অবশেষে একটা ভালো খবর সাকিব আল হাসানকে নিয়ে। তাঁর একটা মুক্তির খবর। যে কোনো পর্যায়ের ক্রিকেটেই সাকিবের আর বোলিং করতে বাধা নেই। সাকিবকে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায় থেকে মুক্তি দিয়েছে ইংল্যান্ডের লাফবোরো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার রিপোর্ট।
গত বছর সেপ্টেম্বরে সারের হয়ে কাউন্টির ম্যাচে বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর ইসিবি যে কোনো পর্যায়ের ক্রিকেটে সাকিবের বোলিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। এরপর বার্মিংহামের অনতিদূরের এই লাফবোরোর ল্যাবেই প্রথম পরীক্ষা দেন সাকিব এবং অকৃতকার্য হন। চেন্নাইয়ের পরের পরীক্ষায়ও সুসংবাদ পাননি তিনি, যেটা পেলেন এবার লাফবোরো বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে ফিরে গিয়ে।
সাকিবের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র প্রথম আলোকে জানিয়েছে, লাফবোরো বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে তাঁর সর্বশেষ পরীক্ষাটি হয়েছে গত ৯ মার্চ, যার ফলাফল সাকিব জেনেছেন গতকাল। তাঁর বোলিং অ্যাকশন এখন বৈধ। পরীক্ষায় সাকিব মোট ২২টি ডেলিভারি দিয়েছেন, যার প্রায় সবই ত্রুটিমুক্ত। এক-দুটি ডেলিভারিতে সামান্য সমস্যা থাকলেও তা ধর্তব্যের মধ্যে আনেননি লাফবোরোর বিশেষজ্ঞরা।
সমারসেট–সারে ম্যাচে বোলিং করছেন সাকিব। এই ম্যাচেই প্রশ্ন উঠেছে তাঁর বোলিং অ্যাকশন নিয়ে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভোলাগঞ্জের সেই বাঙ্কারে পাথর উত্তোলনকালে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ৪
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জের আলোচিত রেলের সংরক্ষিত (বাঙ্কার) এলাকা থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে মারা গেছেন এক শ্রমিক। আহত হয়েছেন আরও চারজন। বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে পাথর উত্তোলন করার সময় গাছ পড়ে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
নিহত শ্রমিক কয়েছ আহমদ নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়ি উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের মোনরাজ মেম্বারের ছেলে। আহতরা হলেন- একই এলাকার সবুজ মিয়া, সুজাত আহমদ, ইমরান ও কোম্পানীগঞ্জের শিলাকুড়ি গ্রামের সুরুজ আলী। তাদেরকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান হতাহতের বিষয়টি স্বীকার করে জানিয়েছেন, নিহতের পরিবার অভিযোগ দিলে মামলা নেওয়া হবে।
রেলওয়ের সংরক্ষিত ব-দ্বীপ আকারের বাঙ্কার এলাকা থেকে এক সময় পাথর ক্রাশিং করে রজ্জুপথে সুনামগঞ্জের ছাতকে প্রেরণ করা হত। গত এক দশক ধরে রজ্জুপথ বা রোপওয়ে বন্ধ হওয়ার পর সেখানকার সম্পাদের দায়িত্ব পালন শুরু করে রেলের নিরাপত্তাবাহিনী (আরএনবি)। সরকার পতনের পর বাঙ্কারের টিলা রকম ভূমি থেকে রাতের আধারে শুরু হয় পাথর লুট। প্রায়ই শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও গোপনে তাদের মরদেহ দাফন করা হয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। গত ৬ মাসে এ নিয়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হলো। প্রতিদিন রাতে শতশত নৌকাযোগে বাঙ্কারের পাথর লুট করে নিচ্ছে শ্রমিকরা। অভিযান করতে গিয়ে হামলারও শিকার হয়েছেন এসিল্যান্ড। গত ৬ মাসে সংরক্ষিত এলাকাটি বিরাণভূমিতে পরিণত করেছে পাথরখেকোরা।