“আমার চারটি বিয়ের অনুমতি রয়েছে। কিন্তু আমি তা করছি না; সেটা ভিন্ন বিষয়। আল্লাহ আমাকে এই অনুমতি দিয়েছেন।”— একটি টিভি চ্যানেলে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এমন মন্তব্য করেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেতা দানিশ তৈমুর।

এ সময় অভিনেতার পাশেই ছিলেন তার স্ত্রী আয়েজা খান। দানিশের এমন মন্তব্য শোনার পর অভিনেত্রী আয়েজা খানও সম্মতিসূচক মাথা নাড়েন। বহুবিবাহকে উৎসাহিত করার কারণে এ মুহূর্তের ভিডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে; তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

নেটিজেনদের অনেকে দানিশকে আক্রমণ করে মন্তব্য করেছেন। লিসা নামে একজন লেখেন, “দানিশ তৈমুর আপনার মন্তব্যে মানুষ হতবাক। আপনি অহংকারী, বিষাক্ত ও পশ্চাদগামী।” আরেকজন লেখেন, “আয়েজা খানের এখন অন্য কাউকে খুঁজে নেওয়া উচিত।” এমন অনেক মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে অন্তর্জালে।

এ পরিস্থিতিতে নীরবতা ভেঙেছেন দানিশ। পাকিস্তানি একটি টিভি চ্যানেলের সঙ্গে কথা বলার সময়ে বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেন এই অভিনেতা। বিতর্ক নিয়ে প্রশ্ন করায় সঞ্চালককে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে দানিশ বলেন, “লোকেরা কী বলেন তা নিয়ে আপনি খুবই চিন্তিত!” এরপর এ অভিনেতা বলেন, “মানুষের কারণে নয়, আমরা এখানে আছি আল্লাহর কারণে।”

১৯৮৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের করাচিতে জন্মগ্রহণ করেন দানিশ তৈমুর। করাচি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ফ্যাশন মডেল হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। ২০০৫ সালে টিভি ধারাবাহিক ‘মিস্ট্রি সিরিজ’-এর মাধ্যমে অভিনয় ক্যারিয়ারের যাত্রা করেন তিনি।

দানিশ অভিনীত উল্লেখযোগ্য টিভি সিরিজ হলো— ‘রেহি’ (২০১৩), ‘আব দেখা খোদা কিয়া করতা হ্যা’(২০১৮-২০১৯), ‘দিওয়াঙ্গি’ (২০১৯-২০২০), ‘ইশক হ্যায়’ (২০২১) প্রভৃতি।

তথ্যসূত্র: পিঙ্কভিলা

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

যাত্রী সংখ্যায় ২০১৯ সালকে ছাড়াল বিমান পরিবহন খাত, করোনার পর এই প্রথম

অবশেষে মহামারির প্রভাব কাটিয়ে উঠেছে বিশ্বের বিমান পরিবহন খাত। ২০২৪ সালে বিমানে চলাচল করা যাত্রীর সংখ্যা ২০১৯ সালের স্তর অতিক্রম করেছে।

এয়ারপোর্ট কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনাল (এসিআই) ওয়ার্ল্ডের প্রকাশিত প্রাথমিক তথ্যানুসারে, গত বছর প্রায় ৯৫০ কোটি যাত্রী উড়োজাহাজে ভ্রমণ করেছে। ২০১৯ সালের কোভিড-১৯ মহামারি সময়ের তুলনায় যা ৩ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। ২০২৩ সালের তুলনায় যা ৯ শতাংশ বেশি। খবর সিএনএন।

প্রতিবেদনে ২০২৪ সালের বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ত ১০ বিমানবন্দরের তথ্যও তুলে ধরা হয়েছে। সেই তালিকায় এবারও শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন আটলান্টা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য জর্জিয়ার রাজধানী আটলান্টায় অবস্থিত ডেলটা এয়ারলাইনস হাবটি ২৭ বছরের মধ্যে ২৬ বার শীর্ষস্থান দখল করেছে। গত বছরের মতো এবারও দ্বিতীয় স্থানে আছে আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। তৃতীয় স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস ফোর্ট ওয়ার্থ।

চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে আছে যথাক্রমে জাপানের রাজধানী টোকিওর হানেদা ও যুক্তরাজ্যের লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর। যুক্তরাষ্ট্রের ডেনভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আছে ষষ্ঠ স্থানে।

সপ্তম ও অষ্টম স্থানে আছে যথাক্রমে তুরস্কের ইস্তানবুল ও যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো ও’হেয়ার বিমানবন্দর। নবম স্থানে আছে ভারতের নয়াদিল্লি বিমানবন্দর। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উড়োজাহাজ বহরের সম্প্রসারণ, অবকাঠামোর উন্নয়ন ও বৈশ্বিক সংযোগ বৃদ্ধির কারণে ইস্তানবুল ও নয়াদিল্লি বিমানবন্দরের দ্রুত সম্প্রসারণ হচ্ছে।

বিমানবন্দরগুলোর প্রবৃদ্ধির বিষয়ে এসিআই ওয়ার্ল্ডের মহাপরিচালক জাস্টিন এরবাচি বলেন, ‘ভবিষ্যতে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হবে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে; ভারত, চীন, লাতিন আমেরিকা ও কিছুটা আফ্রিকায়। উন্নত দেশগুলোয় (উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপ) প্রবৃদ্ধির গতি কিছুটা কমবে। শিল্পটি এখনো অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা, উড়োজাহাজ কোম্পানিগুলোর উৎপাদন বিলম্বের মতো কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। বিশ্বব্যাপী উড়োজাহাজ চলাচল ২০৪৫ সালের মধ্যে দ্বিগুণ হবে বলে প্রত্যাশা এসিআই ওয়ার্ল্ডের।

নজরে পড়ার মতো অগ্রগতি হয়েছে ১০ম স্থানে থাকা চীনের সাংহাই পুডং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের। ২০২৩ সালে ২১তম স্থান থেকে ৪১ শতাংশ যাত্রী বৃদ্ধির মাধ্যমে একলাফে ১০ম স্থানে উঠে এসেছে এই বিমানবন্দর।

২০২৪ সালে বিমানের যাত্রী বাড়লেও এসিআই বলছে, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, ভূরাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, বিমান কোম্পানিগুলোর উৎপাদনে বিলম্বসহ আরও কিছু কারণে এই খাত গত বছর চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। চলতি বছর যেভাবে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ছে, তাতে এবার কী পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তা দেখার অপেক্ষায় আছে এই খাত।

করোনা মহামারির সময় মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে সবচেয়ে আক্রান্ত হয় বিমান চলাচল খাত। ২০২০ সালে এই খাতের ক্ষতি হয় ১৭৫ বিলিয়ন বা ১৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। এরপর ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে এই খাত। টিকাদান ও পরবর্তী পর্যায়ে কোভিড-১৯ আর বৈশ্বিক মহামারি হিসেবে বিবেচিত না হওয়ায় বিমান চলাচল বেড়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চবির শাটলে সিনিয়রকে জুনিয়রদের হামলা, বিচার দাবি
  • ‘হোম অ্যালোন’ সিনেমা থেকে ট্রাম্পের দৃশ্যটি বাদ দেওয়া হোক, বললেন নির্মাতা
  • পদ্মায় আবাস সংকটে মাছ
  • যাত্রী সংখ্যায় ২০১৯ সালকে ছাড়াল বিমান পরিবহন খাত, করোনার পর এই প্রথম
  • ভুলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত ব্যক্তিকে ফেরত দেবে না এল সালভাদর: প্রেসিডেন্ট নায়েব