প্রধান উপদেষ্টাকে দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি জানালেন সেনাপ্রধান
Published: 20th, March 2025 GMT
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। গতকাল বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তারা কথা বলেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাক্ষাতে সেনাপ্রধান দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং সেনাবাহিনীর চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে জানান। দেশের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার জন্য সেনাবাহিনীর নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন। এ ছাড়া সেনাপ্রধান তাঁর সাম্প্রতিক সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক সফরের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে জানান। এ সময় সেনাপ্রধান দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন ও সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সফরটি সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
আইএসপিআর আরও জানায়, বঞ্চিত সেনা কর্মকর্তাদের সুবিচার নিশ্চিত-সংক্রান্ত উচ্চপদস্থ পর্ষদের সদ্য সমাপ্ত মূল্যায়ন ও সুপারিশ এবং চাকরিচ্যুত জেসিও ও অন্যান্য পদবির সেনা সদস্যদের বিষয়ে উচ্চপদস্থ পর্ষদের কাজের অগ্রগতি বিষয়ে ড.
প্রধান উপদেষ্টা এ সময় সেনাবাহিনীর ভূমিকা ও অবদানের প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যৎ কার্যক্রম বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনী পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির বৈঠক আজ
নির্বাচনি রোডম্যাপের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক হবে। এতে বিএনপির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে সুনির্দিষ্ট করে জানতে চাওয়া হবে, কবে নাগাদ নির্বাচন হবে এবং নির্বাচনের রোডম্যাপ বা পথনকশা কবে ঘোষণা করা হবে। উপদেষ্টার বক্তব্যে সন্তুষ্ট হতে না পারলে বিএনপি রাজপথের কর্মসূচিতে যেতে পারে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাতে এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা হয়। সেখানে এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
নির্বাচন নিয়ে অধ্যাপক ইউনূস একাধিকবার বলেছেন, আগামী নির্বাচন এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। তবে বিএনপি জোর দিয়ে বলছে, সরকারকে আরো সুনির্দিষ্ট করে বলতে হবে।
ফেব্রুয়ারির শুরুতে বিএনপি নেতারা বলেছিলেন, প্রধান উপদেষ্টা তাদের জানিয়েছেন, এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হবে। তবে দলটির নেতারা এখন মনে করছেন, সরকার তার অবস্থান পরিবর্তন করেছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি।
বিএনপির মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোও দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে। তবে, জামায়াতে ইসলামী প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচন চায়।
আর জুলাই-অগাস্টের গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র নেতাদের নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) চায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সংস্কারের রোডম্যাপ ও গণপরিষদ নির্বাচন।
ঢাকা/হাসান/ইভা