ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থপেডিক বিভাগের চিকিৎসক ডা. শাহিন জোয়ারদারের ওপরে হামলার ঘটনায় প্রধান আসামি ও জেলা ছাত্রলীগ নেতা মুত্তাকিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে রাজধানীর মৌচাক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মুত্তাকিন পশ্চিম খাবাসপুরের আলমগীর হোসেনের ছেলে। তিনি ছাত্রলীগের ফরিদপুর জেলা কমিটির সদস্য।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

আসাদুজ্জামান বলেন, চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় ৬ আসামির মধ্যে এর পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে ২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর ছাত্রলীগ নেতা মুত্তাকিনের নেতৃত্বে কয়েকজন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে অর্থপেডিক্স বিভাগের চিকিৎসক শাহিন জোয়ারদারের ওপরে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ ক ৎসক র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

রূপগঞ্জে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা, গ্রেপ্তার ২ 

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের চনপাড়া পূর্নবাসন কেন্দ্র এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির অঙ্গসংগঠন যুবদল ও সেচ্ছাসেবকদলের দুই গ্রুপের মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় হাসিব নামের যুবক নিহতের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। বিশ মার্চ বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকালে নিহত হাসিবের বড় ভাই মোঃ বাবু বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ৮ থেকে ১০ জনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় অভিযান পরিচালনা করে রমজান মিয়া ও রবিন নামের দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত রমজান মিয়া চানপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্র এলাকার মৃত সিদ্দিক মিয়ার ছেলে ও রবিন মিয়া একই এলাকার দুলাল ওরফে টাক দুলালের ছেলে। 
এ ব্যাপারে জেলার সহকারি পুলিশ সুপার (গ সার্কেল)  মেহেদী হাসান বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় নিহত হাসিবের ভাই বাবু বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলার এজাহার নামীয় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। বর্তমানে চনপাড়ায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।


প্রসঙ্গত: রূপগঞ্জে অপরাধের সম্রাজ্য খ্যাত চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্রে মাদক ব্যবসার আধিপত্য নিয়ে যুবদলের শামীম ও স্বেচ্ছাসেকদলের রব্বানীর সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাতে ও বুধবার (১৯ মার্চ) সকালে  সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রাতভর চলে সংঘর্ষ। এ সময় উভয় পক্ষই গোলাগুলিতে লিপ্ত হয়। এ সময় যুবদলের কর্মী হাসিব সহ উভয় পক্ষের আরো ৩০ জন আহত হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ