গার্মেন্টস গ্রুপ বন্ধ সংশ্লিষ্ট অনন্ত জলিলের দাবি মিথ্যা: প্রেস স
Published: 20th, March 2025 GMT
পোশাক কারখানা সংশ্লিষ্ট দেশের ২৪০টি গ্রুপ বন্ধ হয়ে গেছে বলে ব্যবসায়ী অনন্ত জলিল যে দাবি করেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বুধবার (১৯ মার্চ) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ কথা জানান তিনি।
পোস্টে তিনি লিখেন, ‘অনন্ত জলিলের সরকার থেকে কিছু সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করার আগে সঠিক তথ্য জানা উচিত। পোশাক কারখানার ২৪০টি গ্রুপ বন্ধ হয়ে গেছে বলে তার যে দাবি তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এছাড়া, বাংলাদেশি কারখানা প্রতিদিন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, সেটিও অসত্য। হাজার হাজার মানুষ চাকরি হারিয়েছে বলে তার দাবি, তাও ভুল তথ্য।’
তিনি আরও লিখেন, ‘আমাদের রপ্তানির ৮৪ শতাংশ আসে পোশাক শিল্প থেকে, ৮৪ শতাংশ রেমিট্যান্স নয়, যা তিনি দাবি করেন। প্রকৃত তথ্য হলো- গত সাত মাসে বাংলাদেশের রপ্তানি ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও শিল্প পুলিশ রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সপ্তাহে গাজীপুর, আশুলিয়া ও সাভারের প্রায় ৯৯ শতাংশ কারখানা খোলা ছিল। যদি তিনি মনে করেন যে সরকার মিথ্যা দাবি করছে, তাহলে আমি বিনীতভাবে তাকে তার তথ্য এবং পরিসংখ্যান সরবরাহ করার জন্য অনুরোধ করব।’
ঢাকা/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আরও তিনটি কারখানা পেল পরিবেশবান্ধব সনদ
বাংলাদেশের আরও তিনটি তৈরি পোশাক কারখানা পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশের মোট ২৪০টি কারখানা এখন পরিবেশবান্ধব সনদ পেল।
তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এ তথ্য জানিয়েছে। গাজীপুরের কালিয়াকৈরের ইকোটেক্স লিমিটেড, বোর্ড বাজারের এলিট গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও শ্রীপুরের ইউরো নিট স্পিন লিমিটেড—এই তিনটি কারখানা প্লাটিনাম সনদ পেয়েছে। অর্থাৎ পরিবেশবান্ধব কারখানার সর্বোচ্চ স্বীকৃতি পেয়েছে তারা।
বাংলাদেশের যে ২৪০টি কারখানা এখন পর্যন্ত পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি পেয়েছে, তার মধ্যে ৯৮টি কারখানা প্লাটিনাম সনদ, ১২৮টি গোল্ড সনদ পেয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের কারখানাগুলো সর্বোচ্চ মানের পরিবেশবান্ধব কারখানার শর্ত পূরণ করতে পারছে। বাকি ১৪টি কারখানার মধ্যে সিলভার সদনপ্রাপ্ত কারখানা ১০টি এবং সার্টিফায়েড সদনপ্রাপ্ত কারখানা ৪টি।
বিজিএমইএর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি পরিবেশবান্ধব কারখানার মধ্যে ৬৬টি কারখানাই এখন বাংলাদেশের।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে এই পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে তিনটি কারখানা। এ সনদ পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত পরিপালন করতে হয়। মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে কোনো কারখানা ৮০-এর বেশি পেলে ‘লিড প্লাটিনাম’, ৬০-৭৯ পেলে ‘লিড গোল্ড’, ৫০-৫৯ নম্বর পেলে ‘লিড সিলভার’ ও ৪০-৪৯ নম্বর পেলে ‘লিড সার্টিফায়েড’ সনদ দেওয়া হয়।
বিশ্বের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান পরিবেশবান্ধব স্থাপনার সনদ দিয়ে থাকে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি)। ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইউএসজিবিসি যে সনদ দেয়, তার নাম ‘লিড’। লিডের পূর্ণাঙ্গ রূপ হলো, লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন। এ সনদ পেতে প্রতিটি প্রকল্পকে ইউএসজিবিসির তত্ত্বাবধানে স্থাপনা নির্মাণের কাজ থেকে শুরু করে উৎপাদন পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে মান রক্ষা করতে হয়।