট অব টাইম” হিসেবে ধরে নিয়েছে সবাই। সবার ধারণা, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হলে আমরা সঠিক পথে থাকব।’

রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিএনপির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বৈঠকে আমীর খসরু ছাড়াও দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।

আমীর খসরু বলেন, ‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা ১৭ বছর সংগ্রাম করেছি। সেটা ফিরিয়ে দেওয়ার একমাত্র মাধ্যম নির্বাচন।’

নির্বাচন কবে হবে, সে প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা আমীর খসরু বলেন, নির্বাচন নিয়ে দেশে এবং দেশের বাইরে সবাই ভাবছে যে নির্বাচন কবে হবে। কবে দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরে আসবে। দেশে একটি সরকার আছে, কিন্তু এখনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরে আসেনি। সেটা না এলে, জনগণ সমর্থিত একটা সরকার ছাড়া কোনো প্রশাসন পুলিশের সহায়তায় সেটা দাঁড় করাতে পারবে না। জনগণের সমর্থিত সরকার, সংসদ—যা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে, সেটা দ্রুত করতে পারলে অনেকগুলো সমস্যা সমাধান হবে।

ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক, সামাজিক, বৈদেশিক সম্পর্ক নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। রাজনীতির ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচন এবং সংস্কার কমিশনগুলোর ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।

আমীর খসরু বলেন, ‘সংস্কারের যে বিষয়গুলোতে ঐকমত্য হবে, সে বিষয়গুলো এগিয়ে নিয়ে যাব। যে বিষয়গুলোতে ঐকমত্য হবে না, সেটা সাংবিধানিক হোক, নির্বাচনী হোক বা অন্য যেকোনো বিষয় হোক—সেটা আগামী নির্বাচনে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের অধিকার আছে জনগণের কাছে নিয়ে যাওয়ার। তারা জনগণের কাছে উপস্থাপন করবে, জনগণের মতামত নিয়ে এসে সংসদে আলোচনা হবে, বিতর্ক হবে, তারপর সংসদে পাস হবে। বৈঠকে আলোচনাটা এভাবেই হয়েছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ