Prothomalo:
2025-03-20@11:04:06 GMT

বাগদা চিংড়ির ঘেরে লাঙল চাষ

Published: 20th, March 2025 GMT

২ / ৯ভোর থেকে লাঙল দিতে শুরু করেছেন মনোহর মল্লিক।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

অনিয়মের অভিযোগে মাদারীপুরে গণপূর্ত অধিদপ্তরে দুদকের অভিযান

মাদারীপুরে সমন্বিত সরকারি অফিস ভবন নির্মাণে অনিয়মসহ একাধিক অভিযোগে গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাদারীপুর কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার সকালে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামানের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।

গণপূর্ত ও দুদকের অভিযান সূত্রে জানা গেছে, অতিরিক্ত ব্যয়ে মাদারীপুর সরকারি সমন্বিত ১০তলা ভবন নির্মাণের অভিযোগ পায় দুদক। এ ছাড়া মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতাল নির্মাণ ও মালামাল ক্রয়ে ব্যাপক অভিযোগ ওঠে। প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে গণপূর্ত অধিদপ্তর মাদারীপুর কার্যালয়ে এ অভিযান চালানো হয়। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি সরকারি ভবনে বার্ষিক মেরামত না করে অতিরিক্ত বিল তোলেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন। এমনকি গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মরত ব্যক্তিরা নিজেদের ঘনিষ্ঠজনদের নামে লাইসেন্স ব্যবহার করে এই দপ্তরের কাজ বাস্তবায়ন করে বিল তোলেন।

সূত্র জানায়, অনিয়মে সরাসরি জড়িত ছিলেন সাবেক একজন নির্বাহী প্রকৌশলী। বিশেষ সুবিধা দিতে ঠিকাদারদের সঙ্গে যোগসাজশে বিপুল পরিমাণ ঘুষ গ্রহণ করেছেন সাবেক এই কর্মকর্তা। অভিযানে গণপূর্ত কার্যালয় থেকে সংশ্লিষ্ট কাজের নথি জব্দসহ বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে দুদকের দল।

দুদকের মাদারীপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, একাধিক অভিযোগে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে দুদকের সাত সদস্যের দল কাজ করে। অভিযোগের মধ্যে আছে বহুতল ভবন নির্মাণে অনিয়ম, কাজ না করে অতিরিক্ত বিল উত্তোলন, নিম্নমানের মালামাল দিয়ে স্থাপনা নির্মাণ। এ ছাড়া সরকারি সমন্বিত ১০তলা ভবন ও ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতাল নির্মাণে অনিয়ম ও নিম্নমানের মালামাল সরবরাহ। এসব অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হবে। পরে প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে দুদক।

গণপূর্তের মাদারীপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সমন্বিত ১০তলা ভবন নির্মাণে কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতির সুযোগ নেই। দুদক কর্মকর্তারা তাঁদের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে আমাদের অফিসেও অভিযান চালিয়েছেন। তাঁরা যেসব নথিপত্র চেয়েছেন, আমরা সবকিছুই সরবরাহ করেছি। আশা করছি, দুদক তথ্য যাচাই-বাছাই করলে বিষয়টি বুঝতে পারবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ