নারায়ণগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনায় কিশোরকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
Published: 20th, March 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় দোকানের ব্যাটারি চুরির অভিযোগ তোলার পর কথা কাটাকাটির জেরে এক কিশোরকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ফতুল্লার লামাপাড়ার দরগাহ মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ছুরিকাঘাতের অভিযোগে ১৭ বছরের আরেক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।
ছুরিকাঘাতে নিহত জিহাদ পটুয়াখালী সদরের আউলিয়াপুরের জাহাঙ্গীরের ছেলে। পরিবারের সঙ্গে সে ফতুল্লার পশ্চিম লামাপাড়ায় থাকত। আটক কিশোরের বাড়িও পশ্চিম লামাপাড়ায়।
ফতুল্লা থানার ওসি শরীফুল ইসলাম জানান, লামাপাড়ার দরগাহ মসজিদের সামনে আটক কিশোরের চাচা শাহিন মিয়ার ফলের দোকান রয়েছে। মঙ্গলবার রাত পৌনে ৮টার দিকে শাহিন একটি কাজে দোকান খোলা রেখেই বাইরে যান। কিছুক্ষণ পর দোকানে ফিরে দেখেন দোকানের বাল্ব জ্বালানোর ব্যাটারি চুরি গেছে। শাহিন বের হওয়ার সময় জিহাদের সঙ্গে দুই কিশোর দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। বিষয়টি জানতে পেরে আটক কিশোর ঘটনাস্থলে গিয়ে জিহাদ ও সঙ্গে থাকা দু’জনকে চুরির বিষয়ে জিজ্ঞেস করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। পরে ওই কিশোর বাসায় থেকে ছুরি এনে জিহাদকে আঘাত করে। স্থানীয়রা জিহাদকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
ওসি আরও বলেন, মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। মামলা হলে আটক কিশোরের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ হত য আটক ক শ র
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে আরসার পাঁচ সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৬, দশ দিনের রিমান্ড
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে রোহিঙ্গা বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (এআরএসএ বা আরসা) পাঁচ সদস্যসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পৃথক দুই মামলায় পাঁচ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পৃথক দুই মামলায় ১০ দিন করে রিমান্ড চাইলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈনউদ্দিন কাদির ৫ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন। কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনী ওরফে আতাউল্লাহ (৪৮), মোস্তাক আহমেদ (৬৬), সলিমুল্লাহ (২৭), আসমাউল হোসনা (২৩), ও হাসান (৪৩)। এরা সকলেই মায়ানমারের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। সেই সাথে আতাউল্লাহ ছাড়া বাকী সকলেই কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করতেন। তাদের সাথে সিদ্ধিরগঞ্জে ভূমিপল্লী আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মনিরুজ্জামান (২৪) রয়েছে।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লা বলেন, আসামিরা নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নাশকতামূলক অপরাধ কর্মকাণ্ড সংগঠিত করার জন্য গোপন বৈঠক করে আসছিলো। র্যাব ও পুলিশ গোপন সংবাদ পায় যে, আসামিরা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সংগঠিত করার জন্য সিদ্ধিরগঞ্জে ভূমি পল্লি আবাসন এলাকার একটি বহুতল ভবনে গোপন বৈঠক করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে। রিমাণ্ডে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে গত সোমবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিদ্ধিরগঞ্জের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১। এ সময় আসামিদের কাছ থেকে ২১ লক্ষ ৩৯ হাজার ১০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।